বিমানটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান লাভ, নিহত ১৪৮

জার্মান উইংস নামের উড়োজাহাজটির মডেল নম্বর এ৩২০
লুফথানসা এয়ারলাইন্সের জার্মান কেরিয়ার জার্মানউয়িংসের এয়ারবাস এ৩২০ ফ্লাইট 4U 9525 বিমানটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া গেছে। ফ্রান্সের আল্পস পর্বতমালার ২ হাজার মিটার উচ্চতায় বিমানটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজ মিলেছে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। বিমানটির ৬ জন ক্রুসহ ১৪৮ যাত্রীর কারো বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ফ্রঁসোয়া ওলাঁদ জানিয়েছেন। যাত্রীদের বেশিরভাগই জার্মান নাগরিক বলেও ওলাঁদ জানিয়েছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালও যাত্রীদের কেউ জীবিত নেই বলে তার আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছেন। স্পেনের বার্সেলোনা এয়ারপোর্ট থেকে জিএমটি ৮টা ৫৫ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়ন করে বলে স্পেনিশ এয়ারপোর্ট অপারেটর আয়েনার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।  তবে  এ বিষয়ে বিস্তারিত বা বিমানটির যাত্রীদের বিষয়ে আরো জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।  খবর বিবিসি ও দ্য হিন্দুর
১৪৮ জন যাত্রী নিয়ে উড্ডয়নের প্রায় ২ ঘন্টা পর এয়ারবাস এ-৩২০ বিমানটি বিপর্যয় সংকেত [ডিস্ট্রেস সিগনাল] পাঠায়। তখন বিমানটি বারসেলনেত ও ডিগনে নামে দুটি এলাকার মধ্যবর্তী আল্পস পর্বতমালার কোনো এক এক  দুর্গম এলাকার উপরে ছিল এবং সেখানেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি ৩৮ হাজার ফুট উপর দিয়ে উড়ছিল। তবে নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় বিমানটি ৬,৮০০ ফুট নিচে নেমে আসে। আর তখনই বিধ্বস্ত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিমানটি স্পেনের বার্সেলোনা এয়ারপোর্ট থেকে জার্মানির ডুসেলডর্ফ শহরে যাচ্ছিল।
এদিকে, ফ্রান্সের বিইএ দুর্ঘটনা তদন্তকারী সংস্থা দুর্ঘটনার কথা নিশ্চিত করেছে। সেই সঙ্গে সংস্থাটির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, বিমানটির দুর্ঘটনাস্থল তদন্তে তারা একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলাঁদ বলেন, দুর্ঘটনার অবস্থা দেখে অামাদের ধারণা যে বিমানটির যাত্রীদের কেউ হয়তো বেঁচে নেই।' তিনি আরো বলেন, 'দুঘর্টনাটি এমন একটি অঞ্চলে সংঘটিত হয়েছে যেখানে যাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য।'
জার্মানউয়িংস ও লুফথানসার পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বিমানটির নিহত যাত্রীদের পরিবারের সদস্যের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে কি কারণে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তা জানা যায়নি। খবর দ্য হিন্দু, বিবিসি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার
উল্লেখ্য, চলতি বছর এটাই সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনা। গত বছর মোট তিনটি বড় ধরনের বিমান দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। এর মধ্যে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০ ও ফ্লাইট এমএইচ১৭  যথাক্রমে ৮ মার্চ ও ১৭ এপ্রিল দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আর এয়ারএশিয়ার ফ্লাইট কিউ জেড ৮৫০১ বিমানটি  ২৮ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়।  এর মধ্যে ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০ বিমানটির এখনো কোনো হদিস মিলেনি। বিমানটিতে মোট ২৩৯ জন যাত্রী ছিল।  ফ্লাইট এমএইচ ১৭ বিমানটির ২৯৬ জন যাত্রীর সবার মৃত্যু হয়।  এয়ারএশিয়ার বিমানটিরও সব যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.