দিল্লিতে সুনামি, ঢাকায় ঝড় ও শান্তি সেনার পদধ্বনি by মাসুম খলিলী

গত সপ্তাহে দক্ষিণ এশিয়ার আলোচিত ঘটনা ছিল দিল্লির ‘সুনামি’। দিল্লি সুনামিতে মাত্র দু’বছর আগে গঠিত আম আদমি পার্টি (আপ) নামের একটি দলের কাছে বিপর্যস্ত হয় আট মাস আগের লোকসভা নির্বাচনে ঝড় তোলা বিজেপি। রাজধানীর বিধানসভা নির্বাচনে ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৭ আসনে আপ জয় ছিনিয়ে নেয় প্রায় যুববয়সী এক দুর্নীতিবিরোধী নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে। এই নির্বাচনের প্রচারাভিযানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি নিজেই অংশ নিয়েছেন। চারটি বড় জনসভা করে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, বিজেপি মনোনীত প্রার্থীদের জয়ী করতে। এই আহ্বানে দিল্লির মানুষ এমনভাবে ‘সাড়া’ দিয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী যাকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী করবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন, সেই কিরণ বেদি নিজেই হেরে গেছেন এক অজ্ঞাত আপ প্রার্থীর কাছে। শান্তিতে ম্যাগনাইসে পুরস্কারপ্রাপ্ত কেজরিওয়ালের ঝাঁটায় খানিকটা হাওয়া লাগার বিষয়টি আগেই অনুমান করেছিল অনেক মিডিয়া। কিন্তু এটি যে পাগলা হাওয়া হয়ে মোদি-অমিতের পদ্মের এমন দশা করবে, তা কেউ ভাবতে পারেনি।
৭ জানুয়ারি দিল্লির ভোট হয়ে যাওয়ার পরও এক্সিট পোলের জরিপে বিজেপির আসনসংখ্যা ২৬-এর নিচে নামতেই চায়নি। নির্বাচনের আগের বেশির ভাগ জরিপে আপের চেয়ে বিজেপির সরকার গঠনের কথাই বেশি বলা হয়েছিল। কিন্তু ব্রাহ্মণ ক্ষত্রীয় বৈশ্য শূদ্র সংখ্যালঘু নির্বিশেষে সবাই ঝাঁটার দিকে এমনভাবে ছুটে যাবে তা কল্পনা করা সত্যিই কঠিন ছিল। কিন্তু সেই কল্পনাই বাস্তব হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোদির আট মাস আগের উষ্ণ হাওয়া হয়ে গেছে বরফ জড়ানো ঠাণ্ডা হাওয়া। অথচ আরএসএস বজরং ভিএইচপির ক্যাডাররা আহ্বান জানাতে শুরু করেছিল তাদের ‘ঘর ওয়াপসি’ কর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে সবাইকে হিন্দু হয়ে যাওয়ার জন্য। তারা খোদ দিল্লি জামে মসজিদের ইমামকেও হিন্দু ধর্মে ফেরার পরামর্শ দেন। এর বিপদ মোদি কিছুটা হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ভারতে থাকতেই মোলায়েম ভাষায় এ ব্যাপারে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিলেন ভারতীয় নেতৃত্বের প্রতি। কিন্তু দিল্লির নির্বাচনের আগে সংবাদ সম্মেলন করে সেই আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করেন সিনিয়র বিজেপি নেতা ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির মতো ব্যক্তি। এরপর দিল্লিতে যা হয়েছে তা দেখেছেন সবাই।
অব্যাহত গণতন্ত্রচর্চা ভারতের নেতাদের মধ্যে যে প্রজ্ঞা সৃষ্টি করেছে, তা দিয়ে মনে হয় মোদি পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পেরেছেন। তিনি দিল্লির সুউচ্চ সিংহাসনের চূড়া থেকে আরো সুউচ্চে না তাকিয়ে মাটিতে নেমেছেন। বিপুল জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেজরিওয়ালকে। জবাবে একসাথে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কেজরিও। দিল্লিতে হার যেমন মোদির মধ্যে অসহিষ্ণুতা বা প্রতিহিংসার জন্ম দেয়নি, তেমনিভাবে অনন্য বিজয় কেজরিওয়ালকে হিতাহিতজ্ঞানশূন্য করেনি। তিনি সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন, ঔদ্ধত্যই বিপর্যয় ডেকে এনেছে বিজেপি-কংগ্রেসের। ঔদ্ধত্যকে ধারেকাছে আসতে দেবেন না।
