বিহারে নকল ঠেকাতে গুলি

ভারতের বিহার রাজ্যে ধর্মীয় রীতি-নীতির মতো সামাজিক রেওয়াজগুলোর অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ হল ‘নকল’। সরকারের প্রচার-প্রচারণা, পুলিশের ধরপাকড়েও এ প্রজন্ম ধ্বংসের জীবাণুটিকে ধ্বংস করা যায়নি। অবস্থা এমন যে, বুধবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী নিজেই বলেছেন, এখানে নকল ছাড়া পরীক্ষা অসম্ভব। বিহারের বৈশালির একটি স্কুলের চারতলা ভবনে স্বজনদের দেয়াল বেয়ে নকল সরবরাহের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর এ মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।
তারপরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। শুরু হয়েছে ধরপাকড়, লাঠিচার্জ। শেষ পর্যন্ত শূন্যে ফাঁকা গুলি ছুড়েও দমানো যাচ্ছে না ‘নকল ঐতিহ্য’। গুলির ঘটনাটি ঘটেছে পাটনায়। নকল ঠেকাতে গুলি চালাতে হয়েছে পুলিশকে। শনিবারও দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় নকল সরবরাহে মরিয়া ছিলেন পরীক্ষার্থীদের আত্মীয়-স্বজনরা। পাটনার বৈশালির একটি স্কুলে নকলে সাহায্য করতে আসা লোকজনের ভিড় থামাতে শূন্যে গুলি ছুঁড়তে হয়েছে পুলিশকে। কয়েক জায়গায় লাঠিচার্জও করা হয়েছে। গত দু’দিনে নকলে সাহায্য করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ১০০০-র কাছাকাছি মানুষকে। তার মধ্যে শনিবারই গ্রেফতার হন ১০০ জন,
অধিকাংশই পরীক্ষার্থীদের স্বজন। বহিষ্কার করা হয়েছে প্রায় ৭০০ পরীক্ষার্থীকে। জনপ্রতি জরিমানা করা হয়েছে ২০০০ রুপি। অন্যদিকে এ ঘটনায় বিহার সরকারের কাছ থেকে কেন্দ্র রিপোর্ট তলব করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহা। বিহার সরকার ব্যর্থ বলেও দাবি করেন তিনি। বিহারে এবার দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় বসছেন মোট ১৪.২৬ লাখ ছাত্রছাত্রী। রাজ্যজুড়ে ১ হাজার ২১৭টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১৭ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে পরীক্ষা, চলবে ২৪ মার্চ পর্যন্ত। শুক্রবার পাটনা হাইকোর্টের ভর্ৎসনা এবং নকল বন্ধে কড়া নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন সবক’টি কেন্দ্রে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.