হত্যা করেও পার পেয়ে গেছেন জিমারম্যান

মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ ট্রেভন মার্টিন হত্যার বিচারে গঠিত জুরিবোর্ডের একমাত্র অশ্বেতাঙ্গ নারী সদস্য বলেছেন, অভিযুক্ত জর্জ জিমারম্যান ‘হত্যা করেও পার পেয়ে’ গেছেন। প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যমপ্রতিষ্ঠান এবিসির ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে ওই জুরি সদস্য বলেন, আইনের কারণেই জিমারম্যানকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়নি। ৩৬ বছর বয়সী পুয়ের্তোরিকার বংশোদ্ভূত ওই নারী বলেন, ‘আমাদের মন বলছে, তিনি (জিমারম্যান) দোষী, কিন্তু এর পরও আমরা তাঁকে কারাগারে পাঠাতে পারছি না। মনটাকে এক পাশে রেখে আমাদের তাকাতে হচ্ছে আইন ও সাক্ষ্য-প্রমাণের দিকে।’ বিচারের সময় সাংকেতিক নাম বি-২৯ হিসেবে উল্লেখিত ওই জুরি সদস্য জানান, জুরিবোর্ড জিমারম্যানকে খালাস দেওয়ার পর তাঁর মনে হচ্ছে, মার্টিনের বাবা-মায়ের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। এবিসির সাক্ষাৎকারে তাঁকে ম্যাডি নামে উল্লেখ করা হয়। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ফ্লোরিডায় নিরস্ত্র মার্টিনকে গুলি করে হত্যা করেন স্থানীয় নাগরিক নিরাপত্তা সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী জিমারম্যান। গুলি করার কথা স্বীকার করলেও তিনি দাবি করেন, জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে গুলি চালিয়েছিলেন। ছয় নারীর সমন্বয়ে গঠিত জুরিবোর্ডের একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ সদস্য ম্যাডি বলেন, ‘আমাকে যেভাবে সংশ্লিষ্ট আইন বোঝানো হয়েছে, তাতে জিমারম্যান ইচ্ছাকৃতভাবে মার্টিনকে হত্যা করেছেন—এ কথা প্রমাণ করতে না পারলে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা সম্ভব নয়। জিমারম্যান হত্যা করেও পার পেয়ে গেছেন। কিন্তু ঈশ্বরের কাছ থেকে আপনি মুক্তি পাবেন না। সবকিছুর শেষে একদিন তাঁকে অনেক প্রশ্ন-উত্তরের মুখোমুখি হতে হবে।’ জুরিবোর্ডে জিমারম্যানের বিচারকে একটি ‘লোক ভোলানোর কায়দা’ হিসেবে অভিহিত করেন ম্যাডি। কেননা তাঁর মতে, ফ্লোরিডায় বিদ্যমান আত্মরক্ষার অধিকারবিষয়ক বিতর্কিত ‘স্ট্যান্ড ইওর গার্ড’ আইন অনুযায়ী জিমারম্যানকে দোষী সাব্যস্ত করার কোনো সুযোগ ছিল না। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.