কনে বাল্যবান্ধবী রায়না কি শাদি

ভারতের রাজধানী দিল্লির চাণক্যপুরি অঞ্চলের পাঁচতারা হোটেল দ্য লিলা প্যালেস। সুরেশ রায়না-প্রিয়াংকা চৌধুরীর বিয়ের মণ্ডপ। শুক্রবার ভারতের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাবলীর মধ্যে ‘রায়না কি শাদি’ ছিল একনম্বরে, যে শাদির অনুষ্ঠানে শুক্র-সন্ধ্যায় সস্ত্রীক ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি হাজির হন। ছিলেন সদ্যসমাপ্ত বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অন্যতম তারকা শিখর ধাওয়ানের পাশাপাশি রায়নার প্রিয় বন্ধু, ভারতীয় দলের সাবেক পেসার আরপি সিং, ইশান্ত শর্মা ও মোহাম্মদ সামি এবং অবশ্যই জুটিতে বিরাট-আনুশকা।
আইপিএল আটের পর রায়না-দম্পতি মধুচন্দ্রিমায় যাবেন মিলানে। যে দেশে বলতে গেলে ক্রিকেটের নামগন্ধ নেই, সেই ইতালি কেন সুপারস্টার ক্রিকেটারের মধুচন্দ্রিমার স্টেশন? হতেই পারে রায়নার স্ত্রী ক্রিকেটের চেয়ে বেশি ফুটবলভক্ত বলে! তবে চারবারের ফুটবল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দেশের কেউ নন, প্রিয়াংকার ফেভারিট ফুটবলার হলেন লিওনেল মেসি এবং রবিন ভ্যান পার্সি। ক্রিকেটে নাকি তেমন আগ্রহই নেই রায়না-পত্নীর! কে বলতে পারে মিলানে মধুচন্দ্রিমার ফাঁকে এসি মিলান কিংবা ইন্টার মিলানের ম্যাচে মাইকেল এসিয়েন বা ‘অ্যালপাইন মেসি’ জারদান শাকিরি দেখতে গেলেন প্রিয়াংকা! নিজের বিয়ের ব্যস্ততার মধ্যেও রায়না বললেন, ‘বিরাট-আনুশকা তো আমার কাছে একরকম আবদারই জুড়েছে যে, এবার আইপিএলে স্ট্যান্ড থেকে আমার জন্য গলা ফাটাক প্রিয়াংকা। কিন্তু সেটা বোধহয় হচ্ছে না।
আইপিএলের সময় ও তো নেদারল্যান্ডস ফিরে যাচ্ছে। ওখানকার ব্যাংকে ওর চাকরিতে বেশি দিনের ছুটি পায়নি।’ দু’জন বাল্যবন্ধু হলেও দেখা-সাক্ষাৎ প্রায় ছিল না বললেই চলে। সাত বছর আগে ২০০৮-এ একবার মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য রায়না-প্রিয়াংকার দেখা হয়েছিল। তাও এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে। প্রিয়াংকা যাচ্ছিলেন নেদারল্যান্ডসে নিজের কর্মস্থলে। আর রায়না চেন্নাইয়ে সিএসকের প্রস্তুতি শিবিরে। এরপর দু’জনের ফের চাক্ষুষ দর্শন এ বছরই। এই সেদিন বিশ্বকাপ শেষে। আধঘণ্টার জন্য। তারপর নিজেদের বিয়ের মণ্ডপে! রায়নার বিয়ের পুরো ব্যাপারটা দেখভাল করেছেন তার মা। রায়নার মায়ের সঙ্গে প্রিয়াংকা-পরিবারের বরাবরের ঘনিষ্ঠতা। অস্ট্রেলিয়ায় রায়নার সাম্প্রতিক থাকার একদিন তার মা সটান মোবাইলে জানিয়ে দেন, তোমার বিয়ের দিন ঠিক হয়ে গেছে। প্রিয়াংকার সঙ্গে। সেলিব্রিটি ছেলে কোনো আপত্তি করেননি। তবে বাইশ গজে তার ব্যাটের মতোই বিয়েতেও রায়না ইম্প্রোভাইজেশন দেখালেন যেন! নিয়ম মতো তাদের পরিবারের সব বিয়েতে বরের মামা ঘোড়ার পিঠে ভাগ্নেকে চাপিয়ে বিয়ের আসরে নিয়ে আসেন। পারিবারিক সেই প্রথা কিন্তু ভেঙে দিয়ে সুরেশ রায়না ঘোড়ার পিঠে চেপে বিয়ে করতে আসেননি! ওয়েবসাইট।

No comments

Powered by Blogger.