যানজটে অচল ঢাকা

সকাল ১০টা। মগবাজার চৌরাস্তা। বাংলামোটর, ইস্কাটনের সরু সড়কে তখন মগবাজার, মালিবাগ অভিমুখী অসংখ্য গাড়ির জটলা। যানবাহনের সারি চলে আসে নিউ ইস্কাটন পার হয়ে বাংলামোটরের কাছাকাছি। ১০/১৫ মিনিট পার হতেই যাত্রীদের মধ্যে শুরু হয়েছে উসখুস। দেখতে দেখতে পার হয়ে যায় আধঘণ্টা। গাড়ির চালক ও যাত্রীদের বিরক্তি তখন চরম সীমানায়। অনেকেই নেমে এলেন রাস্তায়। সিগন্যাল না ছাড়ায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে গালাগাল করছেন ইচ্ছেমতো। দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের অবস্থা তখন গলদঘর্ম। তার এক কথা, অপর প্রান্তের সিগন্যাল না ছাড়লে তিনি এই সিগন্যাল ছাড়বেন কিভাবে?। কিন্তু আমজনতা তা মানতে নারাজ। এভাবে পার হয়ে যায় প্রায় এক ঘণ্টা। অবশেষে সিগন্যাল ছাড়ে। কিন্তু ততক্ষণে যাত্রীদের অনেকেই পায়ে হেটে মগবাজার, মৌচাক, মালিবাগের সড়ক পার হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু প্রচণ্ড গরম ও ফুটপাত মওসুমি ব্যবসায়ীদের দখলে থাকায় তাও সম্ভব হচ্ছিল না। গতকাল দিনভর এ চিত্র ছিল রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা মগবাজার, মালিবাগ, মৌচাক, শান্তিনগরে। মগবাজার চৌরাস্তায় কর্তব্যরত ট্রাফিকের কনস্টেবল রুবেল হতাশা জড়ানো কণ্ঠে বলেন, ‘ভাই, আমাদের কি দোষ? গাড়ি আটকানোর জন্য সরকার তো আমাদের আলাদা বেতন দেয় না। কিন্তু সারা দিন ঘাম ঝরিয়ে যানজট নিরসনের জন্য হাড়ভাঙা খাটুনি খাটার পরও পাবলিকের গালাগাল শুনতে হয়। কেউ কেউ মারতে আসে। কিন্তু আমাদের কি করার আছে?’ গতকাল এই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, থেমে থেমে প্রচণ্ড যানজটে আটকে পড়ে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। ঘেমে নেয়ে একাকার হয়েছেন তারা। যাত্রী ও গাড়ির চালকেরা কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশদের সঙ্গে ক্ষণে ক্ষণে বচসায় লিপ্ত হয়েছেন। কখনও কখনও তা হাতাহাতির উপক্রম হয়েছে। কিন্তু যে সমস্যার জন্য এত কিছু সেই যানজট নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি কিছুতেই। দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ, বিভিন্ন গণপরিবহনের চালক, সুপারভাইজার ও সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কথা বললে তারা হতাশ কণ্ঠে ও প্রায় অভিন্ন সুরে বলেন, শুধু রমজান মাস বলেই নয়, সারা বছরই এই এলাকায় অসহনীয় যানজট থাকে। এই তীব্র যানজট থেকে কবে মুক্তি মিলবে? তাদের কথা, যানজট নিরসন নিয়ে সরকারি বেসরকারি উচ্চপর্যায়ে এত ঢাকঢোল পেটানো, এগুলো কি শুধুই অন্তসারশূন্য?
