অল্পের জন্য পৃথিবীকে মিস করবে গ্রহাণু

মাথার টুপিটা আগামী কয়েকদিন খুলবেন না দয়া করে। কেননা শীঘ্রই একটি গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসবে। সেটা যদি সব হিসেব ভুল প্রমাণ করে পৃথিবীর বুকে আঘাত হানে, তবে টুপিটি আপনার মাথা রক্ষা করতে পারে।
বিজ্ঞানীরা আগেই বলে দিয়েছেন, গ্রহাণুটি পৃথিবীকে আঘাত হানার কোন আশঙ্কা নেই। টুপি পরে থাকতে বলাটা তাই মজা করা। তবে এই পৃথিবীতে গ্রহাণুর আঘাতেই বিদায় নিয়েছিল ডাইনোসররা। আর মাত্র শত বছর আগে সাইবেরিয়ার দুই হাজার বর্গ কিলোমিটার বন পুড়ে ছাই হয়েছিল এদের আঘাতেই।
ভয় পেলেন নাতো? আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি যে গ্রহাণুটি পৃথিবীর কাছ ঘেঁষে চলে যাবে, সেটি আবিষ্কার হয়েছে ২০১২ সালে। তার নাম দেয়া হয়েছে ডিএ-১৪। এটি পৃথিবীর মূল ভূখ- থেকে ১৭ হাজার ২০০ মাইল দূরে থাকবে। আমাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করলে এটা নিরাপদ দূরত্ব। তবে মহাকাশে এখন নানা প্রকার স্যাটেলাইটের বিচরণ রয়েছে। সে সবের সঙ্গে এই গ্রহাণুর ধাক্কা লাগার আশঙ্কা নেই বলেই মন করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তবুও স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রকদের এই বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন তারা। এবং গ্রহাণুটির সম্ভাব্য কক্ষপথ সম্পর্কেও জানানো হয়েছে।
নাসার গবেষক ডোনাল্ড ইয়োমানস এ বিষয়ে বলেছেন, 'গ্রহাণুদের গতিপথের অনিশ্চতা বিবেচনায় এনেও আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, ভূপৃষ্ঠের ১৭ হাজার ১০০ মাইল দূর থেকেই চলে যাবে এটি।'
এখন পর্যন্ত যা খবর, তাতে এই ডিএ-১৪ গ্রহাণুর আকার হচ্ছে মাত্র ১৫০ ফুট। ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্রিনিচ মান সময় ১৭২৪-এ ভারত মহাসাগরে সুমাত্রা অঞ্চলের উপর দিয়ে চলে যাবে এটি। উৎসুকরা চাইলে ছোটখাটো টেলিস্কোপ ব্যবহার করেই গ্রহাণুটিকে এক নজর দেখতে পারেন। বিজ্ঞানীদের হিসেবে, পূর্ব ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং এশিয়া থেকে এটি দেখা যাবে।
উল্লেখ্য, সাধারণত প্রতি ৪০ বছর পরপর এরকম কোন গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছ থেকে চলে যায়। আর পৃথিবীতে তারা আঘাত হানে ১২০০ বছর পর পর। সর্বশেষ ১৯০৮ সালে এরকম এক গ্রহাণুর আঘাতে সাইবেরিয়ার দুই হাজার বর্গকিলোমিটার বন ধ্বংস হয়েছিল। সে হিসেবে অদূর ভবিষ্যতে এরকম কোন গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই। সূত্র : ডয়চে ভেলে।

No comments

Powered by Blogger.