মাইক্রোবাসে ধর্ষণের ঘটনায় হাইকোর্টের রুল

রাজধানীতে মাইক্রোবাসে তুলে এক গারো তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। রুলে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিতে বিলম্ব কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, অবহেলার জন্য দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না এবং ধর্ষিতাকে কেন ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের দায়ের করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে। এছাড়া থানায় ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ ও জন্ম পরিচয় নির্বিশেষে বৈষ্যমহীনভাবে সবার সেবা নিশ্চিত করার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে একটি প্রজ্ঞাপণ জারির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যৌন হয়রানি ও যৌন সহিংসতা রোধে বিদ্যমান আইন ও প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, আইনজীবী ও নারী অধিকারকর্মীদের নিয়ে একটি কমিটি করতে রিটকারীদের কাছে নামের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৩১শে মে’র মধ্যে এই তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। নারীপক্ষ, মহিলা পরিষদ, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, আইন ও শালিস কেন্দ্র এবং ব্লাস্ট রোববার এই রিট আবেদন দায়ের করে। রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন জেড আই খান পান্না ও মেহবুবা জুঁই। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নুসরাত জাহান।

No comments

Powered by Blogger.