চতুর্থ দিনেও খালেদার কার্যালয়ে খাবার নিতে দেয়নি পুলিশ, - পুলিশের আইজি বলেছেন নিয়মিত খাবার যাচ্ছে

(গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য আনা খাবার নিয়ে আজ শনিবার দুপুরে দুই ব্যক্তি ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের বাধা দেন। ছবি: সাজিদ হোসেন) চতুর্থ দিনের মতো শনিবার দুপুরেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার নিতে দেয়নি পুলিশ। দুপুর পৌনে ১ টার দিকে একটি সিএনজিতে করে বেগম জিয়ার গুলশানস্থ কার্যালয়ের সামনে খাবার নিয়ে আসা হয়। কিন্তু দায়িত্বরত গুলশান থানার পুলিশ খাবার সহ সিএনজিটি ফেরত পাঠায়।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং-এর সদস্য শায়রুল কবীর খান জানান, আমরা কৌশল বদলে সিএনজিতে করে দুপুরের খাবার এনেছিলাম। সিএনজিটি খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের দক্ষিণ দিকের সড়ক দিয়ে প্রবেশ করে কিন্তু কার্যালয়ের কাছে আসতে না আসতেই পুলিশ সিএনজিটি উত্তর দিকের রাস্তা দিয়ে ফেরত পাঠায়।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাত থেকে বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার নিতি বাধা দিচ্ছে পুলিশ। আজ চতুর্থ দিনে দুপুরের খাবার নিতেও বাধা দেয়া হলো। ফলে কার্যালয়ে অবস্থানরত প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা-নেত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী মানবেতর জীবন যাপন করছেন। শুকনো খাবার মুড়ি, বিস্কিট খেয়ে কোনো রকমে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
খালেদার বাড়িতে নিয়মিত খাবার যাচ্ছে: আইজি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়ার বাড়িতে নিয়মিত খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তিনি খাবার পাচ্ছেন ও সুস্থ আছেন বলে তাঁদের কাছে খবর আছে।
আজ শনিবার রাজধানীতে পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আইজি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়।
‘গ্রেপ্তার বাণিজ্য’ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজি শহীদুল হক বলেন, এ বিষয়ে ওঠা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হবে। পুলিশের গোয়েন্দা শাখা এ বিষয়ে কাজ করছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঢালাও অভিযোগ করা হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি শেখ সেলিম বলেছেন, বোমাবাজদের ‘এনকাউন্টারে’ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা মতামত জানতে চাইলে আইজি বলেন, ‘এ প্রশ্নের জবাব ভবিষ্যতে দেওয়া হবে।’
দেশজুড়ে চলা সহিংসতা নিয়ে আইজি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে। আগের তুলনায় যান চলাচল বেড়েছে। ঢাকার জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। বোমাবাজদের গ্রেপ্তারের জন্য যা কিছু করা দরকার, তা করা হবে। তিনি বলেন, বোমাবাজির অভিযোগে যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা ছাত্রদল, যুবদল, শিবির অথবা তাদের ভাড়া করা লোক। এরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।
এ সময় পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) মোখলেসুর রহমান, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.