জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবে গুলিবিদ্ধ ২

রাজধানীর কারওয়ানবাজার ও পান্থপথে জামায়াত-শিবিরের ঝটিকা মিছিল থেকে গুলি ও বিস্ফোরণের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তারা হচ্ছেন, তিতুমীর কলেজের ছাত্র মো. কবির হোসেন(২৪) ও গার্মেন্টস কর্মী হাফিজা আক্তার (২৪)। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা হঠাৎ মিছিল বের করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তারা গুলি ছুঁড়তে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপদ স্থানে পালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হন ওই দু’জন।

গুলিবিদ্ধ কবির পান্থপথে অবস্থিত বসুন্ধরা সিটির বিপরীত দিকের গলিতে কবির রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। পথচারী আবু সুফিয়ান তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক)হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

গুলিতে তার ডান পায়ের উরুতে অণ্ডকোষের পাশে আংশিক মাংস ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।

কবির তিতুমির কলেজের স্নাতক বাংলা প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি বাড্ডা এলাকার ভাটারা সোলমাইট নামক স্থানের বাসিন্দা। কবির জানান, ‘‘আমি বাসা থেকে শাহবাগ আসার পথে একটি মিছিলের মধ্যে পড়ি। সেখানে কি হয়েছে, আমি তা বলতে পারি না।’’

গুলিবিদ্ধ অন্যজন গার্মেন্টস কর্মী হাফিজা আক্তার কারওয়ানবাজারের রাস্তায় পড়েছিলেন। সজল বাবু নামক এক পথচারী তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক)হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার শরীরে ছররা গুলির চিহ্ন রয়েছে।

হাফিজা সাভারের রাজ্জাক ফ্যাশন গার্মেন্টসের কর্মী। তার স্বামীর নাম মোহাম্মদ সোহেল। তিনি সাভারের বার্ডপাড়া এলাকার ডিপমেশিন নামক স্থানের বাসিন্দা।

হাফিজা জানান, বাড়িওয়ালার ছেলে আওয়ালকে ডাক্তার দেখানোর জন্য পিজি হাসপাতালে নিয়ে ‍যাওয়ার পথে তিনি কারওয়ানবাজারে আরটিভির সামনে শিবিরের গোলাগুলির মধ্যে পড়েন।

No comments

Powered by Blogger.