দুই
দিল্লিতে সুনামি উঠেছিল ব্যালট বাক্সে। ঢাকার ঝড় চলছে সহিংসতা আর গুম-খুনাখুনিতে। ব্যালটের হার মেনে মোদি অভিনন্দন জানিয়েছেন কেজরিকে। ঢাকায় নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি দেয়ায় ক্ষমতাসীন নেত্রী ট্রাক-লরি দিয়ে অফিসে ক্ষমতাহীন নেত্রীকে আটকে রেখেছেন মাসাধিক সময় ধরে। দিল্লির সুনামিতে কেউ মারা যায়নি। ঢাকার ঝড়ে প্রতিনিয়ত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে পেট্রলবোমায়, বাড়িঘর আর বাস-টেম্পো থেকে নামিয়ে ক্রসফায়ারে দেয়া হচ্ছে সরকারবিরোধী সন্দেহভাজনদের। যে ছেলেটি রাতে ঘুমাতে গেছে, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেছে সেই ছেলেকে যে ধরে নিয়ে বোমাবাজ বানিয়ে ক্রসফায়ার করা হবে না তার কোনো গ্যারান্টি এখন থাকছে না। স্বাধীনতার পর সাংবাদিক নির্মল সেন স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চেয়ে কলাম লিখেছিলেন। আজ তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো ক্রসফায়ারে বা পেট্রলবোমায় নিহত না হওয়ার গ্যারান্টি চাইতেন। শ্রী নির্মল সেন অসুস্থতায় পরলোক গমন করে নিজে স্বাভাবিক মৃত্যু পেয়েছেন। মানুষের জন্য স্বাভাবিক মৃত্যুর যে গ্যারান্টি তিনি চেয়েছিলেন তাদের অনেকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে তিনি ঠেকাতে পারেননি। আজো নির্মল সেনের কলম সক্রিয় থাকলে ক্রসফায়ার বা পেট্রলবোমাকে ঠেকাতে পারতেন কি না বলা মুশকিল।
পেট্রলবোমা আজ কারা মারছে। কারা এভাবে নিরীহ নিরপরাধ মানুষকে করুণ মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সেই রহস্যের অন্ত নেই। শাসক দলের অফিস থেকে পেট্রলবোমা উদ্ধারের খবর পাওয়া যাচ্ছে পত্রপত্রিকায়। সরকারি দলের নেতার বাসায় বোমা বানাতে গিয়ে নিহতের খবরও আসছে। আবার বোমাবাজির জন্য প্রতিনিয়ত পুলিশ ধরছে বিরোধী দলের সমর্থকদের। বার্ন ইউনিটে অসহায় মানুষের কাতরানি আমরা দেখছি। ক্রসফায়ারে গুলিবিদ্ধ লাশ দেখছি। গুম হওয়া পরিবারের সদস্যদের আর্তি শুনছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি থেকে ফেলে দেয়া বন্দীর ওপরে ট্রাক চালিয়ে দেয়ার নির্মমতাও প্রত্যক্ষ করছি। কিন্তু পেট্রলবোমা মারছে এমন কাউকে ধরতে দেখা যাচ্ছে না। ফলে রহস্য রহস্যই থেকে যাচ্ছে। এক নেত্রী এই নির্মমতার জন্য অন্য নেত্রীকে দায়ী করেই চলেছেন।
প্রশ্ন হলো, এই নির্মমতার অবসান হবে কিভাবে। সরকার আইএস আলকায়েদার জঙ্গিদের মতো আন্দোলনকারীদের দমন করে শান্তি আনতে চাইছেন দেশে। বিশ্ব স্বীকার করুক বা নাই করুক আইএস একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। সেখানে তারা সরকার সেনাবাহিনী পুলিশ আদালত অনেক কিছুই করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কোয়ালিশন শক্তি যুদ্ধ করছে, বিমান থেকে বোমা ফেলছে। কিন্তু বাংলাদেশে যারা অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে অবরোধের কর্মসূচি দিচ্ছে, তাদের আইএসের মতো দমন করতে কী করা হচ্ছে বা হবে। আইএসের মতো দমন করার অর্থ হবে, আন্দোলনকারীদের ওপর বোমা মারা হবে। প্রয়োজনে বিমান হামলা চালানো হবে। যুদ্ধক্ষেত্রের মতো দেখামাত্র গুলি করে হত্যা করা হবে। এভাবে আন্দোলনকারীদের বোমা মেরে, ধরে ধরে হত্যা করে কি শান্তি ও স্বস্তি আনা যাবে?
