আশরাফকে অব্যাহতি এলজিআরডিতে মোশাররফ, কিশোরগঞ্জে প্রতিক্রিয়া

গুঞ্জনই সত্যি হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মহাসচিব সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে। প্রধানমন্ত্রীর পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদধারী সৈয়দ আশরাফ বাদ পড়ায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে এসেছেন শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুলের শ্বশুর এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন মানবজমিনকে জানান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এখন থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে যাবেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে অব্যাহতি দেয়া হলেও মন্ত্রী থাকছেন সৈয়দ আশরাফ। তবে তার কোন দপ্তর থাকছে না। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দুই মন্ত্রীর দপ্তর বদল-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬-এর রুল ৩(৪)-এ দেয়া ক্ষমতাবলে দুই মন্ত্রীর দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হলো। প্রেসিডেন্টের আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব স্বাক্ষরিত আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে। এ আদেশের মাধ্যমে ১৯৯১ সালের পর ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকের বাইরে কোন নেতা এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন। এর আগে ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকারে জিল্লুর রহমানও একইভাবে এ মন্ত্রণালয়ে ছিলেন। বিএনপির ক্ষেত্রেও একই বিষয় দেখা যায়। এদিকে বিকালে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হওয়ার পর যুবলীগের ইফতারে যোগ দেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সেখানে তিনি মন্ত্রিত্ব থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া দেখাননি। এর আগে গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুপস্থিত থাকায় সদ্য সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। একনেক সভায় এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মন্ত্রীদের অনেকেই ধারণা প্রকাশ করেন, তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে যাচ্ছে। একনেক সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে একান্তে কথা বলায় গুঞ্জন আরও জোরদার হয়। তবে মন্ত্রিসভায় রদবদল ও দপ্তর বণ্টনের দাপ্তরিক কাজ করা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন একই দিন বিকালে বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কোন নির্দেশনা বা সংকেত নেই। একই দিন সন্ধ্যায় নিজ জেলা কিশোরগঞ্জ শহরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতারে অংশ নেয়ার সময় তিনি বিষয়টিকে গুজব বলে অভিহিত করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একনেক সভায় উত্থাপনের জন্য আটটি প্রকল্প তালিকায় প্রথমেই ছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’। পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সভার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরপরই প্রথম প্রকল্প হিসেবে এ প্রকল্প পাসের জন্য ওঠানো হয়। এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী কেউই উপস্থিত ছিলেন না। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তখন বলেন, ছয় হাজার কোটি টাকার এত বড় প্রকল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দুজন মন্ত্রী রয়েছেন, একজনও আসেননি। তাই এ প্রকল্প একনেক সভা থেকে প্রত্যাহার করা হোক। তাদের মতামত নিয়ে প্রকল্পটি পাস করা দরকার। তখনই প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা তাতে বাধা দিয়ে বলেন, প্রকল্পটা প্রত্যাহার করবেন না। তিনি যখন মিটিংয়ে আসেন না, আমি তাকে সরিয়ে (চেঞ্জ করে) দিচ্ছি। এখানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আছেন, তাকে আজই (মঙ্গলবার) চেঞ্জ করতে বলব। এরপর একনেক সভার নিয়মিত কার্যক্রম চলতে থাকে। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে আলাদা কথা বলেন। এরপর সৈয়দ আশরাফকে অব্যাহতির সারসংক্ষেপ তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। গতকাল তা অনুমোদন হয়ে ফেরত আসায় প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর সৈয়দ আশরাফের বাদ পড়ার মধ্য দিয়ে কার্যত প্রথম পরিবর্তন এলো। এর আগে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বাদ পড়েন। নতুন এলজিআরডি মন্ত্রী রুরাল ওয়ার্কার্স প্রোগ্রামের প্রথম প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার মোশাররফ এলজিইডি বিভাগ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছিলেন। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর শেখ হাসিনার সরকারে স্থান পান খন্দকার মোশাররফ। ২০০৯ সালের মন্ত্রিসভায়ও তিনি শুরু থেকে রয়েছেন। অন্যদিকে ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বন্দি হওয়ার প্রেক্ষাপটে দলে সাধারণ সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান সৈয়দ আশরাফ। তখন বিরূপ পরিস্থিতিতে আশরাফের সফলতার মধ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল মুক্তি পেলেও দায়িত্বে আর ফিরতে পারেননি। পরে ২০০৯ সালে কাউন্সিলের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আশরাফ। তার আগে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনার সরকারে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আশরাফ। ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা আবার সরকার গঠন করলে দলের সাধারণ সম্পাদককে একই মন্ত্রণালয়ই দেন শেখ হাসিনা। এর আগে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জেলখানায় সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর লন্ডনে চলে যান আশরাফ। সেখানে আওয়ামী লীগে সক্রিয় ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর শেখ হাসিনার ওই সরকারে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হন আশরাফ। ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতিটি সংসদ নির্বাচনেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন তিনি।
আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, এলজিআরডি মন্ত্রণালয় থেকে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে অব্যাহতি দেয়ার খবরে কিশোরগঞ্জে দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা নেমে এসেছে। দলমত নির্বিশেষে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ এ নিয়ে তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। পরিচ্ছন্ন ও ত্যাগী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত সৈয়দ আশরাফ ষড়যন্ত্রের কাছে পরাজিত হয়েছেন, এমন মন্তব্যও করেছেন কেউ কেউ। দু’দিনের কিশোরগঞ্জ সফর শেষে ঢাকায় ফিরে যাওয়ার পরদিন গতকাল বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। এলজিআরডি মন্ত্রণালয় থেকে সৈয়দ আশরাফকে অব্যাহতি দেয়ার খবর গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হলেও বিকালে সৈয়দ আশরাফ কিশোরগঞ্জ পৌঁছে এটিকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দেন। এই রাজনীতিকের অব্যাহতির খবর স্বভাবতই ব্যথিত ও বিস্মিত করেছে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে।
জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও স্থানীয় দৈনিক শতাব্দীর কণ্ঠের সম্পাদক আহমেদ উল্লাহ বলেন, এমন খবরে কিশোরগঞ্জবাসী হতাশ। এর ফলে জেলায় দলীয় রাজনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। এ ছাড়া চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলোও হুমকির মুখে পড়বে।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আতাউর রহমান বলেন, উনার মতো একজন সৎ রাজনীতিবিদকে অব্যাহতি দেয়ায় কিশোরগঞ্জবাসী হতাশ ও মর্মাহত। এই সিদ্ধান্তের ফলে জেলার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়েও কিশোরগঞ্জবাসী শঙ্কিত।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শরীফ আহমদ সাদী বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নিরেট একজন ভাল মানুষ। ব্যতিক্রমী কিছু গুণের অধিকারী। তার মন্ত্রিপরিষদে না থাকার খবর কিশোরগঞ্জবাসীর জন্য একটি বিরাট দুঃসংবাদ।
হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আয়ুব আলী বলেন, আমরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ। এতে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি বাদল রহমান বলেন, দলের দুঃসময় ও ক্রান্তিলগ্নে সৈয়দ আশরাফ সব সময়ে অনন্যসাধারণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। তার পিতা জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলাম শত প্রলোভনেও মাথা নত করেননি। নিজের জীবন দিয়ে আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিশ্বস্ত থেকেছেন। সেই গর্বিত রক্তের উত্তরাধিকার সৈয়দ আশরাফও দলের এক পরীক্ষিত বন্ধু। তাকে এভাবে অব্যাহতি দেয়া মোটেও সমীচীন হয়নি। কিশোরগঞ্জের ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে আমরা তার পুনর্বহাল দাবি করছি।
কিশোরগঞ্জ সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়কারী এনায়েত করিম বলেন, সুস্থ ধারার রাজনীতিবিদদের যদি এভাবে সরে যেতে হয়, তাহলে নেতৃত্ব চলে যাবে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের হাতে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেশের হাল ধরেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন কারাবন্দি, তখন সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও দলের হাল ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্ত করেন এবং নেতৃত্বের আসনে ফিরিয়ে আনেন। তাই কেন তাকে অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে, সেটি আমাদের বোধগম্য নয়। আমাদের প্রত্যাশা, দল ও দেশের স্বার্থে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে পুনর্বহাল করা হোক। আর এটিই কিশোরগঞ্জবাসীর দাবি।
সদরের গাগলাইল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক ভূঁইয়া বলেন, এলজিআরডি মন্ত্রণালয় থেকে সৈয়দ আশরাফকে অব্যাহতি দেয়ার খবরটি আমাদের ব্যথিত করেছে। দলের দুঃসময়ের এই কাণ্ডারিকে এভাবে সরিয়ে দেয়া সঠিক হয়নি। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ করছি।
শহরের গাইটাল এলাকার ‘রিকশাচালক মজলু মিয়া বলেন, হুনলাম নজরুল সাবের ছেলেরে মন্ত্রী থাইক্যা বাদ দিচে। হের মতো একটা ভালা মানুষরে বাদ দিয়্যা দেঅন ভালা অইছে না।’
দল গোছানের কাজ করবো: মোশাররফ হোসেন
ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও নতুন দায়িত্ব পাওয়া এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আগে দল গোছানোর কাজ তারপর প্রধানমন্ত্রীর একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়ন। দেশের গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নের ব্রত দিয়ে কাজ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করলেন তিনি। মন্ত্রী গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা হতে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ফরিদপুরে এক ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে এসে তার নিজ বাড়ি শহরের বদরপুরের হাসিনা মঞ্জিলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, তিনি তার কর্মজীবন শুরু  করেন এ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। দেশের গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নে এ মন্ত্রণালয় বিশেষ ভূমিকা রাখে। তিনি আশা করছেন দ্রুতই তিনি দেশের অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে পারবেন। এ সময় ফরিদপুরে জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী, পুলিশ সুপার জামিল হাসান, ফরিদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তাকে জেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন  এবং শহরের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ হতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

No comments

Powered by Blogger.