রাজনৈতিক কৌশলে মারাত্মক ভুল by মো. আবদুর রশীদ

লাগাতার অবরোধ চলছে। অবরোধ টিকিয়ে রাখতে যানবাহনের ওপর পেট্রোল বোমা দিয়ে চোরাগোপ্তা আক্রমণও চলছে। নিরীহ মানুষ পুড়ছে। ঝলসে যাওয়া মানুষে ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালের বার্ন ইউনিট। শঙ্কিত মানুষ ভয়াবহ এবং নির্মম হামলায় ক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদমুখর। হামলাকারীরা নিবৃত্ত না হয়ে বরং আন্দোলনকে ভয়ভীতির মাধ্যমে সফল করতে হামলার মাত্রা বাড়ানোর শেষ চেষ্টা করছে। হামলা ঠেকাতে পুলিশ-বিজিবি বাড়াচ্ছে তৎপরতা। তবুও স্বস্তি আসছে না জনমনে। মুক্ত ও স্বাধীন চলাচলে ভীতির বিশাল ছায়া পড়েছে। বাজার অর্থনীতি ঝুঁকির মুখে এবং মানুষের আয় সংকট তীব্র হয়েছে। তথাপি বিএনপি-জামায়াতের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতিপাদ্যটি বাতাসে সুগন্ধ ছড়িয়ে মানুষকে আকর্ষিত করার চেয়ে বিকর্ষিত করায় আন্দোলনের রাজনৈতিক কৌশল ভেস্তে গেছে। বাঁচার সব সুযোগকে বন্দি করে ভোটাধিকারের লড়াই মানুষের কাছে আবির্ভূত হয়েছে আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও নাশকতা একটি সুনির্মিত রাজনৈতিক প্রতারণা হিসেবে। আমজনতার সরব অনুপস্থিতি এবং শান্ত মাথায় মানুষ পোড়ানোতে আন্দোলনকারীদের অবিচলতা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে অনেক দূরে ঠেলে দিয়েছে। ফলে আন্দোলন ভেঙে পড়ছে। আন্দোলনকে জিইয়ে রাখতে পেট্রোল বোমা আর ককটেলকে প্রধান ও একমাত্র অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং মনে হচ্ছে, মিডিয়াই আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার মূল বাহন। এ দুটিকে বাদ রাখলে আন্দোলনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
রাজনৈতিক কৌশলে অঢেল ত্রুটি থাকায় আন্দোলনে শুরু থেকেই অসংখ্য ফাটল সৃষ্টি হয়, যা এখন খান খান করে ফেলেছে গোটা আন্দোলনকে। রাজনৈতিক কৌশল নির্মাতারা প্রলম্বিত সন্ত্রাস ও নাশকতাকে ভিত্তি করে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে দেশকে অচল ও জীবনযাত্রাকে স্তব্ধ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে। পেট্রোল বোমাকে মূল ভিত্তি ও সাধারণ মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করে তৈরি হয়েছিল আন্দোলন-সফলতার স্বপ্নীয় তত্ত্ব। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে পেট্রোল বোমার আগুনের মূল ভিকটিম খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তাহীন করতে পারলেও নিষ্ঠুর ও বর্বর কৌশল দেশ-বিদেশে মারাত্মক বিতর্কে পড়ে সমর্থনের বদলে ঘৃণা ও নিন্দা কুড়িয়েছে বেশি। জ্যান্ত মানুষ পুড়িয়ে মারার অনৈতিক ও মানবতা-বর্জিত পন্থার সঙ্গে বিশ্বের দুর্ধর্ষ ও নিষ্ঠুর জঙ্গি দল ইসলামিক স্টেট, আল কায়দা, তালেবান ও বোকো হারামের পৈশাচিকতার সঙ্গে মিল পাওয়ায় শঙ্কিত হয়ে ওঠে বিশ্ব। