মুক্তিযুদ্ধের মিডিয়া সেন্টার by এবিএম মূসা

প্রথমা প্রকাশন থেকে সাংবাদিক ও কলাম লেখক এবিএম মূসার প্রকাশিতব্য আত্মজীবনী বেলা যে যায়-এর নির্বাচিত অংশ প্রথম আলোয় প্রকাশিত হচ্ছে।
সাইমন ড্রিং এসেছিলেন দিন কয়েক আগে ঢাকায়। ’৭১-এর ২৫ মার্চের কালরাতে তিনি হোটেল ইন্টারকনে লুকিয়ে ছিলেন। পাকিস্তানি সেনারা অন্য বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে তাঁকে ঢাকা ত্যাগে বাধ্য করতে খুঁজে পায়নি। পরদিন সাইমন ঢাকা শহর ঘুরে হত্যাযজ্ঞের ছবি আর বিবরণ সংগ্রহ করেছিলেন। পরে সেসব লোমহর্ষক ও হূদয়বিদারক কাহিনি ছাপিয়েছেন লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ-এ। সেই বিবরণ পড়ে ও ছবি দেখে সারা বিশ্ব শিহরিত হয়েছিল। সাইমনের মতো এ রকম আরও অনেকের এমনি সব সংবাদ, তথ্য ও ছবি দেখে বাঙালিদের সশস্ত্র বিপ্লবের পক্ষে গড়ে উঠেছিল বিশ্বজনমত।

সাইমনের সঙ্গে প্রেসক্লাবে আলোচনা হচ্ছিল যুদ্ধের সময় বিভিন্নজনের পাঠানো সংবাদ ও তথ্য সম্পর্কে। দুজন মিলে স্মৃতিচারণা করলাম একাত্তরের দিনগুলোর। কথায় কথায় কলকাতার গ্র্যান্ড হোটেলের প্রসঙ্গটি উঠে এল। এই হোটেলটি ছিল বিদেশি সংবাদদাতাদের সব কাজকর্মের কেন্দ্রভূমি আর আড্ডা দেওয়ার জায়গা। এখানে বসে একে অন্যের সঙ্গে নোট মিলিয়ে নিতেন। সবাই যে সবাইকে সবকিছু বলতেন, তা নয়, তবু খবরাখবর আদান-প্রদান হতো। এই আড্ডার আমিও একজন সদস্য ছিলাম, কারণ, বিকল্প অর্থে আমি ছিলাম বিদেশি মাধ্যমের সংবাদদাতা। লন্ডন টাইমস, সানডে টাইমস ও বিবিসির অনেক সংবাদই ছিল আমার পাঠানো।
কলকাতার গ্র্যান্ড হোটেলে যাঁরা তথাকথিত আড্ডার নামে হাজির থাকতেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন লন্ডন টাইমস-এর পিটার হ্যাজেলহার্ট, নিউইয়র্ক টাইমস-এর সিডনি শনবার্গ, ওয়াশিংটন ডেইলি নিউজ-এর হেনরি ব্রাডশায়ার, নিউজউইক-এর টনি ক্লিফটন, তখন ফ্রিল্যান্সার সাইমন ড্রিং ও আরও অনেকে। মুক্তিযুদ্ধকালে আরও অনেক বিদেশি সাংবাদিক শুধু আসছেন আর যাচ্ছেন।
যেসব বিদেশি সংবাদদাতা মুজিবনগরে যেতেন, তাঁরা সরাসরি বাংলাদেশ মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। তারপর তাঁদের বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর দায়িত্ব ছিল আমিনুল হক বাদশার ওপর। এ ছাড়া তাঁদের ব্রিফ করতেন মওদুদ আহমদ। ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম ও মোস্তফা সারোয়ার সাংবাদিকদের মুক্তাঞ্চলে নিয়ে যেতেন। মুজিবনগর সরকারের কারও সঙ্গে তাঁদের পক্ষে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব ছিল না। এই প্রসঙ্গে এসব বিদেশি সংবাদদাতার সততা ও বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতির একটি জাজ্বল্য উদাহরণের উল্লেখ করা প্রয়োজন। মুজিবনগর নামক জায়গাটা কোথায়, এ খবর তাঁরা সবাই জানতেন। পাকিস্তানিরা বরাবর প্রচার করেছে মুজিবনগর কলকাতায়, বাংলাদেশ সরকার আসলে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু এসব বিদেশি সংবাদদাতা কখনো কোনোভাবে তাঁদের কোনো রিপোর্ট বা প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করেননি। পাকিস্তানিদের প্রচারণার কোনো সত্যতা তাঁদের কোনো রিপোর্ট উল্লেখ করে প্রমাণ করা যায়নি।