কূটনৈতিক অংশীদারেরা সম্ভবত বাংলাদেশের পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পারছেন। ব্রিটিশ হাইকমিশনার অবরুদ্ধ বিরোধী জোটনেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট। বক্তব্য রেখেছেন নবনিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়েদুন এবং কানাডার নতুন হাইকমিশনার বেনওয়া পিয়ের লারামি। তারা কথা বলেছেন বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন উপলক্ষে; কিন্তু তাদের বক্তব্যের সুর অভিন্ন। ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডব্লিউ গিবসন সব রাজনৈতিক পক্ষকে তাদের কর্মের পরিণতি সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে ভাবার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনতে আস্থা গড়ে তোলার জন্যও আহ্বান জানান। অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাাতে ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নবনিযুক্ত ডেলিগেশন প্রধান রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়েদুন দেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে ফের সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। ঠিক একই সময়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে আলোচনাকালে সহিংসতা বন্ধ এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কানাডার নবনিযুক্ত হাইকমিশনার বেনওয়া পিয়ের লারামি। এর আগে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার পূর্ণাঙ্গ সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, চলমান সহিংসতা রোধে সব পকে ভূমিকা রাখতে হবে। বাংলাদেশে যে সহিংসতা চলছে তা খুবই মর্মান্তিক। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ, এখানে ভিন্ন মত প্রকাশের জন্য গণতান্ত্রিক অধিকার থাকা প্রয়োজন।
প্রধান প্রধান উন্নয়ন সহযোগীদের বক্তব্যের মূল বার্তাটি হলো অভিন্ন। তারা সহিংসতা বন্ধে আলোচনা চান। সঙ্কটের মূল বিষয়টির অবসান চান। চান গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন চর্চা। কিন্তু কিভাবে অর্জিত হবে তা?
এ ব্যাপারে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দুই প্রধান নেত্রীর মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে চিঠি দিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা। তিনি এ বিষয়ে সাড়া দিতে দুই নেত্রীর কাছে পৃথক চিঠিও দিয়েছেন। কিন্তু সরকারপক্ষ থেকে এই চিঠি দেয়ার প্রায় সাথে সাথেই নাকচ করে দেয়া হয়েছে সংলাপের আহ্বানকে। এর পরিবর্তে জঙ্গি দমনের মতোই সব কিছু নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাহলে কি সমঝোতার আর কোনো অবকাশই থাকল না? ঝড়ের পর অপেক্ষা করছে সুনামি? এর পরিণতি নিয়েই কি ভাবতে বলেছেন গিবসন?