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের চালকদের সঙ্গে জঙ্গি-সখ্য ও আড়ালে থাকা দেশীয় জঙ্গি অপশক্তির সক্রিয় অংশগ্রহণের অনেক চিহ্ন ইতিমধ্যে সুস্পষ্ট হয়ে ওঠায় নতুন দুশ্চিন্তার জন্ম দিয়েছে। জঙ্গিবাদের স্নায়ু কেন্দ্র পাকিস্তান বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তাদের সপক্ষ শক্তিকে জিইয়ে রাখতে বিজয়ের পরের দিন থেকেই স্বার্থের হাতকে না গুটিয়ে আরও সক্রিয় রেখেছে। যখনই সুযোগ পেয়েছে তখনই কলকাঠি ঘুরিয়েছে। এবারও কোনো ব্যতিক্রম নেই এবং অদূর ভবিষ্যতে কোনো পরিবর্তন আশা করা যায় না। পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মকর্তা মাজহাব খানের জাল টাকার আদান-প্রদান করার সময় পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ার ঘটনা নতুনভাবে পুরনো ধারণাকে পুনঃস্থাপন করল। তাকে ছেড়ে দেওয়ায় পাকিস্তান তদন্ত পাশ কাটানোর সুযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। পাকিস্তানি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর হয়ে কাজ করছিলেন মাজহাব। তদন্ত ও বিচার এড়িয়ে পাকিস্তানে চলে যেতে সক্ষম হওয়াই বাংলাদেশের চোস্ত কূটনীতি কিছুটা হলেও ভোঁতা হয়েছে বলে জন-ধারণাকে পোক্ত করেছে।
গণতন্ত্রের আন্দোলন শান্তির পথ ছেড়ে নাশকতা ও সন্ত্রাসের পথ ধরার ফলে আন্দোলনের গণতান্ত্রিক চরিত্র পরিবর্তিত হয়ে সন্ত্রাসী রূপ নিয়েছে। নাশকতার প্রকৃতির সঙ্গে জঙ্গি দলের কৌশলের সাদৃশ্য এবং স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর অংশীদারি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পুরনো প্রতিশোধলিপ্সার যুদ্ধে পরিগণিত হয়ে দেশ ধ্বংসের নীলনকশা হিসেবে দেখছেন অনেকেই।
নাশকতা ও সন্ত্রাসের চরিত্র থেকে তিনটি লক্ষণ ফুটে উঠেছে। প্রথমত, চাঞ্চল্যকর নাশকতার মাধ্যমে মিডিয়ার প্রচার লাভ করে দেশ-বিদেশের দৃষ্টি আকর্ষণ; দ্বিতীয়ত, বেসামরিক নিরীহ নাগরিকদের পূড়িয়ে মেরে সরকারের শক্তি ও সক্ষমতার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে নাগরিক নিরাপত্তার দাবিকে চাঙ্গা করে সরকার উৎখাতে সক্রিয় করা; তৃতীয়ত, ভয়-ভীতি দিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করে একটি আনুগত্য আদায়ের বার্তা দেওয়া_ আন্দোলনকারীদের প্রতি সমর্থন না করলে বর্বরতা চলতেই থাকবে। জীবিকার পথ বন্ধ করে জনগণের ভোগান্তিকে বাড়িয়ে তাদের উত্ত্যক্ত করে সরকারবিরোধী আন্দোলনে শরিক হতে বাধ্য করা। আন্দোলনকে সার্থক করে তোলার জন্য নিষ্ঠুর ও বর্বর সন্ত্রাসী কৌশলের আশ্রয় নেওয়া বাস্তবিক অর্থে সফলতা পায়নি। জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে জনগণের জীবন-জীবিকার অধিকারকে চরমভাবে অবজ্ঞা করে আন্দোলনচালকরা কীভাবে জনসম্পৃক্ততা তৈরির ধারণা করেছিলেন, তা বোধগম্য নয়।
জামায়াতের খপ্পরে পড়ে পথহারা হয়ে বিএনপি স্বকীয়তা হারানোর মুখে পড়েছে। আওয়ামীবিরোধী জনগণের একটি বড় অংশের প্রতিনিধিত্ব করে বিএনপি। বাংলাদেশবিরোধী অংশ বিএনপির সঙ্গে বেশি নৈকট্য অনুভব করে। ভুল কৌশল রচনাকারীরা সার্থকতার শেষ স্টেশনে পেঁৗছে যাওয়ার আনন্দে থাকলেও বাস্তবতা উল্টো।
আন্দোলনের সুস্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণে বিএনপি-জামায়াত সক্ষম হয়নি। উদ্দেশ্যের সততার সঙ্গে আন্দোলনের জনসমর্থন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সময়ের সঙ্গে আন্দোলন প্রত্যাহারের পূর্বশর্ত বারবার পরিবর্তিত করায় আন্দোলনের সঠিক উদ্দেশ্যের যথার্থতা বিনষ্ট হয়েছে। বাইরে একটা ভেতরে একটা উদ্দেশ্য দেখে মানুষের আস্থা দুলেছে দোটানায়। যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে বিএনপির অস্পষ্ট অবস্থান প্রচ্ছন্ন বিরোধিতার শামিল হওয়াই জামায়াতের সঙ্গে সখ্য পেতে সাহায্য করেছে। আন্দোলনের লক্ষ্য এই বিচার বন্ধে লুক্কায়িত রয়েছে।
