‘প্রমাণ দিন রিজাইন করবো’ -সাঈদ খোকন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন নগর উন্নয়নে যে কোন মূল্যে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, আপনারা ‘আই ওপেনার’। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ লিখে আমাদের চোখ খুলে দিন। আমরা আপনাদের নিয়ে এক সঙ্গে কাজ করতে চাই। গতকাল দুপুরে নগর ভবনে সিটি করপোরেশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে মেয়র সাঈদ খোকন এসব কথা বলেন। তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন অভিযোগ ও পরামর্শ শুনেন এবং সেগুলো আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। সাঈদ খোকন বলেন, কিছু আলোচনা-সমালোচনা থাকবেই। এটাকে আমরা টলারেট করবো। তবে লেখার মধ্যে পক্ষপাত করবেন না। মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকরা সিটি করপোরেশনের দুর্নীতি, বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা, জনগণের দুর্ভোগ, করপোরেশনের জনসংযোগ বিভাগের দুর্বলতা, জনসংযোগ বিভাগকে আধুনিকীকরণ, মিডিয়া সেন্টার স্থাপনসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, নগরবাসীর সমস্যা সমাধানে আমি কাজ করে যাচ্ছি। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া রাস্তায় পাবলিক টয়লেটের বিষয়ে তিনি বলেন, রাস্তার মোড়ে মোড়ে অনেক  পেট্রলপাম্প রয়েছে। সেখানে পাবলিক টয়লেট স্থাপনের চিন্তাভাবনা করছি। কেননা পেট্রল পাম্পগুলো অনেক জায়গা নিয়ে করা হয়। সেজন্য রাস্তার পাশের পেট্রল পাম্পগুলোতে টয়লেট করলে ভাল হবে। বিশেষ করে নারীদের টয়লেটের প্রয়োজনটা বেশি। তাই আগামী দুই একদিনের মধ্যে পেট্রল পাম্পগুলোর মালিকদের সঙ্গে কথা বলে কাজ শুরু করবো। তিনি নগর ভবনকে দ্রুত ওয়াই-ফাই করা, জনসংযোগ বিভাগকে আধুনিকীকরণ, মিডিয়া সেন্টার স্থাপন, সাংবাদিকদের তথ্য প্রদানে প্রত্যেক বিভাগের প্রধানকে নির্দেশনা দেয়াসহ সাংবাদিকদের সুবিধার্থে বিভিন্ন কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন। মেয়র হিসেবে দুই সপ্তাহের কাজের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, অনেকে বলেছেন, কাজটা চ্যালেঞ্জিং এবং অনেক কঠিন। কিন্তু আমার কাছে এখনও সেরকম মনে হয়নি। আমি বলবো, আমি কাজ করতে গিয়ে দেখেছি। এই শহরটার জন্য প্রত্যেকের অনেক টান আছে, ভালবাসা আছে। এখন সে যেই হোক। সাংবাদিক হোক, বুদ্ধিজীবী হোক, সাধারণ মানুষ হোক, সব শ্রেণির মানুষই এ শহরটাকে ভালবাসে। সবাই শহরটিকে ভাল দেখতে চান। সবাই আমাকে সহযোগিতা করছেন। এভাবে সহযোগিতা করলে আশা করি যে কোন চ্যালেঞ্জ জয় করা সম্ভব।
সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারদের কেউ কেউ সাম্প্রতিক নির্বাচনের সময় মেয়রের জন্য কোটি টাকা খরচ করেন। পরে এর প্রভাব খাটিয়ে করপোরেশনে দাপট দেখিয়ে চলবেন ওই টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করবেন- সাংবাদিকদের এমন অভিযোগের জবাবে মেয়র বলেন, ‘কেউ যদি এমন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে তা হলে আমি সঙ্গে সঙ্গেই রিজাইন করবো। যে বলেছে তাকে আমার সামনে ধরে নিয়ে আসবেন। আমি এরই মধ্যে সব বিভাগকে বলে দিয়েছি কেউ যদি আমার নাম ভাঙিয়ে কিছু করে তাকে পুলিশে দেবেন। মেয়র জানান, তিনি বোর্ড সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। যে কোন বিষয়ে খোলামেলা পরামর্শ নেবেন। করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের তথ্য সাংবাদিকদের সরবরাহ করতে বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিবেন। তার দরজা নগরবাসীসহ সাংবাদিকদের জন্য সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। করপোরেশনের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী গিয়াস উদ্দিন সুমন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.