গাফফারের বিচার ও নাগরিকত্ব বাতিলের দাবি আল্লামা শফীর

আল্লাহর ৯৯ নাম নিয়ে ‘বিতর্কিত’ বক্তব্যের অভিযোগে লেখক-কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরীর নাগরিকত্ব বাতিল ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি। তিনি বলেছেন, তা না হলে  একের পর এক ইসলাম অবমাননা ও মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে দেশকে বিশৃঙ্খলার দিকে নিয়ে যেতে ষড়যন্ত্র চালতে থাকবে। মঙ্গলবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন হেফাজতের আমির। আব্দুল গাফফার চৌধুরীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে হেফাজত আমির বলেন, “শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতির বিরুদ্ধে উসকানিদাতা এসব ষড়যন্ত্রকারীদের শক্ত হাতে দমন ও প্রতিহত করার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।” ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একে বাংলাদেশের মুসলিম জাতিসত্তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন শাহ আহমদ শফী। হেফাজত আমিরের প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহমদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে হেফাজত আমির বলেন, “ইসলাম অবমাননার মতো জঘন্য ঘটনার ধারাবাহিকতায় উলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদি জনতার শত প্রতিবাদ সত্ত্বেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নেয়ায় ইসলামবিরোধী নাস্তিক-মুরতাদরা দ্বিগুণ উৎসাহে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে যাচ্ছে। দেশ ও জাতির শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে এসব বন্ধ করা জরুরি।” হেফাজত আমির বলেন, “মুরতাদ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে জামাই আদরে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় উৎসাহিত হয়েই আব্দুল গাফফার চৌধুরী ইসলামের বিশ্বাস ও চিরায়ত মূল্যবোধের বিরুদ্ধে অবমাননাকর বক্তব্য দেয়ার সাহস  পেয়েছে। মহান আল্লাহর ৯৯ নাম, রাসূল (সা.)সহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ চরম জাহেলি বক্তব্য দিয়ে ইহুদিদের এজেন্ট গাফফার চৌধুরী মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকীদের কাতারে শামিল হয়ে নিজেকে আল্লাহদ্রোহী ও ইসলামবিরোধী হিসেবে প্রমাণ করেছে।” আল্লাহর ৯৯ নাম কাফের-দেবতাদের সঙ্গে তুলনা ও মন্তব্য করে গাফফার চৌধুরী পরিপূর্ণ মুরতাদে পরিণত হয়েছেন দাবি করে হেফাজতের আমির বলেন, “আল্লাহ-রাসূল (সা.), পর্দা-হিজাব ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে জঘন্য ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের পর কোনো ব্যক্তি মুসলমান থাকে না। গাফফার চৌধুরীর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল এবং দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। এমন ব্যক্তির ইসলামি নাম ব্যবহার করার কোনোই অধিকার নেই।” বিবৃতিতে বলা হয়, “সরকারের উচিত দেশের ১৫ কোটি মুসলমানের হৃদয়ের ক্ষত অনুভব করে এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া। অন্যথায় দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা একের পর এক ইসলাম অবমাননা ও মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে দেশকে বিশৃঙ্খলার দিকে নিয়ে যেতে ষড়যন্ত্র চালাতে থাকবে।”

No comments

Powered by Blogger.