'পরাবাস্তব' বাজেট ফের সংশোধন করতে হবে

বর্তমান সরকারের মেয়াদ আছে আর ছয় মাস। এ সময়ের মধ্যে কোন কাজে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তাঁর বাজেট বক্তৃতায় সে বিষয়ে কিছু বলেননি।
তিনি বাজেটে রাজস্ব আদায়, জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বৈদেশিক ঋণ পাওয়ার যেসব লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন, তা কিছুতেই অর্জন করা সম্ভব হবে না। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা করতে গিয়ে এসব মতামত তুলে ধরেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার পর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাকে সবচেয়ে দুর্বল জায়গা হিসেবে উল্লেখ করে মহাজোট সরকারের শেষ বাজেটকে 'পরাবাস্তব' বলে অভিহিত করেছে সিপিডি। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি মন্তব্য করেছে, বাস্তবতার নিরিখে মধ্যবর্তী পর্যায়ে গিয়ে এ বাজেটকে আবার সংশোধন ও পরিমার্জন করতে হবে। সিপিডি মনে করছে, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও রাজস্ব আহরণে সরকার যেসব লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে, তা বাস্তবসম্মত নয়। এ ছাড়া জমি, প্লট ও ফ্ল্যাটের মতো অনুৎপাদনশীল খাতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংস্থাটি।
সিপিডি বলেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি ও সুদজনিত ঋণ পরিশোধে বাজেটে যে ব্যয় ধরা হয়েছে, তা আর্থিক স্বাস্থ্যের জন্য শুভ লক্ষণ নয়।
কারণ বাজেটের ৭০ শতাংশ অর্থই ব্যয় হবে এ তিন খাতে। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকে যে পরিমাণ ঋণ পাওয়ার আশা সরকার করছে, নির্বাচনের বছরে এসে তা কতটুকু প্রতিফলিত হবে, বিষয়টি সহজেই অনুমেয়। পদ্মা সেতুর মূল কাজ নিজস্ব অর্থায়নে শুরু করা সুষ্ঠু সমাধান নয় জানিয়ে সংস্থাটি বলেছে, মিশ্র অর্থায়নের ভিত্তিতেই এ সেতু নির্মাণ করতে হবে। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত মোবাইল কম্পানির ওপর বাড়তি কর আরোপের প্রস্তাবটি ঠিক হয়নি বলে মত দিয়েছে সিপিডি।
সংবাদ সম্মেলনে বাজেটের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানান সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময় সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম, গবেষণা পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবছরই সংসদে বাজেট উপস্থাপনের পরদিন প্রতিক্রিয়া জানায় সিপিডি। এ ধারাবাহিকতায় গতকাল ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে পর্যালোচনা তুলে ধরে সংস্থাটি। এই বাজেটকে পরাবাস্তব বলার কারণ জানতে চাইলে ড. দেবপ্রিয় বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে আয় ও ব্যয়ের হিসাব বাস্তবসম্মত নয়। পিপিপিতে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে না। পদ্মা সেতুতে ছয় হাজার ৮৫২ কোটি টাকা খরচ হবে না। এসব কারণে বাজেটকে পরাবাস্তব বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে দেবপ্রিয় বলেন, আগামী অর্থবছরের জন্য দুই লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে এক লাখ ৬৭ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা। এটিই এ বাজেটের সবচেয়ে দুর্বল জায়গা। চলতি বছর এমনিতেই রাজস্ব আদায়ে ঘাটতির মধ্যে রয়েছে এনবিআর। নতুন করে যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে, চলমান অস্থিরতার মধ্যেও যদি এনবিআর তা আদায় করতে পারে, তাহলে তারা অবশ্যই ধন্যবাদ পাবে। তিনি আরো বলেন, এটি বর্তমান সরকারের শেষ বাজেট। তিনটি সরকার এটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে যাবে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনের প্রভাবও বাজেটে লক্ষণীয়।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা, বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতি এবং বাজেট বাস্তবায়নের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা এসবের আলোকে কোনো এক সময়ে গিয়ে এ বাজেট সংশোধন করতে হবে। তিনি বলেন, 'এ বাজেটের অনেক অংশই আছে, যা থেকে আমাদের কাছে মনে হয়েছে এ বাজেট পরাবাস্তবের মতো। আয়ও আছে, ব্যয়ও আছে, কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন না-ও হতে পারে। বাস্তবতার নিরিখে এ বাজেটকে সংশোধন করতে হবে।'