বিদেশি সংবাদদাতারা মাঝেমধ্যে মুক্ত অঞ্চলে যেতে পেরেছেন সংগ্রামের প্রথম দিকে। আগস্ট-সেপ্টেম্বর থেকে তাঁদের সীমানা পার হওয়ার ওপর কিছুটা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তাই সংবাদ সংগ্রহের প্রধান সূত্র ছিল মুক্তিবাহিনীর যোদ্ধারা, যাঁরা মাঝেমধ্যে মুজিবনগরে আসতেন রসদ, অস্ত্র সংগ্রহ বা নির্দেশ গ্রহণের জন্য। সবচেয়ে অসুবিধা ছিল মুজিবনগর সরকারের বিভিন্ন কাজকর্মের খবর সংগ্রহ করার ব্যাপারে। কেউ সরাসরি প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের দপ্তরে অথবা জেনারেল ওসমানীর সেনা কার্যালয়ে যেতে পারতেন না। মন্ত্রীদের সঙ্গেও কারও দেখা করা সম্ভব ছিল না। অথচ বাইরের জগতে এঁদের সম্পর্কেই কৌতূহল ছিল সবচেয়ে বেশি। অনেকেই তাঁদের সাক্ষাৎকার নিতে চাইতেন কিন্তু কোনো যোগাযোগ করতে পারতেন না, একমাত্র আমি জেনারেল ওসমানীর এডিসি শেখ কামালকে ধরে তাঁর একটি সাক্ষাৎকার নিতে পেরেছিলাম।
সাদা চামড়ার সাংবাদিকদের সীমান্ত পার হওয়ার অসুবিধা থাকলেও আমাকে সব সময় সাংবাদিক পরিচয়ে চিনতে পারা সম্ভব ছিল না। তাই দু-একবার মুক্তিবাহিনীর কোনো সদস্যের যুদ্ধক্ষেত্রে ফেরত যাওয়ার সময় তাঁর সঙ্গী হয়েছিলাম। তবে সত্যি কথা বলতে কি, বেশি দূর যাওয়ার সাহস হতো না। এ ব্যাপারে আমাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছেন শেখ শহিদুল ইসলাম। আমার আরেকটি সংবাদসূত্র ছিল জয় বাংলা পত্রিকার সংবাদদাতা সলিমউল্লাহ ও আবুল মোমেন। দুজনই ছিলেন পত্রিকাটির যুদ্ধ সংবাদদাতা। বন্ধুবর ফয়েজ আহমদ মাঝেমধ্যে উধাও হয়ে যেতেন, যুদ্ধাঞ্চল ঘুরে আসতেন। তাঁর কাছেও আমরা অনেক খবর পেতাম। যদিও সংবাদ সংগ্রহের ব্যাপারে ও নিজেদের পত্রিকায় নিজস্ব প্রতিবেদন ছাপানোর ব্যাপারে সব সংবাদদাতারই নিজস্ব গোপনীয়তা রক্ষা করতে হয়। মুক্তিযুদ্ধের সংবাদের ব্যাপারে এই অলিখিত নিয়মটি কেউ মানতেন না। এর কারণ, বাঙালিদের এই সংগ্রামে তাঁদের সবাই ছিলেন একাত্ম এবং সবাই চাইতেন সর্বত্র এসব খবর ছাপা হোক, বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গড়ে উঠুক। তাঁদের সবার সব প্রতিবেদনেই এই সহমর্মিতার ছাপ থাকত।
গ্র্যান্ড হোটেলের বেসরকারি মিডিয়া সেন্টারে বসে বিদেশি সাংবাদিকেরা উড়ো উড়ো খবর পেতেন, কিন্তু গুলগল্পগুলোকে সংবাদ বানালেও এসব সংবাদ এড়িয়ে যেতেন, কোনো মহল থেকে এগুলোর সত্যতা যাচাইয়েও আগ্রহ দেখাতেন না। প্রতিদিন রাইটার্স বিল্ডিংয়ে দিল্লি সরকার ও ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ড সাংবাদিকদের ব্রিফিং করত। সেখানেও কেউ এসব ব্যাপারে প্রশ্ন করতেন না। প্রবাসী সরকারকে বিব্রত করতে পারে অথবা বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম কোনোভাবে ব্যাহত করতে পারে, এমন কিছু সব সংবাদদাতাই চেপে যেতেন। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রতি অবিমিশ্র ও অকৃত্রিম সহানুভূতির এটি একটি অপূর্ব নিদর্শন।