সরজমিনে মগবাজার-মৌচাক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হয়েছে বহুদিন হয়। কিন্তু বিশাল এই প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ সড়ক এখন যানজটের অপর নাম। নিউ ইস্কাটন সড়ক থেকে ফ্লাইওভারের একাংশের শুরু। মগবাজার চৌরাস্তা ও শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক হয়ে ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ চলছে মৌচাক-মালিবাগ পর্যন্ত। কিন্তু রাস্তা এতটাই সরু হয়ে গেছে যে, একটির বেশি গণপরিবহন এই সড়ক ধরে যেতে পারে না। যেগুলো যায় সেগুলোর চালককে অনেক কায়দা করে সড়ক পার হতে হয়। আর একটু বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। কাদাপানি মাখিয়ে ইস্কাটন-মগবাজার সড়ক পার হওয়াই কঠিন। চিড়িয়াখানা-কমলাপুর রুটের স্বকল্প পরিবহনের চালক মমিন মিয়া বলেন, এই রাস্তা এতটাই সরু হয়ে গেছে যে, গাড়ি আস্তে চালিয়ে অনেক কষ্টে এই সড়কে আসা-যাওয়া করতে হয়। আর যানজট তো আছেই। এমনও হয়েছে মালিবাগ থেকে মগবাজার ওয়ারলেস গেট আসতেই এক থেকে দেড় ঘণ্টা চলে যায়। যানজটের এ যন্ত্রণা বলে বোঝানো যাবে না। দুপুর ১২টায় মৌচাক এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, নিজ চোখে দেখে যান যানজটের ভয়াবহতা। সকালে অফিস সময়ে যানজট বাড়ে। দুপুরে একটু কমে। আবার বিকালে বাড়ে। সারা বছরই এলাকায় যানজট থাকে। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে যানজট মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। মানুষের কষ্ট না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। একে তো রমজান মাস, তার ওপর চলছে ঈদের কেনাকাটা। আর রিকশা তো আছেই। একেকটি সিগন্যাল পার হতে ম্যালা সময় লাগছে। যাত্রী ও চালকরা মানতে চায় না। তারা মনে করেন, আমরা ইচ্ছে করে এ রকম করি। কিন্তু আমাদের কিছুই করার নেই। গুলিস্তান থেকে গুলশান-২ এ চলাচলকারী বন্ধু পরিবহনের চালক আবু সিদ্দিক বলেন, রমজান শুরু হওয়ার পর থেকেই যানজটের কারণে ট্রিপ কমে গেছে। শুধু এখানেই না, বাড্ডা, রামপুরা এলাকাতেও এই যানজট ছড়িয়েছে। গুলিস্তান থেকে গাজীপুরগামী ৪এ সুপ্রভাত সিটির চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, আগে যেখানে ৪ থেকে ৫টি ট্রিপ দিতাম, এখন শুধু এই এলাকার যানজটের কারণে তা ৩টিতে নেমে এসেছে। কিন্তু মালিক বুঝতে চায় না। তার টাকা ঠিকই জমাদিতে হয়। এদিকে জ্বালানি খরচও বেড়েছে। এ থেকে কি কোন নিস্তার নেই? মালিবাগ মোড়ের চা-বিক্রেতা ওলি বিস্ময় নিয়ে বলেন, ‘কি বলেন, এইখানে যানজট থাকবো না? একদিন যানজট না হলে মনে হয় অন্য কোন এলাকায় আইসা পড়ছি।’ তিনি বলেন, ‘আগে এত খারাপ অবস্থা ছিল না। কিন্তু মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের কাজ চলায় ও রমজান শুরু হওয়ায় অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। এই রাস্তা দিয়া এখন যাওয়াই মুশকিল। বনানী থেকে মতিঝিল কমলাপুর বাসের সুপারভাইজার নাসির উদ্দিন বলেন, এমন একটা দিন বাদ নেই যে বাংলামোটর থেকে মগবাজার চৌরাস্তা পার হতে আধঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। আবার শান্তিনগর, কাকরাইল পার হয়ে মতিঝিল যেতেও যানজটে পড়তে হয়। ইস্কাটন রোড, মগবাজার, মালিবাগ, মৌচাক, শান্তিনগর এলাকার স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, দিন দিন এই সড়ক ছোট হয়ে আসছে। আর রমজান উপলক্ষে মওসুমি দোকান এখন ফুটপাত ছাড়িয়ে চলে এসেছে রাস্তায়। ফলে, যানজটের মাত্রা আরও বেড়েছে।