দ্রুত বর্ধনশীল জীবনযাত্রার মান ও দেশের চলমান অগ্রগতিকে উল্টোদিকে ধাক্কা দিয়েছে এই সহিংসতা ও নাশকতাভরা আন্দোলন। নিরীহ মানুষের জীবনকে তুচ্ছ ভাবা, পোড়া লাশ তৈরি করা আন্দোলন যে গণবান্ধব বা দেশবান্ধব রাজনীতি নয়_ সেটার প্রকাশ ঘটছে বোমাবাজদের পাকড়াও করে গণপিটুনির মধ্যে। দেশের অর্থনীতির ক্ষতির সঙ্গে বেশি দুর্ভোগে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের খেটে খাওয়া মানুষ। বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিনের অর্জিত আয়ের ওপর নির্ভরশীল নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের বড় অংশ। কৃষি ও শিল্পের উৎপাদনের কাঁচামালের সরবরাহ যেমন প্রয়োজনীয় এবং বিভিন্ন প্রান্তে উৎপাদিত পণ্যের বাধাহীন সরবরাহ, বিপণন অর্থনীতি ও জীবিকার জন্য অপরিহার্য। কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের শতকরা ৮০ জনের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে এইভাবে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যতাড়িত অবরোধ সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার স্নায়ুকেন্দ্রকে ছিন্নভিন্ন করার চেষ্টা করেছে। জীবনযাত্রাকে থমকে দিলে এবং দেশের অর্থনীতির চাকা বন্ধ হলে মানুষের দৈনিক আয় বন্ধ হয়ে বিরাট অংশের মানুষের দু'বেলা খাবার জোগানো সংকটে পড়েছে। ঝুঁকিতে থাকা মানুষ অনাহারী অবস্থা খুব বেশিক্ষণ বইতে পারে না। আন্দোলন মানুষের এই দুর্বল জায়গাকে কাজে লাগাতে চেয়েছে, যা বাস্তবে হিতে বিপরীত হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াতের বিভীষিকাময় আন্দোলন যে হালকা চিন্তা ও সন্ত্রাসনির্ভর, যা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেয়ে ত্বরিত সরকার উৎখাতের দিকে বেশি মনোনিবেশিত। রাষ্ট্র ও গণতান্ত্রিক স্বীকৃত পন্থার বিকল্পগুলোকে মাথায় না নিয়ে জনগণকে অতিষ্ঠ করে উদ্দেশ্য হাসিলের পথ অনুসরণ করেছে। স্বাধীনতা-উত্তরকালে বাংলাদেশের জনগণ এই চরম মাত্রার সহিংসতা আগে কখনও দেখেনি। চলমান আন্দোলনে চরম সহিংসতার ব্যবহার সংঘাত ও আন্দোলন বিশেষজ্ঞদের নির্বাক করে দিয়েছে। নিরীহ জনগণের ওপর বর্বর হামলা ও নৃশংসতার কৌশল দেখা যায় শুধু জিহাদি ও চরমপন্থি দলের মধ্যে। নিরীহ মানুষ নিধন ও জীবনযাত্রাকে আন্দোলনের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নেওয়ার পেছনে কাজ করছে অগণতান্ত্রিক ও অনৈতিক ধারণা। বিএনপির মতো রাজনৈতিক দল সহিংসতাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার এবং জামায়াতের সঙ্গে মিলে নাশকতা চালানোতে নতুন জঙ্গি হুমকি তৈরি হয়েছে, যা শুধু বাংলাদেশসহ সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতায়। মুসলিম জনবহুল দেশ হিসেবে অস্থিতিশীল বাংলাদেশ সারাবিশ্বের জঙ্গি নকশা নতুন করে আঁকবে বলে পশ্চিমা বিশ্বের দুর্ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মধ্য-ডানপন্থি বিএনপি ও উগ্র মৌলবাদী জামায়াতে ইসলামীর জোট গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত এবং স্থিতিশীল বিশ্বের হুমকি। বিএনপি-জামায়াত রচিত রণকৌশল শুধু দেশকেই জিম্মিদশায় ফেলেনি; সঙ্গে নিজেরাও খাদে পড়েছে।
