দৈনন্দিন বিজ্ঞান-চালকবিহীন গাড়ি!

ধরুন আপনার নতুন কেনা গাড়িটি নিজেই নিজেকে চালানোর সব দায়িত্ব নিয়েছে। অর্থাৎ স্টিয়ারিং হুইলে আপনাকে বসতে হচ্ছে না। গাড়ি চালানোর যত ঝক্কি-ঝামেলা সব ওই গাড়ির যন্ত্রপাতির ঘাড়ে।
আপনি শুধু বসে আছেন। গাড়ি আপনাকে নিয়ে যাচ্ছে আপনার গন্তব্যে। কেমন লাগবে ব্যাপারটা? বিষয়টি কিন্তু এখন আর কোনো অলীক স্বপ্ন নয়, বিজ্ঞান ও উন্নত কম্পিউটার প্রযুক্তির কল্যাণে এ ধরনের স্বয়ংক্রিয় গাড়ির চলাচল এখন রীতিমতো বিজ্ঞানসম্মত একটা সম্ভাবনা। গুগুলের গাড়ি ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে। অ্যামেরিকার বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে এ ধরনের স্বয়ংচালিত গাড়ি রাস্তায় পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। কম্পিউটার বিজ্ঞানী জ্যারন ল্যানিয়ের বলছেন, স্বয়ংচালিত গাড়ির যে সীমিত ব্যবহার এ যাবৎ হয়েছে তাতে উদ্বেগের কোনো কারণ তিনি দেখছেন না। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী চালকবিহীন গাড়ি যেসব রাস্তায় নামানো হয়েছে সেখানে দেখা গেছে এ ধরনের গাড়ি মানুষ নিয়ন্ত্রিত গাড়ির থেকে রাস্তায় অনেক বেশি নিরাপদ। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বিল টমসন বলছেন, গুগুল ২০১০ সালে প্রথম চালকবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামানোর ঘোষণা দেয়। তবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নয়, পরীক্ষামূলকভাবে। গুগুল এ ধরনের গাড়ি রাস্তায় বের করার পর কয়েক লাখ মাইল নিরাপদে চলার কৃতিত্বও অর্জন করেছে। এই দুই বছরে গুগুলের গাড়িতে দুর্ঘটনা ঘটেছে মাত্র একবার এবং সেবার একজন মানুষের হাতে ছিল ওই গাড়ির নিয়ন্ত্রণ।

No comments

Powered by Blogger.