সত্যান্বেষীর সেটে...

কাহানি ছবির বলিউডি পরিচালক সুজয় ঘোষকে ঋতুপর্ণ ঘোষ নায়ক করলেন তাঁর শেষ ছবি সত্যান্বেষীতে। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোরাবালি উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি করছিলেন তিনি।
শুটিংয়ের প্রথম দিনের তিন টুকরো গল্প বলা হলো এখানে

ঘোষ অ্যান্ড ঘোষ—পরিচালক ঋতুপর্ণ, নায়ক ব্যামকেশ চরিত্রে সুজয়, এই দুই ঘোষের মধ্যে প্রীতির সম্পর্ক। ঋতু বলেছেন, শুটিংয়ের সময় হল্লা করে সুজয়, কিন্তু ওর ওপর রাগ করতে পারি না। শট নেওয়ার সময় বোঝা যায়, কতটা পরিশ্রমী ও। আর সুজয় বললেন, কাজ করছি শুধু এই কারণে যে ছবিটি বানাচ্ছেন ঋতুদা। শট নেওয়ার আগে ঋতুপর্ণ সংলাপ উচ্চারণ করে বলতেন, সুরটা কানে ঢুকে যাক আগে। সেই সুর অনুসরণ করেই সুজয় সংলাপ বলতেন।

সকালেই একেবারে ক্লিন শেভ করে এসেছেন সুজয়। সন্ধ্যায় একটা শট ছিল। ঋতুপর্ণ বলছেন, গোঁফটা ছেঁটে ফেলো। সুজয় অবাক, সকালেই তো শেভ করলাম! ঋতুপর্ণ: গোঁফ গজিয়েছে, আমি দেখতে পাচ্ছি। কী আর করা। মুহূর্তের মধ্যে শুটিংস্পট পরিণত হলো সেলুনে। সুজয়ের না-ওঠা গোঁফ কাটার পরই শুরু হলো শুটিং। পরে একবার টুইট করলেন সুজয়, ব্যোমকেশের ভূমিকায় অভিনয় করতে গিয়েই আমি প্রথম বুঝতে পারি, আমার গোঁফ বুলেটের চেয়েও দ্রুতগতিতে বাড়ে!

শটটা ছিল এমন: বিস্কুটের জার হাতে নিয়ে বিস্কুট খেতে খেতে দরজা খুলতে যাবে ব্যোমকেশ (সুজয়)। কিন্তু মহড়ার সময় দেখা গেল প্রতিবারই সুজয় বিস্কুটগুলো উধাও করে দিচ্ছেন। বারবার ভরে দেওয়া হচ্ছিল জার। বারবার খালি হয়ে যাচ্ছিল। ফলে শুট করার আগে হঠাৎ ঋতুপর্ণ সুজয়ের হাত থেকে কেড়ে নিলেন জারটি। তারপর বললেন, আমি কি ব্যোমকেশকে নিয়ে ছবি করছি, নাকি আমার ছবির নাম বেবিস ডেআউট?
 টেলিগ্রাফইন্ডিয়া ডট কম অবলম্বনে

No comments

Powered by Blogger.