বেঁচে উঠলেন ‘মরা’ মানুষ by কাজী আরিফ আহমেদ

যুক্তরাষ্ট্রের উইসকন্সিন অঙ্গরাজ্যের শহর মিলওয়াউকি। সেখানেই একটি বহুতল ভবনে ঘটে গেলো অবিশ্বাস্য এ ঘটনাটি। ৪৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তি টমাস স্যানকমের গার্লফ্রেন্ড জরুরি চিকিৎসা সেবার জন্য প্যারামেডিকের (জরুরি চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক) একটি টিমকে ডেকে পাঠালেন। তিনি বললেন, গত ২ দিন বয়ফ্রেন্ডের কোন সাড়াশব্দ পাননি তিনি। তিনি কেন আগে বিষয়টি জানালেন না, তা অবশ্য জানা যায়নি। উদ্বিগ্ন গার্লফ্রেন্ডের ফোন কল পেয়ে ৪৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বহুতল অ্যাপার্টমেন্টে যায় প্যারামেডিকদের টিমটি। যখন তারা খবর পেয়ে ওই ব্যক্তির অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছালেন, দেখলেন একটি শীতল, বিবর্ণ ও শক্ত হয়ে যাওয়া নিথর দেহ পড়ে আছে মেঝের ওপর। খাটের একটি পায়ের কাছে মৃতদেহটি নিশ্চল পড়ে ছিল। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্যারামেডিকরা ওই ব্যক্তির নাক ধরে মুখে শ্বাস দিয়ে ও বুকে চাপ দেয়ার প্রচলিত পদ্ধতি প্রয়োগ করে তাকে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করেননি। কারণ, তারা মনে করেছিলেন এতে আর কোন কাজ হবে না। এভাবে কেটে গেলো প্রায় ৫০ মিনিট। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেখানে পৌঁছানোর পর তার পরিবারের সদস্যদের ভয়াবহ খবরটি জানালেন। তিনি টমাস স্যানকমকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই চিকিৎসক মৃতদেহটি মর্গ বা শবাগারে নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ সারছিলেন। ঠিক এমন সময় তিনি খেয়াল করলেন, মৃত ঘোষিত টমাস হাত ও পা নাড়াতে শুরু করেছেন। এক মুহূর্ত দেরি না করে জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে যাওয়া প্যারামেডিকের টিমটি ওই ব্যক্তিকে সবচেয়ে কাছের হাসপাতালে ভর্তি করলেন। টমাসের গার্লফ্রেন্ড বা প্যারামেডিকদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে রাখা হয়েছে তাকে। তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

No comments

Powered by Blogger.