হিলারিকে ১১ ঘণ্টা জেরা

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন লিবিয়ার বেনগাজিতে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে বিতর্ক থেকে উতরে গেছেন। ফলে বিশ্লেষকরা মনে করেন, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের ক্যাপিটাল হিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি সভার বাছাই কমিটি (সিলেক্ট কমিটি) হিলারিকে টানা ১১ ঘণ্টা জেরা করে লিবিয়া হামলার ঘটনায়। রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শুনানির সম্মুখীন হলেন হিলারি।
২০১২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বেনগাজিতে সন্ত্রাসী হামলায় রাষ্ট্রদূত ক্রিস স্টিভেনস ও অন্য তিন স্টাফ নিহত হন।
সিএনএন জানিয়েছে, জেরায় সিলেক্ট কমিটি বেনগাজিতে কূটনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে হিলারির বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। হামলার সময় তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। হিলারি তার বিরুদ্ধে সমালোচনা দৃঢ়ভাবে মোকাবেলা করে বলেন, ‘আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করতেই পুনরায় সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।’ সেই সঙ্গে বেনগাজি হামলার দায় আবারও নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে তিনি বলেন, ‘বেনগাজিতে সেদিন যা ঘটেছে, তার দায়ভার আমার এবং নিহত ওই চারজনের আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতেই আমি এখানে এসেছি।’ তিনি বলেন, ‘এর আগে কংগ্রেস এ বিষয়ে সাতবার তদন্ত করেছে।’ হিলারি বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তার অফিসে কোনো কম্পিউটার ছিল না। তিনি তালাবদ্ধ ব্রিফকেসে স্পর্শকাতর কাগজপত্র পড়তেন এবং সেগুলো দ্রুতই সরিয়ে ফেলা হতো।’ কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান দলের কংগ্রেসম্যান ট্রে গাউডি স্বীকার করেন, ‘আমি জানি না, এর আগে তিনি যে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তার থেকে এটা (সাক্ষ্যদান) আলাদা কিনা।’
হিলারি বলেন, ‘আমি ই-মেইলে আমার কাজ জমা রাখতাম না। কিছু মেমো ছিল অত্যন্ত গোপনীয়। সে কারণে সেগুলো তালাবদ্ধ ব্রিফকেসে অফিসে নিয়ে আসা হতো, আমি পড়ে নিতাম এবং এরপর তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলো কুরিয়ারে ফেরত পাঠানো হতো।’ সাক্ষ্য দেয়ার সময় হিলারি ক্লিনটন বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়েছিলাম এবং এর অংশ হিসেবে আমি অফিস ছাড়ার পর থেকে আমাদের লোকজনকে আরও নিরাপত্তা দেয়ার জন্য সংস্কারের কথা বলছি এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করব।’ এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.