পরিশেষে মুক্তাঞ্চল থেকে একটি সংবাদ পাঠানো নিয়ে যে বিপাকে পড়েছিলাম, তার উল্লেখ করছি। ২ ডিসেম্বর লন্ডন টাইমস-এর প্রথম পাতায় বেশ বড় করে আমার পাঠানো খবর ছাপানো হলো। শিরোনাম ছিল, ‘বয়েজ অব টুয়ালভ ফাইট দ্য ওয়ার’, কিশোর ছেলেরা কীভাবে হামাগুড়ি দিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের বাংকারের ফাঁক দিয়ে গ্রেনেড ছুড়ছে, খবরটার বিষয়বস্তু ছিল তা-ই। এটা ছিল যশোর ক্যান্টনমেন্ট দখলের বিবরণ। খবরটি যথারীতি আমার নাম উল্লেখ করেই বিবিসি থেকে প্রচারিত হয়, এমনকি প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর বেতার ভাষণে অথবা লোকসভার বক্তৃতাতেও বাঙালি কিশোরদের এই সাহসিকতার উল্লেখ করেছিলেন।
খবর হিসেবে জবর, কিন্তু বিপত্তি হলো টাইমস-এর প্রথম পাতার সঙ্গে যে ছবিটি ছাপানো হলো, সেটি নিয়ে। ছবিটি ছিল শেখ জামালের, যুদ্ধক্ষেত্রে গ্রেনেড হাতে। শেখ জামাল ছিল পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ধানমন্ডির একটি বাড়িতে বন্দী। পাকিস্তানিদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে এসে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেয়। এদিকে বোধ হয় বন্দী পরিবারের এবং পরে মুজিবনগর ও দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে পাকিস্তানিরা তাকে ধরে নিয়ে গেছে। সারা বিশ্বে এ নিয়ে তোলপাড়, পাকিস্তানি সরকার বিব্রত। তার পরই বিদেশি কাগজে তার ছবি ছাপা হয়েছে সে যুদ্ধ করছে বলে। আলী তারেক অনুযোগ করে জানাল, মুজিবনগর সরকার ক্ষুব্ধ হয়েছে, অথচ আমি নিজেও জানতাম না এটা কার ছবি। আমার পাঠানো খবরের সঙ্গে ছাপা হওয়াতে সবাই ভাবলেন, আমিই অপকর্মটি করেছি।
মার্চে ঢাকায় ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যাঁদের সঙ্গে খবর আদান-প্রদান করতাম, আবার তাঁদের দেখা পেলাম মুজিবনগর তথা কলকাতায়। একাত্তরের মে মাসে লন্ডন টাইমস-এর সম্পাদক হ্যারি ইভান্স ও প্রেস ফাউন্ডেশন অব এশিয়ার তৎকালীন নির্বাহী পরিচালক অমিতাভ চৌধুরী আমার ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করলেন হংকংয়ে অবস্থিত এশিয়ান নিউজ সার্ভিসের মাধ্যমে। হংকংয়ে নতুন কাজে যাওয়ার অজুহাতে সপরিবারে ঢাকা ছাড়ার অনুমতি পেলাম পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক শাসকের দপ্তর থেকে। অতঃপর হংকং থেকে সোজা চলে এলাম মুজিবনগরে মূলত এশিয়ান নিউজ সার্ভিসের প্রতিনিধি তথা সংবাদদাতার দায়িত্ব নিয়ে। এই বার্তা সংস্থার মাধ্যমেই খবর পাঠাতাম বিবিসি ও সানডে টাইমস-এ।
