জলবায়ু চুক্তি না হলে কী ঘটবে?

বিশ্বের জলবায়ু পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, প্রতিকূল আবহাওয়াসহ বিভিন্ন সংকটের মুখামুখি হচ্ছে বিশ্ব। এজন্য বৈশ্বিক জলবায়ু পরিস্থিতি উন্নয়নে জলবায়ু চুক্তির বিকল্প কিছু নেই। উষ্ণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি : জলবায়ু চুক্তি ছাড়া বিশ্বের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা না হলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে সম্মত হবে না কেউই। এজন্য নতুন প্রজন্মকে ‘গ্রিনবিশ্ব’ উপহার দিতে জলবায়ু চুক্তির গতান্তর কিছু নেই। জলবায়ুবিষয়ক জাতিসংঘের আন্তঃসরকার প্যানেলের (আইপিসিসি)
তথ্য মতে, বিগত শতকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি : ২০১২ সালে প্রকাশিত আইপিসিসির তথ্য অনুসারে, ২১০০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ২৬ ডিগ্রি থেকে বেড়ে ৮২ ডিগ্রি সেন্টিমিটারে উন্নিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য মতে, জাতিসংঘ প্রণীত বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব না হলে বিশ্বের প্রায় ২৮০ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খারাপ আবহাওয়া : বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে হাড় কাঁপানো শীত, মারাত্মক ঝড়, অবাধ্য তাপ প্রবাহের মত ভয়াবহ প্রকোপ সাধারণ ব্যাপার। গবেষণায় পাওয়া তথ্য মতে, জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ না নিলে বন্যা, খরা, তুষার ঝড়, টাইফুন, হ্যারিকেনের মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি হবে।
পানি সংকট : দীর্ঘমেয়াদি খরা ও বিধ্বংসী বন্যার একটাই কারণ বৈশ্বিক উষ্ণতা। জলবায়ু চুক্তির বাস্তবায়ন না হলে বিশ্বে অধিকাংশ জায়গায় পানির অভাব দেখা দেবে বলে বিশ্বাস করেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা।
মানবিক সংকট : প্রাণহানিকর রোগ, ফসলের ক্ষতি বিশ্বের দারিদ্র্যের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। পানির স্বল্পতা ও ফসলের অপ্রতুলতার কারণে যুদ্ধ ও ভয়াবহ শরণার্থী সংকট দেখা দেবে। মালদ্বীপ, ফিলিপিন্স ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল তলিয়ে যাবে।

No comments

Powered by Blogger.