দিনভর যেখানে যানজট: ঢাকার যানজটের স্বর্গরাজ্য শাহবাগ ও রূপসী বাংলার মোড়। এখানে মাত্র ২ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে ১ ঘণ্টা। এছাড়া যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, ইত্তেফাক মোড়, মতিঝিল, দৈনিক বাংলা মোড়, পল্টন মোড়, প্রেস ক্লাব, হাইকোর্ট ও মৎস্য ভবন এলাকায় গাড়ির চাকা ঘুরে না বললেই চলে। দুর্বিষহ এ যানজটের পেছনে রয়েছে ট্রাফিক বৈষম্য, সময় মতো ট্রাফিকের জট ছেড়ে না দেয়া, ভিআইপির অজুহাতে কোন লাইন দ্রুত ছেড়ে দেয়া, আবার অন্য লাইন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ রাখা। এছাড়া ঈদকে ঘিরে মানুষের চলাফেরা ও গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এসব যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা গেছে। মতিঝিল থেকে ছেড়ে আসা চিড়িয়াখানাগামী নিউ ভিশনের চালক মো. শুক্কুর আলম বলেন, শাহবাগের অদূরে শহীদ জিয়া শিশুপার্ক থেকে রূপসী বাংলা মোড় পর্যন্ত আসতে সময় লেগেছে ১ ঘণ্টা। অথচ এটুকু পথ পার হতে সময় লাগার কথা মাত্র ২ মিনিট। ঘড়ির কাঁটা ৩টা ছুঁই ছুঁই। মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ ট্রাফিক সিগন্যালের আগ পর্যন্ত অন্তত ছোট-বড় মিলে এক থেকে দেড় শত গাড়ি তীব্র যানজটের কবলে পড়ে। এ সময় বেশির ভাগ গাড়ি ইঞ্জিন বন্ধ করে বসে থাকতে দেখা যায়। সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা মিরপুর ইউনাইটেড পরিবহনের একটি গাড়ির চালক মো. জুয়েল জানান, সদরঘাট থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত ১ ঘণ্টায় এসেছেন। শাহবাগ ও রূপসী বাংলার মোড় পার হতে তার আরও লাগতে পারে প্রায় ২ ঘণ্টা। যোগাযোগ করা হলে শাহবাগ ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট ফিরোজ জানান, ঈদ উপলক্ষে যানজট বেড়ে গেছে। সাধারণত ঈদ ছাড়া একই পরিবারের সব লোক সব সময় বের হয় না। যেহেতু ঈদের কেনাকাটায় সপরিবারে লোকজন বের হচ্ছেন। সে কারণে যানজট একটু বেড়েছে। শাহবাগের পুলিশ ট্রাফিক শফিক বলেন, হঠাৎ গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে। তাই যানজটও বেড়েছে। 
বিআরটিসির দ্বিতল ডিপোর একটি গাড়ি সহজ উপায় খুঁজতে কাকরাইলের পাশ ঘেঁষে ভিআইপি পথ ধরে রূপসী বাংলার উত্তর পাশের সড়কে ঢুকলো। যানজট কিছুটা এড়াতে পারলেও পুরোপুরি নিস্তার পায়নি। রূপসী বাংলার মোড় অতিক্রম করতে গাড়িটিকে সময় দিতে হয়েছে ১ ঘণ্টা। সাড়ে ৩টায় ছেড়ে আসা বাসটি যখন সাড়ে ৪টায় রূপসী বাংলা অতিক্রম করছিল তখন বাসের সহকারী চালক মো. ইউনুস আলী বলেন, ৫ মিটিটের পথ পার হতে লেগেছে ১ ঘণ্টা। তবুও খুশি ইউনুস। বলেন, শাহবাগ দিয়ে এলে লাগতো ২ ঘণ্টা।
প্রেস ক্লাব ও হাইকোর্টের সামনে তীব্র যানজটের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা দুই ট্রাফিক পুলিশ সরোয়ার ও কামাল জানান, ভিআইপিদের প্রোগ্রাম বেড়ে গেলে যানজট বেড়ে যায়। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে মানুষ ও গাড়ি বেড়ে গেছে। সে কারণে যানজট বেড়েছে। গাবতলীগামী ৮ নম্বর পরিবহনের একটি গাড়ি মতিঝিল থেকে পল্টন ছাড়তে পারেনি ১ ঘণ্টায়ও। চালকের সহকারী সাগর জানান, এসব জ্যাম সয়ে গেছে। এটা নতুন নয়, নিত্যদিনের বলে জানান সাগর। এর আগে সকাল ৮টা থেকে ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অফিস আওয়ার হওয়ায় এ সময় গাড়ির সংকটও দেখা যায়। একদিকে যানজট অন্যদিকে গাড়ির সংকট। সব মিলিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
