আখেরে দু’জনই হারতে পারেন

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কট দ্রুতই ‘পয়েন্ট অব নো রিটার্ন’-এর দিকে ধাবিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো জরুরি ভিত্তিতে উত্তেজনা প্রশমনে পদক্ষেপ না নিলে ভয়াবহভাবে অস্থিতিশীল হতে পারে দেশ। এ প্রেক্ষিতে সঙ্কট সমাধানে তিন দফা প্রস্তাব দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। তাতে বলা হয়েছে-  এক. রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন বন্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে আওয়ামী লীগ সরকারকে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের লাগাম টেনে ধরতে হবে এবং অভিযোগের বিষয়ে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। সুশীল সমাজের স্বাধীনতা খর্ব করে এমন পদক্ষেপ পাল্টাতে হবে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, তাদের সহায় সম্পত্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। দুই. গণতান্ত্রিক শাসনে প্রত্যাবর্তন করতে সমঝোতার জন্য আওয়ামী লীগের উচিত প্রয়োজনে বিএনপি’র জুনিয়র নেতাদের সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো। এর সঙ্গে অঙ্গীভূত থাকবে নির্বাচনী সংস্কার। সরকারের উচিত হবে ঢাকায় মেয়র নির্বাচন করা। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার এ নির্বাচন দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে। এ প্রক্রিয়ায় সংলাপের একটি সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। তিন. বিএনপির উচিত সহিংসতা পরিহারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া। তাদের উচিত জামায়াতে ইসলামী থেকে দূরে থাকা। এ দলটি রাজপথের আন্দোলনকে প্রখর করছে। এতে বিএনপির রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ কমিয়ে দিচ্ছে। সঙ্কট সমাধানে তাদের উচিত আন্দোলনের পরিবর্তে স্বেচ্ছায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে অর্থপূর্ণ সমঝোতায় যুক্ত হওয়া। এই সঙ্কটে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঝুঁকিতে পড়েছে। রাজনৈতিক শৃঙ্খলার প্রতি মানুষের যে আস্থা তা-ও পড়ছে হুমকিতে। ব্রাসেলসভিত্তিক এই সংগঠনটি অলাভজনক, বেসরকারি সংগঠন। তারা বিশ্বের সংঘাত প্রতিরোধে কাজ করে। গবেষণা করে সহিংস সংঘাত নিয়ে। একই সঙ্গে তা প্রতিরোধে, সঙ্কট সমাধানের পদ্ধতি বাতলে দেয়। তাদের এ পদ্ধতি নিয়ে সরাসরি তারা সরকার, বহুজাতিক সংগঠন ও অন্যান্য রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিদের পরামর্শ দেয়। গতকাল তারা বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ৪০ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘ম্যাপিং বাংলাদেশ’জ পলিটিক্যাল ক্রাইসিস’। এতে বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তি ছিল ৫ই জানুয়ারি। এ নিয়ে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সহিংসতা হয়েছে। এতে বেশ কিছু মানুষ নিহত হয়েছে।  আহত হয়েছে অনেকে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মধ্যে এই যে মুখোমুখি অবস্থা তা নতুন এক অচলাবস্থায় পৌঁছেছে। স্বাধীনতার পর এ দুটি দল বিভিন্ন সময়ে পর্যায়ক্রমে সরকারে এসেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি দৃশ্যত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে রাজপথ বেছে নেয়। নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে প্রতিদিনই সহিংসতা হয়েছে। তারপর থেকে রাজনৈতিক সঙ্কট এখন যেদিকে মোড় নিয়েছে দ্রুতই  পরিস্থিতি ‘পয়েন্ট অব নো রিটার্ন’ এর দিকে ধাবিত হচ্ছে। এছাড়াও স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য যে আদালত গঠন করা হয়েছে তা জাতিকে পুনরেকত্রীকরণের চেয়ে বিশে বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন দু’পক্ষ যেপথে ধাবিত হচ্ছে তা পরিবর্তন করা হচ্ছে উভয়ের জন্যই উত্তম পন্থা। এজন্য ভিন্ন মতাবলম্বীদের গণতান্ত্রিক  অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে আওয়ামী লীগ সরকারকে। বিএনপির উচিত হবে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সমঝোতায় গিয়ে টিকে থাকা। বিরোধীদের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানো ও বিজেতাকে আইনের   ভেতরে থেকে দেশ শাসন করতে দেয়ার জন্য নতুন রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছাতে চায় না মূলধারার প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল। এর ফলে রাজনৈতিক শূন্যতার সুযোগ নিয়ে কট্টরপন্থি ও অপরাধী নেটওয়ার্কের বিস্তার ঘটতে পারে। এরই মধ্যে ইসলামপন্থি বিভিন্ন অংশ সক্রিয় হচ্ছে। এটা ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলার প্রতি হুমকি। ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠায় এ দু’দলকেই প্রধান বাধা হিসেবে দেখছে জিহাদি শক্তিগুলো। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একে অন্যকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখে থাকে। আওয়ামী লীগ ও এ দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোর দিয়ে বলেছেন, পার্লামেন্টে অনুপস্থিতির মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার দল বিএনপি নিজেদের রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে। তাদের ফিরে আসার বিষয়ে সরকার বিরোধী দল ও তীব্র মতপার্থক্য সম্পন্নদের জোর করে নিষ্ক্রিয় করে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এটা করা হচ্ছে দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ফৌজদারি মামলা দিয়ে। এসব নেতাকর্মীর  মধ্যে রয়েছেন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে, রাজনৈতিক উত্তরসূরি তারেক রহমান। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের কঠোর হস্তে দমন করতে ব্যবহার করা হচ্ছে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী। ব্যবহার করা হচ্ছে সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হয় এমন আইন ও নীতি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন নির্বাচন সংক্রান্ত সহিংসতায়। কিন্তু এর দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বিএনপি। ওই সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। সেই বিএনপি ও তার রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামী আবারও জোর করে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার উদ্যোগ নিয়েছে। গত বছরের নির্বাচনে সহিংসতার জন্য এই জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করা হয়। তারা তাদের নেতাকর্মীদের ধরে রেখেছে। তাদেরকে ফের রাজপথে নামাতে সক্ষম হয়েছে। তাদের মূল দাবি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। কিন্তু তারা পার্লামেন্টে নেই। এই অসুবিধা কাটিয়ে তাদের দাবির পক্ষে জনসমর্থন পাওয়া খুবই সংকীর্ণ। তারা আবার সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ায় দ্রুত রাজনৈতিক হতাশা বাড়ছে।
রাজনৈতিক নেতা ও দলগুলোর মধ্যে যে গভীর বিদ্বেষ ও অবিশ্বাস তা অপরিহার্য নয়। উত্তাল রাজনৈতিক ইতিহাস সত্ত্বেও প্রথম দিকে তারা দেশ থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সামরিক শাসনের ইতি ঘটাতে ও গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করেছেন। ২০০৭ ও ২০০৮ সময়কালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। সহযোগিতার এমন উদাহরণ থাকলেও দু’নেত্রী একে অন্যকে দুর্বল করতে আশ্রয় নিয়েছেন অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি। ক্ষমতায় থাকাকালে দু’জনেই বৈধ বিরোধী দলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেন কেন্দ্রীয় কর্তৃত্ব, রাজনীতিকরণ করা বিচার বিভাগ, শিকার সন্ধানকারী আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে। কার্যকর বহুদলীয় গণতান্ত্রিক মৌলিক মানদণ্ডে সম্মত হওয়ার ব্যর্থতা থেকে বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কটের সৃষ্টি। বিএনপি যখন নিজেকে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদীর রক্ষক হিসেবে দাবি করে, তখন আওয়ামী লীগ নিজেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার একমাত্র কৃতিত্ব ও রক্ষক হিসেবে দেখাতে চায়। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ২০১০ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠন করে আওয়ামী লীগ। এর ভিত্তিতেই এ আদালতের মূল্যায়ন হওয়া উচিত। অপরাধীদের বিচার করার দাবি যৌক্তিক, তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সাধারণভাবে অথবা প্রাথমিকভাবে একটি আইনি অস্ত্র নয়। এর পরিবর্তে ব্যাপকভাবে একে একটি রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তা ব্যবহার করা হচ্ছে ইসলামপন্থি বিরোধীদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে দেশের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের ট্র্যাজেডিকে ব্যবহার করে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের অনুধাবন করা উচিত যে, মূলধারার রাজনীতি থেকে বিএনপিকে কোণঠাসা করে দেয়া হলে তাতে সরকার-বিরোধী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে এবং এই সুযোগে মৌলবাদীদের উত্থানের পথ সৃষ্টি করে দেবে। দলের কর্তৃত্বপরায়ণ মনোভাবের কারণে তা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। সমানভাবে, বিএনপির যদি ইসলামপন্থি কট্টর গ্রুপগুলোর সঙ্গে মিত্রতা ত্যাগ করে তা তাদের জন্য শুভ হবে। তাদের উচিত হবে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি গড়তে একটি সমঝোতা খোঁজা। প্রলম্বিত ও সহিংস রাজনৈতিক সঙ্কট, বিশেষ করে যদি তাতে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে তাহলে পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করতে উৎসাহিত করা হবে সেনাবাহিনীকে। এতে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া- উভয়েই পরাজিত হতে পারেন; যদিও এখনও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ করার মতো কোন ইঙ্গিত মেলেনি। তবে দেশের ইতিহাস বলে, এমন সম্ভাবনা নাকচ করা যায় না। রাজনৈতিক লড়াই যেহেতু উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে, রাজনৈতিক পুনরেকত্রীকরণের সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। তাই দু’পক্ষেরই উচিত সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা। সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন রাজনৈতিক উত্তেজনা নিরসনে প্রাকটিক্যাল পদক্ষেপ নেয়া।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, খালেদা জিয়াকে তার কার্যালয়ে জোর করে অবরুদ্ধ রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত পরিস্থিতিতে উস্কানি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক শাসন প্রত্যাখ্যান করায় তার সরকারের রাজনৈতিক বৈধতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে রাজপথের শক্তি ও বিক্ষোভ দিয়ে ২০১৪-এর নির্বাচনের আগে প্রাথমিকভাবে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা যে একটি বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প হতে পারে এরই মধ্যে সে ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। শেখ হাসিনা হয়তো কঠোর হাতে স্বল্প মেয়াদে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শান্ত করতে সক্ষম হতে পারেন। কিন্তু তাতে শোচনীয় পর্যায়ে চলে যাবে অসন্তোষ। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা সত্ত্বেও ১৯৯৬ সালে তারা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী জোট করেছিল। ২০০৬ সালে নির্ধারিত নির্বাচনে যা বাতিল হয়, তারা জোট গড়েছিল খিলাফত মজলিশ নামে আরেকটি ইসলামপন্থি দলের সঙ্গে। উদ্দেশ্য ছিল তাদের ভোট কব্জা করা। বিনিময়ে আহমদি সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণা দেয়ার কথা ছিল। ওদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার যে দুর্নীতি ও অপশাসন করেছিল তাতে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা কমে যায়। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের রাজনীতি শুধু গণতান্ত্রিক ও সামরিক শাসনের আবর্তেই ঘুরছে না, একই সঙ্গে তা প্রেসিডেন্ট পদ্ধতি ও সংসদীয় পদ্ধতির সরকারের মধ্যে আবর্তিত হয়েছে। অনির্বাচিত উপদেষ্টা ও কিছু নির্বাচিত কর্মকর্তার উপর বেশি নির্ভর করেন শেখ হাসিনা। অনির্বাচিত উপদেষ্টারা তার মন্ত্রীদের থেকে অনেক বেশি কর্তৃত্ব উপভোগ করেন। নিজ মন্ত্রণালয়ের ওপর তার মন্ত্রীদের নিয়ন্ত্রণ সামান্যই অথবা নেই। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি সিদ্ধান্ত যাচাই করতে হয় তাদের। সরকারি পর্যায়ের সিনিয়র নীতিনির্ধারকদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ফোন নম্বর আছে। তারা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যম না হয়ে ফোন করতে পারেন তাকে সরাসরি। গত বছর সেপ্টেম্বরে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। এর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে অভিশংসনের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়া হয় জাতীয় সংসদকে। সরকার যখন বিরোধীদের অকার্যকর করার চেষ্টা করছে তখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এর অপপ্রয়োগ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.