ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছে শামীম ওসমানের নির্দেশে

সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বলেন, ‘ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছে শামীম ওসমান-নাসিম ওসমানের নির্দেশে। তাদের ছেলে আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান তাঁদের সন্ত্রাসীদের নিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।’

ত্বকী হত্যাকাণ্ডের ৫০০তম দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার সন্ধ্যায় মামলার অভিযোগপত্র দ্রুত দেওয়ার দাবিতে এক আলোক প্রজ্জ্বালন কর্মসূচির আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট। ওই কর্মসূচিতে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন রফিউর রাব্বি।
ত্বকীর বাবা বলেন, ‘কোন দেশেই হত্যাকাণ্ডের মতো অপরাধ করার পর কেউ পার পেয়ে যেতে পারে না। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে আমাদের দেশে যেকোনো অপরাধ এমনকি হত্যাকাণ্ড করার পরও মানুষ পার পেয়ে যেতে পারে। কারণ আমাদের দেশে হত্যাকারীরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পায়।’
রফিউর রাব্বি আরও বলেন, বর্তমান সরকার ত্বকী হত্যা মামলার অগ্রগতিকে বারবার বিঘ্নিত করার চেষ্টা করেছে। দেড় বছরের বেশি সময় হলেও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্র আটকে আছে। কারণ সরকারের উপরের পর্যায় থেকে এ হত্যাকান্ডের অগ্রগতি আটকে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, ইতিহাসের নির্মম শিক্ষা হচ্ছে এভাবে হত্যাকারীরা বাঁচতে পারে না। ওসমান পরিবার যে একটি হত্যাকারী পরিবার, খুনি পরিবার মানুষ এত সহজে তা ভুলে যাবে না।
কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি প্রদীপ ঘোষের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হালিম আজাদ। এতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সংগঠনের বিপুল নেতা-কর্মী অংশ নেন।
হালিম আজাদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ত্বকী হত্যার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে ‘সন্ত্রাসী’ আজমীর ওসমান দেশের বাইরে পালিয়ে আছে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দুই আসামি বলেছিলেন আজমীর ওসমান ত্বকীকে তাঁর সন্ত্রাসীদের নিয়ে টর্চার সেলে নির্যাতনের পরে হত্যা করেছে। র্যাবের একজন কর্মকর্তা প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য সব সংবাদপত্রকে জানিয়েছিল। কিন্তু হত্যাকান্ডের নির্দেশদাতারা ত্বকী হত্যার অভিযোগপত্র আটকে দিয়েছে। এ সময় তিনি অবিলম্বে এ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার দাবি জানান।
নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি প্রদীপ ঘোষ বলেন, ‘ত্বকী হত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি নিয়ে আমরা আলোকশিখা প্রজ্জ্বালন কর্মসূচি পালন করেছি। হত্যাকান্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। কেউ আমাদের থামিয়ে রাখতে পারবে না।’

No comments

Powered by Blogger.