মাদকের টাকা আমার রক্তে নাই: বদি

কক্সবাজার-৪ আসনের (উখিয়া-টেকনাফ) আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদি দাবি করেছেন, তিনি কোনো দিন মাদক দ্রব্য সেবন করেননি। মাদকসংশ্লিষ্ট টাকা তাঁর ও তাঁর ছেলেমেয়েদের রক্তে নেই। তিনি কখনোই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলেও দাবি করেছেন।  আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টেকনাফে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বদি এই দাবি করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ১৮ দিনের কারাভোগ শেষে গত ৩০ অক্টোবর ঢাকার কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান বদি। আজ তিনি বেসরকারি একটি বিমানে করে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে গাড়ি বহর নিয়ে তিনি টেকনাফে পৌছান।
দুদক এবং সাংবাদিকদের উদ্দেশে বদি বলেন, সাংবাদিকদের লেখা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুদক তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেছে। মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর দুটি জাহাজকে তাঁর (বদি) মালিকানাধীন দেখানো হয়েছে। বদি বলেন, তিনি আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে হাজির হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। কিন্তু উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ তাঁর জন্য যে আন্দোলন করেছে, তাতে প্রমাণিত হয় তিনি এলাকার জনপ্রিয় এমপি। এজন্য তিনি আন্দোলনকারীদের ধন্যবাদ জানান।
বদি বলেন, দুদকের এই মামলার কারণে তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে। সাংবাদিকদের পাঠানো খবরের ভিত্তিতে এই মামলা হয়েছে এবং সে সুবাদে যেহেতু তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে, সে কারণে তিনি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান।  দুদকের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বদি আরও বলেন, দুদকের চেয়ারম্যান সহযোগিতা করলে তিনি টেকনাফ ও উখিয়াকে দুর্নীতিমুক্ত এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবেন।
স্বাগত জানাতে তিন শ গাড়ির বহর
বেলা সাড়ে ১১টায় বেসরকারি একটি বিমানে করে বদি কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলী আহম্মদের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
এর আগে টেকনাফ ও উখিয়া থেকে তিন শতাধিক গাড়ি নিয়ে সাংসদ বদিকে আনতে বিমানবন্দর যান ওই দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
দুপুর ১২টা দিকে গাড়িবহর নিয়ে টেকনাফেরর দিকে রওনা দেন বদি। পথে উখিয়া উপজেলার মরিশ্যা বাজার, কোট বাজার, উখিয়া বাজার, পালংখালী, হোয়াইক্ষ্যং, হ্নীলা বাজারে পথসভায় অংশ নেন তিনি। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিনি টেকনাফ পৌরসভার আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এসে পৌঁছালে পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী বিভিন্ন ধরনের স্লোগানে স্বাগত জানান। তখন টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহম্মদ ফুলের তোড়া দিয়ে তাঁকে বরণ করে নেন। এরপর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শফিক মিয়ার সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

No comments

Powered by Blogger.