তবে এত সমালোচনার পরও বাজেটের কিছু পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে সিপিডি। করমুক্ত আয়সীমা দুই লাখ টাকা থেকে দুই লাখ ২০ হাজার টাকায় উন্নীতকরণের প্রস্তাবের প্রশংসা করেছে সংস্থাটি। এ ছাড়া জেলা শহরের পৌর এলাকার করদাতাদের জন্য নূ্যনতম দুই হাজার এবং জেলা সদরের বাইরে অবস্থিত অন্যান্য এলাকার বা গ্রামীণ এলাকার করদাতাদের নূ্যনতম আয়কর এক হাজার টাকা করা ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। আগে জেলা সদরের পৌরসভা ও উপজেলায় এ হার ছিল তিন হাজার টাকা। ১৭টি শিল্প খাতের কর অবকাশ সুবিধা সম্প্রসারণের পাশাপাশি পুঁজিবাজারের জন্য নেওয়া কিছু পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেছে সিপিডি।
বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। এ জন্য ৭৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আইসিটি ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের ওই টাকার কথা অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেটে উল্লেখ না করায় এর সমালোচনা করেন সিপিডির বিশেষ ফেলো। নির্বাচন সামনে রেখে সহিংসতা, হরতালের মতো বিষয়গুলো বাজেটকে আক্রমণ করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পদ্মা সেতু : মিশ্র অর্থায়নের ভিত্তিতে দ্রুত পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করাই সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মনে করে সিপিডি। দেবপ্রিয় বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণ করলে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ পড়বে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষিসহ অন্যান্য অগ্রাধিকার খাতে বরাদ্দ কমে যাবে। ভারতের ২০ কোটি ডলারের অনুদান ছাড়া আর কিছু নেই। এ সরকার বা আগামী সরকারকে অবশ্যই বন্ড ছেড়ে ও পুঁজিবাজার থেকে পদ্মা সেতুর জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। একই সঙ্গে বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
ঘাটতি বাজেট : বাজেটে ৫৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংক ও বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার কথা বলেছে। এ বিষয়ে দেবপ্রিয় বলেন, বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩.২ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সরকারের শেষ সময়ে এসে এ অর্থ ছাড় হওয়া নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করে বলেন, আশানুরূপ বৈদেশিক ঋণ না পেলে সরকার বাধ্য হয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নেবে। তখন ঋণ নেওয়ার পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বেসরকারি বিনিয়োগ। এর ফলে ব্যাংকের ওপর চাপ বাড়বে বলে জানান তিনি।
করপোরেট ট্যাক্স : বাজেটে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মোবাইল ফোন কম্পানির কর বাড়ানোর প্রস্তাব সঠিক হয়নি জানিয়ে দেবপ্রিয় বলেন, 'এর ফলে একটি মাত্র কম্পানি (গ্রামীণফোন) আক্রান্ত হবে। এ ছাড়া অন্যদের সঙ্গে ওই কম্পানির পার্থক্য তৈরি হবে। এ প্রস্তাবে আমরা স্বস্তিবোধ করছি না।' তবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিগারেট প্রস্তুতকারী কম্পানির করহার বাড়ানোর প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে রাজস্ব বৃদ্ধি ও সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কিছুটা উপকার হবে।
শেয়ারবাজারে বর্তমানে মোবাইল কম্পানির মধ্যে গ্রামীণফোন এবং সিগারেট কম্পানির মধ্যে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো তালিকাভুক্ত কম্পানি হিসেবে রয়েছে।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ : আবারও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়াকে নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে সিপিডি। এ প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, কালো টাকা সাদা করতে জমি, প্লট বা ফ্ল্যাটের মতো অনুৎপাদনশীল খাতকে কেন সুযোগ দেওয়া হলো তা বোধগম্য নয়। কারণ এখান থেকে বেশি অর্থ আয় হয় না। দেশে যাদের হাতে অর্থ আছে, তারাই এর সুবিধাভোগী হবে। এ ছাড়া যারা বিদেশে থাকে, রেমিট্যান্স আয় করে এবং বিনিয়োগ করতে চায়, তারাও প্লট ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগ করে এর সুবিধাভোগী হবে। দেশে শিল্প কাঠামো গড়ে তোলার জন্য উৎপাদনশীল খাতে কোনো ধরনের সুবিধা না দিয়ে কী কারণে এ রকম বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, তা অর্থনৈতিক এবং উন্নয়নের বিচারে বোধগম্য নয়।