আমি থাকতাম সল্ট লেকে ছোট একটি দুই কামরার বাসা ভাড়া করে। পরবর্তীকালে সেই বাসায় অস্থায়ী আশ্রয় নিয়েছিলেন বন্ধু ফয়েজ আহ্মদ ও ঢাকার আরও কয়েকজন সাংবাদিক। পাকিস্তান অবজারভার-এর মৃণাল, পূর্বদেশ-এর সলিমউল্লাহ ও আরও দু-চারজন গাদাগাদি করে এক কামরায়, অপর কামরায় আমি ও আমার পরিবার। সেখান থেকে আমি চলে যেতাম পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মুক্তিবাহিনী ও মুক্তিযুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে। এই যাওয়া-আসায় আমাকে সহায়তা করতেন মুজিব বাহিনীর শেখ মনি ও তোফায়েল আহমেদ আর মুক্তিবাহিনীর শেখ শহিদুল ইসলাম। বিকেলে যেতাম গ্র্যান্ড হোটেলে, যেখানে থাকতেন অন্য বিদেশি সাংবাদিকেরা। একসঙ্গে বসে খবর তৈরি করতাম আমরা সবাই।
লন্ডন টাইমস-এর স্থায়ী প্রতিনিধি পিটার হ্যাজেলহার্স্ট, লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ-এর সাইমন ড্রিং, নিউইয়র্ক টাইমস-এর সিডনি শনবার্গ, ওয়াশিংটন ডেইলি নিউজ-এর হেনরি ব্রাডশায়ার, জাপানের রেডিও এনএইচকের প্রতিনিধি ইয়াশি কাবাকা ও আরও দুই ডজন সংবাদদাতা। হোটেলের লাউঞ্জটির নাম দিয়েছিলাম ‘মুজিবনগর মিডিয়া সেন্টার’। অবশ্য পার্ক অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদেশি সংবাদদাতাদের জন্য মিডিয়া কক্ষ ছিল। সেটির দায়িত্বে ছিলেন আমিনুল হক বাদশা, পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধুর সহকারী প্রেস সচিব।
হোটেলের মিডিয়া সেন্টারটিতে আমার উপস্থিতির অত্যধিক গুরুত্ব ছিল। কারণ, আমারই শুধু সীমান্ত পেরিয়ে মুক্ত এলাকায় অথবা সমরাঙ্গনে যাওয়ার সুযোগ ছিল। নিরাপত্তার কারণে ভারত সরকার বিদেশি সাংবাদিকদের সীমান্ত পার হতে দিত না। যেহেতু আমাকে মনে করা হতো মুক্তিযোদ্ধাদেরই একজন, তাই আমার ছিল অবারিত আসা-যাওয়া। সংগৃহীত খবর মিডিয়া সেন্টারে আমি সরবরাহ করতাম অন্যদের। আমাদের মধ্যে পেশাদারি প্রতিযোগিতা ছিল না। আমরা বিশেষ সংবাদ নিজের করে সংশ্লিষ্ট বিদেশি গণমাধ্যমে পাঠানোর—যাকে বলে ‘স্কুপ’—করার কথা ভাবতাম না। অদ্ভুত এক সহমর্মিতা ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রতি প্রতিটি বিদেশি সাংবাদিকের। ব্যক্তিগত সমর্থন ছিল মুক্তিযুদ্ধে। তাই বাংলাদেশের এক কোটি শরণার্থীর দুর্দশার বিবরণ পাঠিয়ে তাঁরা নিজেদের পত্রিকা ও বেতার সংস্থার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বজনমত গড়ে তুলেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতার বিবরণ পাঠাতেন। মিডিয়া সেন্টারে আমরা অবরুদ্ধ দেশের খবরও পেতাম।
গ্র্যান্ড হোটেলে বিকেলে সমবেত হয়ে খবর আদান-প্রদান শেষে আমরা যেতাম ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে। সেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জ্যাকব আমাদের ব্রিফিং করতেন। মুক্তিযুদ্ধ, তাতে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতা, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত গঠনের জন্য দেশ-বিদেশ সফরের বিবরণ সরবরাহ করতেন। মিডিয়া সেন্টারে এসে সবাই প্রায় একই খবর তৈরি করে নিজেদের মাধ্যমে পাঠাতাম। গ্র্যান্ড হোটেলের সাংবাদিকদের সেই মিলনমেলা ভেঙে গেল ১৬ ডিসেম্বরের পর। (শেষ)

No comments

Powered by Blogger.