যে রাস্তায় ত্রাহি অবস্থা: সকাল ১১টা। ফার্মগেট মোড়ে কনকর্ড টাওয়ারের সামনের চৌরাস্তা। দীর্ঘ ২০ মিনিট ধরে খামারবাড়ির রাস্তাটি হাতের ইশারা দিয়ে ট্রাফিক পুলিশের সদস্য শামসুল ইসলাম আটকিয়ে রেখেছেন। পেছনে তার দীর্ঘ যানবাহনের সারি সেটি ছাড়িয়ে গেছে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল পর্যন্ত। সামনের প্রায় ১০টি মোটরসাইকেল। সবাই ত্যক্ত-বিরক্ত। কাওরানবাজার থেকে সোজা বিজয় সরণির রাস্তাটির দিকে গাড়ি যাচ্ছে তো যাচ্ছে। ওই সিগন্যালে আটকে থাকা পথচারীদের ক্ষোভের মুখে বাধ্য হয়ে তিনি সিগন্যালটি ছাড়তে বাধ্য হলেন। এই দৃশ্য শুধু খামার বাড়ির স্থানে না। ফার্মগেট, বিজয় সরণি, মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে, আমতলী ক্রসিংয়ে। ওই সব এলাকায় ভয়াবহ সিগন্যাল জটে পড়েছে ওই পথে যাতায়াতকারী পথচারীরা। এতে তারা ভোগান্তির শিকার হন। অনেকেই পরিবহন থেকে নেমে হেটে গন্তব্যস্থলে যান। খামারবাড়ি সিগন্যালে আটকে থাকা ঢাকা মেট্রো-গ-(২৪-১২১৩) নম্বরের শিকড় পরিবহনের চালক সাজ্জাদ হোসেন জানান, জিয়া উদ্যানের সিগন্যালে প্রায় ২৫ মিনিট আটকে থাকতে হয়েছে। আর এখানে প্রায় ২০ মিনিট। তিন মিনিটের রাস্তা পার হতে সময় লেগেছে পৌনে ১ ঘণ্টা। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা তো কোন জীবন নয়। লম্বা ও ভিআইপি সড়কের রাস্তাগুলোর গাড়ি চলাচলে সবসময় ট্রাফিক পুলিশ বেশি সময় নেয়। কিন্তু, চৌরাস্তার পাশের ডান ও বামের রাস্তা গাড়িগুলো ছাড়তে তেমনটা বেশি সময় নেন না।
ভিআইপি ও লম্বা রাস্তাগুলো সচল থাকলে বাম  ও ডান পাশের রাস্তাগুলোর গাড়িগুলো ঢুকতে পারে। ভিআইপি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে আশপাশের রাস্তাগুলোতে আরও ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হবে। তখন ভোগান্তি আরও বৃদ্ধি পাবে। সর্বনিম্ন ৮ থেকে সর্বোচ্চ ২০ মিনিট পর্যন্ত সিগন্যাল ছাড়া হচ্ছে। সকাল ১১টা ৪০ মিনিট। বিজয় সরণির চৌরাস্তা। পাশে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। ট্রাফিক পুলিশ হাফিজ উদ্দীন হাত নাড়াতে ব্যস্ত আছেন। যেন কথা বলার ফুসরত নেই। ভাসানী নভোথিয়েটারের রাস্তায় গাড়ির জট। ডানপাশের ফ্লাইওভারের রাস্তায় আটকে থাকা গাড়িগুলো ওই রাস্তায় ঢুকতে পারছে না। দীর্ঘ ১২ ধরে সেখানে সিগন্যাল দেয়া হয়েছে। আটকে থাকা গাড়ির সারি ফ্লাইওভারের মধ্যখানের ওপর পর্যন্ত চলে গেছে। পরিবহনে আটকে থাকা পথচারীরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। ১১টা ৪৭ মিনিটে ওই রাস্তায় সিগন্যাল ছাড়লেন ওই ট্রাফিক পুলিশের হাফিজ উদ্দীন। তিনি জানালেন, পাশেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সর্বক্ষণ  চেষ্টা থাকে এ এলাকাকে যানজটমুক্ত করার। কেননা এই রাস্তা দিয়ে অনেক ভিআইপি চলাচল করে থাকে। তিনি আরও জানান, বিজয় ফ্লাইওভারের নির্মাণের পর থেকেই মিরপুরগামী সাতরাস্তার সব গাড়িগুলো বিজয় সরণির রাস্তা দিয়ে ঢুকে। আবার অনেকেই ইউর্টান নেয়। এতে ওই এলাকায় এমনিতেই যানজট লেগে থাকে। সেখানে কথা হয় তেজগাঁও থানার ওসি মাজহারুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানালেন, এমনিতেই তেজগাঁও এলাকায় যানজটপ্রবণ এলাকা। টহল পুলিশের দলকে বলে দেয়া হয়েছে যে, যখনই যানজট সৃষ্টি হবে তখন যেন তারা ওই রাস্তাটিকে মুক্ত করে দেয়ার জন্য তারা রাস্তায় নেমে পড়েন।

No comments

Powered by Blogger.