ভর্তুকি : সিপিডি বলেছে, আগামী অর্থবছরে ভর্তুকি বাবদ কত খরচ হবে, তা প্রস্তাবিত বাজেটে স্পষ্ট করা হয়নি। এবারের বাজেটে ভর্তুকি ব্যয় একসঙ্গে দেওয়া হয়নি, যা বিগত বাজেটে করা হতো। তবে এটুকু প্রতীয়মান হয় যে আগামী বাজেটে ভর্তুকির পরিমাণ কমছে।
দেবপ্রিয় বলেন, গবেষণা করে দেখা গেছে, আসছে বাজেটে ভর্তুকি বাবদ ২৮ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা চলতি বছরের চেয়ে ছয় হাজার কোটি টাকা কম। এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, কৃষি খাতের ভতুর্কি কমবে। বিপিসিরও ভর্তুকি কমবে। আন্তর্জাতিক বাজারে সার ও তেলের মূল্যে স্থিতিশীলতার কারণে গত বছর যে হারে ভর্তুকিতে ব্যয় হয়েছে, আসছে বাজেটে তা হবে না।
সরকারের চ্যালেঞ্জ : এ সরকারের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জের কথাও উঠে এসেছে সিপিডির সংবাদ সম্মেলনে। বলা হয়েছে, বাজেটে সরকার ৭.২ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত এ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে যে পরিমাণ বিনিয়োগ ও পুঁজির উৎপাদনশীলতা দরকার তা নেই। গত কয়েক বছর ধরে বিনিয়োগ একই স্থানে অর্থাৎ জিডিপির ২৫ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। এটাকে ৩১ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। কিন্তু সে চেষ্টা দেখা যাচ্ছে না। এ ছাড়া আগামী বছর মূল্যস্ফীতি সাত শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনী বছর সবার বেতন বাড়িয়ে এই হার সাত শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জই হবে। অন্যদিকে উন্নয়ন সহযোগী থেকে ঋণ পাওয়া কঠিন হবে।
সরকারি ব্যয় : দেবপ্রিয় বলেন, বাজেটে সরকারি ব্যয়ের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা খুব দুশ্চিন্তার বিষয়। জনসেবা খাতে সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ মোট বাজেটের ১৪ শতাংশ অর্থ ব্যয় হবে। এ ছাড়া সুদজনিত ব্যয় ও ভর্তুকিসহ এ তিন খাতে বাজেটের ৭০ শতাংশ অর্থ খরচ হবে।
বাজেটে যেসব বিষয় আসেনি : দেবপ্রিয় বলেন, বর্তমান সরকারের অনেক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রয়েছে, যেগুলো চলতি বছরের মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় নির্বাচনী অনেক প্রতিশ্রুতির কথা ছিল না, যা খুবই হতাশাজনক। দেবপ্রিয় বলেন, দুর্নীতি দমন সংশোধন বিল, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে টানেল নির্মাণ, সিভিল সার্ভিস অ্যাক্ট অনুমোদন, স্থানীয় সরকার বিকেন্দ্রীকরণ, অর্থনৈতিক অঞ্চল, ভূমির ডিজিটালাইজেশনের মতো বিষয়ে অর্থমন্ত্রী কোনো ব্যাখ্যা দেননি।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) : এডিপি প্রসঙ্গে ড. দেবপ্রিয় বলেন, আসছে বাজেটে এডিপিতে ৬৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কিন্তু এডিপি বাস্তবায়ন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে। এডিপিতে পরিবহন, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, পল্লী উন্নয়ন ও ভৌত অবকাঠামো এ পাঁচটি বিভাগে মোট এডিপির ৬৯ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে কৃষি, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এডিপিতে ২৫টি প্রকল্প আছে, যেগুলোতে মাত্র এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিয়ে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ৫৫টি প্রকল্প আছে, যেগুলোতে মাত্র এক কোটি টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে করে সঠিক সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হয় না।
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী : দেবপ্রিয় বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে আক্ষরিক অর্থে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু মূল সুবিধাভোগী চার শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। জেলা বাজেটের সমালোচনা করে দেবপ্রিয় বলেন, 'এই জেলা বাজেটে আমরা স্বস্তিবোধ করছি না। কারণ এটাকে মনে হয়েছে টাঙ্গাইল জেলার জন্য সরকারের একটি আর্থিক বিবৃতি।' তিনি বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর মনে হয়েছে, পোশাকশিল্পের জন্য বাজেটে আলাদা করে কিছু থাকবে। কিন্তু সে রকম কিছু দেখা যায়নি।

No comments

Powered by Blogger.