স্থানীয় নির্বাচন আন্দোলন চাপা দেয়ার কৌশল নয় : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, মেয়াদ শেষে নিয়মানুযায়ী স্থানীয় সরকার নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এটি কোন আন্দোলন চাপা দেয়ার কৌশল নয়, জাতীয় নির্বাচন পাশ কাটানোরও কৌশল নয়। তিনি জোড় দিয়ে বলেন, জাতীয় নির্বাচন ২০১৯ সালে সময়মতো হবে। কেউ তা আটকাতে পারবে না।
আগামী ৩১ অক্টোবর জাসদের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন প্রস্তুতি উপলক্ষে আজ দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাসদ কার্যালয়ে দলের ঢাকা মহানগর কমিটির প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দল ও আইনের লুকোচুরি খেলা এবং রাজনৈতিক ভণ্ডামির অবসান ঘটাবে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘আগে রাজনৈতিক দলগুলো অঘোষিতভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীদের সমর্থন দিতো, যা সবার জানা। এটি ছিলো আইনের সাথে দলগুলোর লুকোচুরি খেলা এবং এক ধরনের রাজনৈতিক ভণ্ডামি। দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচনে এ লুকোচুরি ও ভণ্ডামির অবসান ঘটাবে।’
হাসানুল হক ইনু এ সময় পূর্ববর্তী স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোর তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে বলেন, ‘এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৮ বার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, ৯ বার পৌরসভা নির্বাচন, ৪ বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, ১টি পার্বত্য জেলা পরিষদ নির্বাচনসহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলো সবসময়ই দেশে বিদ্যমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের বরাত দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও জনগণ স্বতস্ফুর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এবং সকলে ফলাফলও মেনে নিয়েছে। এমনকি ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরংকুশ বিজয়ের পরও ২০১১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল।’
দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ব্যবস্থার কারণে তৃণমূল পর্যায়ের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো আর উদাসীন থাকতে পারবে না উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এর মাধ্যমে ভারত-যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের উন্নত গণতান্ত্রিক রাজনীতির ক্লাবের সদস্য হলো বাংলাদেশ।’
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও জাসদ মহানগর সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক মীর হোসেন আখতারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, বিশিষ্ট জাসদ নেতা নূরুল আখতার, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, করিম সিকদার, আফরোজা হক রীনা, আনোয়ারুল ইসরাম বাবু, শফিউদ্দিন মোল্লা, শহীদুল ইসলাম, নুরুন্নবী, এড মহিবুর রহমান মিহির, সামছুল ইসলাম সুমন, এড সেলিম উদ্দিন প্রমূখ।
মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও জাসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এড. হাবিবুর রহমান শওকত, নাদের চেৌধুরী, উম্মে হাসান ঝলমলসহ মহানগর কমিটির প্রতিনিধিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.