প্রেমের টানে

স্বামী মজির মিয়া প্রবাসে। বসবাস করেন সৌদি আরবে। আর স্ত্রী শিফা বেগম দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করেন বাড়িতে। স্বামী কাছে নেই- এই সুযোগে সিএনজিচালক খালেদের প্রেমে সাড়া দিলো শিফা বেগম। প্রথমে পরকীয়া এরপর একান্তে অভিসার। প্রেমের দুনিয়ায় হাবুডুব খেলো দুজন। এতেও মন ভরেনি শিফার। অবশেষে প্রেমিক খালেদের হাত ধরেই ঘর ছাড়লো সে। গত ৯ই জুন সিলেটের মোগলাবাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়া শিফাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আর প্রবাসীর স্ত্রীর এ পরকীয়ার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। সিলেটের মোগলা-বাজারের প্রবাসী মজির উদ্দিন দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করেন সৌদি আরবে। প্রায় ১০ বছর আগে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ গ্রামের আবদুল মান্নানের মেয়ে শিফা বেগমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর প্রতি দুই বছর পরপর তিনি ছুটিতে দেশে আসেন। কয়েক মাস ছুটি কাটিয়ে তিনি ফের সৌদি আরবে চলে যান। এতে করে মজির ও শিফার সংসারে দুই পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এদিকে মজির মিয়া প্রবাসে থাকায় শিফার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে একই এলাকার সিএনজি চালক খালেদের। সে মোগলাবাজার থানার খন্দিয়ারচর গ্রামের মজুর আলীর ছেলে। পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, খালেদ পেশায় সিএনজিচালক হওয়ায় প্রায় সময় মজির মিয়ার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ট্রিপে যেত। এতে করে মজিরের পরিবারের সঙ্গে তার ভাল সম্পর্ক হয়ে উঠে। মজির মিয়া প্রবাসে থাকার কারণে শিফার সঙ্গে খালেদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সম্পর্কের কারণে বিভিন্ন সময় শিফা প্রেমিক খালেদকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতো। গোপন অভিসারেও মিলিত হয় তারা। সমপ্রতি খালেদের সঙ্গে শিফার সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ হতে থাকে। এলাকায়ও বিষয়টি জানাজানি হয়। এ নিয়ে শিফার স্বামীর পরিবার বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। এ অবস্থায় গত ৯ই জুন শিফা তার প্রেমিক খালেদের হাত ধরে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ছোট ছেলে সাফিকে নিয়ে যায়। এদিকে, শিফা পালিয়ে যাওয়ার পর তার শ্বশুর ও পিত্রালয়ের লোকজন তাকে খুঁজে। কিন্তু কোথাও পায়নি। পরে তারা জানতে পারেন খালেদের সঙ্গেই সে পালিয়ে গেছে। এবং খালেদকে বিয়ে করে সংসার পাতার ফন্দি করছে। তবে, এখনও প্রবাসে থাকা মজির মিয়াকে ডিভোর্স দেয়নি শিফা। ফলে সে এখনও মজির মিয়ার স্ত্রী। এদিকে, সৌদি প্রবাসী মজির মিয়ার স্বজনরা জানিয়েছেন, খালেদের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার দিন শিফা ছোট ছেলে সাফিকে নিয়ে গেছে। পাশাপাশি ১০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ২ লাখ টাকা নিয়ে যায়। এসব বিষয় জানিয়ে ইতিমধ্যে সিলেটের মোগলাবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। মোগলা-বাজার থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূ পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অভিযোগ নেয়া হয়েছে। পুলিশ তাদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে। এলাকার লোকজন জানান, দুই সন্তানের জননী শিফার সঙ্গে সিএনজিচালক খালেদের প্রেমের সম্পর্ক জানতেন অনেকেই। এছাড়া খালেদের সহকর্মী চালকেরা বিষয়টি সবচেয়ে বেশি জানতেন। এক সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া শিফার বড় সন্তানের বয়স ৬ বছর। সে মায়ের জন্য অস্থির হয়ে পড়েছে। এ কারণে তারা শিফার সন্ধান চালাচ্ছেন।

No comments

Powered by Blogger.