অস্ট্রেলিয়ার শরণার্থী নীতিউদ্বিগ্ন জাতিসংঘ

অস্ট্রেলিয়ার নতুন শরণার্থী নীতিতে সে দেশে আশ্রয়প্রার্থীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বিধান নেই বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। নতুন নীতি অনুযায়ী নৌকায় করে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের পাপুয়া নিউগিনিতে (পিএনজি) নিয়ে আবেদন যাচাই-বাছাই করিয়ে নেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ায় আসার অনুমতি দেওয়া হবে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, অস্ট্রেলিয়ার আশ্রয়প্রার্থীদের যাচাই-বাছাইয়ের ব্যাপারে পিএনজির আইনে 'বড় ধরনের সীমাবদ্ধতা' রয়েছে।
প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ নৌকায় করে সাগর পাড়ি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড গত ১৯ জুলাই ঘোষণা দেন, বেআইনিভাবে সমুদ্রপথে অস্ট্রেলিয়ায় আসা শরণার্থীদের পাপুয়া নিউগিনিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পিএনজিতে যাচাই-বাছাই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই আশ্রয়প্রার্থীদের পুনর্বাসন করা হবে। মানবপাচারকারীদের নৌকা অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া বন্ধ করতেই এ নীতি নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু ইউএনএইচসিআর বলছে, অস্ট্রেলিয়ার নতুন এ নীতিতে 'আশ্রয়প্রার্থীদের পর্যাপ্ত সুরক্ষার মানে' ঘাটতি আছে। পিএনজির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার শরণার্থীবিষয়ক সমঝোতার পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। পিএনজিও বর্তমানে আশ্রয়প্রার্থীদের প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রস্তুত নয়। তাদের বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট লোকবলের অভাব আছে। দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থাও ভালো নয়। তার ওপর বর্তমান ব্যবস্থায়ও আশ্রয়প্রার্থীদের বাধ্যতামূলক ও অযৌক্তিক জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়। পিএনজির বিদ্যমান আইন অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ায়ও এই নীতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি অস্ট্রেলিয়ার এবিসি টিভিকে বলেন, 'আশ্রয়প্রার্থীদের শারীরিকভাবে স্থানান্তর করলেই দায়মুক্ত হওয়া যাবে না, তাদের পরবর্তী সুরক্ষার জন্যও অস্ট্রেলিয়া দায়ী থাকবে।'
সরকারি হিসাবে, এ বছর অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতিবছর বহু লোক নৌকাডুবিতে মারা যায়। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.