কেউ ভোলে না কেউ ভোলে

কোরীয় যুদ্ধের শিকার মা ও শিশু ষ ফাইল ছবি: এএফপি
মার্কিনদের কেউ কেউ একে বলে থাকে ‘বিস্মৃত যুদ্ধ’। ১৯৫০ সালে নিজ দেশ থেকে যোজন যোজন দূরে সংঘটিত ওই যুদ্ধ এতটাই বেদনাদায়ক ছিল যে, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরাও সেই স্মৃতিকে ভুলে যাওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা করেছেন। তবে ভুলতে পারেনি উত্তর কোরীয়রা। কোরীয় যুদ্ধ অবসানের ৬০ বছর পরও তাদের স্মৃতিতে তা অম্লান। কমিউনিস্ট উত্তর কোরিয়া ২৭ জুলাই দিনটিকে ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে উদ্যাপন করে থাকে। ১৯৫৩ সালের ২৬ জুলাই এই যুদ্ধের শেষ গুলিটি ছোড়া হয়। আজ শনিবার ঘটা করে দিবসটি উদ্যাপন করবে উত্তর কোরিয়া। যদিও দুই পক্ষ (একপক্ষে ছিল উত্তর কোরিয়া ও চীন, অন্যপক্ষে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জাতিসংঘ ও দক্ষিণ কোরিয়ার বাহিনী) সেদিন একটি সাময়িক অস্ত্রবিরতিতে স্বাক্ষর করেছিল মাত্র। আজ পর্যন্ত তাদের মধ্যে কোনো চূড়ান্ত শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়নি। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছে সাবেক সেনাদের জন্য নতুন একটি কবরস্থান উদ্বোধনের মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে কোরীয় যুদ্ধের ৬০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। পিয়ংইয়ংয়ের রাস্তাগুলো এখন ‘বিজয় দিবসের’ ব্যানারসহ বিভিন্ন সাজসজ্জায় ছেয়ে গেছে। ১৯৫০ সালের ২৫ জুন ভোর চারটায় কোরীয় যুদ্ধ শুরু হয়। এ যুদ্ধ শুরুর দায় নিতে আজ পর্যন্ত রাজি হয়নি কোনো পক্ষই। ঐতিহাসিকদের মতে, উত্তর কোরিয়ার সেনারা সীমান্তে আক্রমণ শুরু করলে যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে। তবে উত্তর কোরিয়ার দাবি, মার্কিন বাহিনীই প্রথম আক্রমণ করেছিল। ‘প্রমাণ’ হিসেবে পিয়ংইয়ংয়ের যুদ্ধবিষয়ক জাদুঘরে একটি ছবি রাখা হয়েছে, যাতে দেখা যায়, মার্কিন সেনারা রাইফেল হাতে ৩৮ অক্ষাংশ অতিক্রম করছে। এপি ও দ্য টেলিগ্রাফ।

No comments

Powered by Blogger.