আন্দোলনে মানুষের সক্রিয় সাড়া না দেখে ও মানুষ পোড়ানোর মহাউৎসব দেখে নড়াচড়া শুরু করেছেন পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা। তবে এবার যথেষ্ট সতর্কভাবে এগোচ্ছেন তারা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো নিজেরাই সন্ত্রাসী হামলার শিকার হওয়াই অন্য দেশের সন্ত্রাস থেকে উত্থিত হুমকিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। জাতিসংঘ মহাসচিব উদ্যোগ নিয়ে শান্তিরক্ষী বিভাগের সহকারী মহাসচিব তারানকোকে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যে মার্কিন সহকারী মন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়ালের সঙ্গে কথা বলেছেন। নাগরিক কমিটি নামে বিভাজিত সুশীলের এক দল দেশীয় সুশীল উদ্যোগী হয়েছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো মানুষ পোড়ানোর বিরুদ্ধে সরব হলেও দেশেরগুলো মানুষ পোড়ানোকে রাজনীতি উপজাত বলে প্রচ্ছন্নভাবে বৈধ বলে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা থেকে বিরত হয়ে মানবতার পক্ষে অবস্থানকে পোক্ত করতে পারেনি।
রাজনৈতিক দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনের নামে অবরোধ, হরতালের মাত্রা ও কাল জনগণের সহনশীলতার বাইরে চলে যাওয়ায় জনসমর্থনের অভাবে আপনাআপনি ভেঙে পড়ল। ভাতের আগে ভোট নিয়ে গোপন আয়ের সুবিধাভোগী নেতারা খুব সোচ্চার ও সক্রিয় হলেও সুন্দর জীবন ও ভাতের জন্য কর্মযুদ্ধে থাকা মানুষ অনাহারে ও অর্ধাহারে থেকে অবরোধের পেছনে জীবন দেবেন_ কৌশল প্রণেতাদের এই ধারণার ভিত্তি নিতান্তই দুর্বল ছিল। জনগণই অগ্রহণযোগ্য আন্দোলন ভেঙে দিয়েছে। এখন বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে পুনরুদ্ধারের কৌশল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন দেশি-বিদেশি কুশীলবরা। বিনির্মিত নতুন কৌশলের ওপর নজর রেখেছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও বিশেল্গষকরা।
আন্দোলন থেকে কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জনে সক্ষম না হওয়ায় বিএনপি দুটি নতুন চাপের সম্মুখীন হয়েছে। প্রথমত, গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে পুনঃস্থাপিত হতে জঙ্গিবাদের ধারক ও বাহক হিসেবে চিহ্নিত জামায়াতের সঙ্গে সঙ্গ ত্যাগ; দ্বিতীয়ত, সন্ত্রাস ও নাশকতার পথকে পরিহার করে নতুন ভাবমূর্তি তৈরি। দুটি সিদ্ধান্তই খুব গুরুত্বপূর্ণ ও অস্তিত্ব-সংশ্লিষ্ট। এই আন্দোলন থেকে সুস্পষ্ট হয়েছে যে, বাংলাদেশের জীবনযাত্রার অগ্রগতি থেকে সৃষ্ট জনমানুষের ধারণাগত পরিবর্তনের ফলে রাজনীতির চিরাচরিত ভাবনা অচল। বিশ্বায়নের নতুন যুগে এবং মানুষের উন্নত জীবনযাত্রার প্রত্যাশার পটভূমিতে রাজনীতির নতুন ধারণা উদ্ভাবন অপরিহার্য। গোঁড়ামি বাদ দিয়ে নতুন ধারণার কৌশল উদ্ভাবনে ব্যর্থ হলে রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়বে চিরাচরিত ধারণার দলগুলো।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল; স্ট্র্যাটেজি ও নিরাপত্তা বিশেল্গষক; ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-এর নির্বাহী পরিচালক

No comments

Powered by Blogger.