তিন
কোনো রাষ্ট্রে যখন দুই পক্ষ একে অন্যকে নির্মূল করতে চান, তখন হানাহানি আর নিয়ন্ত্রণের পর্যায়ে থাকে না। কঙ্গো-সোমালিয়ার মতো আফ্রিকার অনেক দেশেই এখন তেমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমন একটি সঙ্ঘাতমুখর দেশের নাম হলো আইভরি কোস্ট। বিশ্বকাপ ফুটবল আর দ্রগবার কল্যাণে এ দেশটির নাম এখন অনেকের জানা। উত্তর ও দক্ষিণের দুই বিবদমান পক্ষের পরস্পরকে নিশ্চিহ্ন করার লড়াই থামিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা দেখতে ২০০৫ সালে এক প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে সেখানে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। সেই দলের নেতা ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও বিশিষ্ট নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) শাখাওয়াত হোসেন। একসময় অনন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির জনপদ হিসেবে খ্যাত ছিল এই দেশটি। চার দিকে সবুজ আর সবুজ। স্বৈরতান্ত্রিক একদলীয় ব্যবস্থা থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তরের পর নির্বাচন প্রশ্নে দেখা দেয় বিপত্তি। দেশের সব মানুষ ভোটাধিকার পেলে উত্তরের নেতা ওয়াতারা হয়ে যান আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট। দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট বাগবো সেটি মানতে রাজি নন। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে কার্যত দুই ভাগ হয়ে যায় দেশটি। একে অন্যের বিরুদ্ধে নেমে পড়ে সশস্ত্র লড়াইয়ে। আইভরি কোস্টের দুই অংশের মধ্যে লড়াই থামিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্বে জাতিসঙ্ঘ নিয়োগ করে বাংলাদেশসহ অন্য কয়েকটি দেশের শান্তিরক্ষীদের। জাতিসঙ্ঘ দশকব্যাপী এই সঙ্ঘাতের অবসানের পর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সেখানে নির্বাচনের আয়োজন করেছে। ওয়াতারা এখন দেশটির নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। আর যে বাগবো মুক্ত, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন তিনি এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এখন বাংলাদেশে সরকারের যে যুদ্ধ ঘোষণার অবস্থা দেখা যাচ্ছে, তার সাথে আইভরি কোস্টে সর্বাত্ম¡ক গৃহযুদ্ধ শুরুর আগের অবস্থার সাথে বেশ মিল রয়েছে। সঙ্ঘাত ও সহিংসতার বিরামহীনতার মধ্য দিয়ে কি বাংলাদেশ আইভরি কোস্টের অবস্থার দিকে এগোচ্ছে? জাতিসঙ্ঘের রাজনৈতিক শাখা বাংলাদেশ পরিস্থিতিকে শান্ত করতে উভয় পক্ষের সাথে অব্যাহত যোগাযোগের কথা জানিয়েছে ইতোমধ্যে। বিএনপির সিনিয়র নেতা মঈন খান এক বিদেশী পত্রিকার সাথে সাক্ষাৎকারে বিদ্যমান সঙ্কট উত্তরণ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জাতিসঙ্ঘের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সঙ্ঘাত নিরসনকল্পে শান্তিপর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে জাতিসঙ্ঘের এ ধরনের সাফল্য নিকট-প্রতিবেশী নেপালেও রয়েছে। দেশের জনগণের একটি অংশের বিরুদ্ধে সরকারের আইএস-আলকায়েদার মতো যুদ্ধ ঘোষণা বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে কি সেদিকেই টেনে নিয়ে যাচ্ছে? বাস্তবে সেটি ঘটলে ব্লু হেলমেটধারীদের হয়তো ঢাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত দেখা যেতে পারে। অস্থিরতার পর চরম সঙ্ঘাত; এরপর শান্তিÑ এটিই হয়তো বা বাংলাদেশের নিয়তি হয়ে আছে।

No comments

Powered by Blogger.