জরিপের বিস্তারিত


সরকারের কার্যক্রম সরকারের চার বছরের শাসন শেষে তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে মানুষের ইতিবাচক ও নেতিবাচক উত্তর প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে ৪৫ শতাংশ মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে; ৪৯ শতাংশ মানুষ জানিয়েছে নেতিবাচক মত। বাকিরা ভিন্ন মত দিয়েছে।
তবে গত ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালের জরিপে ওই একই প্রশ্নের উত্তরে যথাক্রমে ৬৬, ৫৮ ও ৪৩ শতাংশ মানুষ বলেছিল সরকার ভালোমতো দেশ চালাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে এবার গত বছরের তুলনায় কিছুটা হলেও সরকারের প্রতি মানুষের ইতিবাচক ধারণা বেড়েছে। অন্যদিকে সরকারের কার্যক্রমের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এমন ব্যক্তির সংখ্যা ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালে ছিল যথাক্রমে ২৬, ৩৪ ও ৫২ শতাংশ।


শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার গত চার বছরের কার্যক্রম সম্পর্কে উত্তরদাতাদের মূল্যায়ন জানতে চাওয়া হয়েছিল। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালো বলেছেন ৬৫ শতাংশ মানুষ। এ ক্ষেত্রে ২০১১ সালের তুলনায় তাঁর অবস্থান এক শতাংশ বেড়েছে। অবশ্য ২০০৯ সালে ৭৬ ও ২০১০ সালে ৭৫ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব জানিয়েছিল।


দেশ কোন দিকে যাচ্ছে
এ সরকারের চার বছর সময়কালে দেশ সামগ্রিকভাবে যে পথে চলেছে, তা নিয়ে মানুষের হতাশা ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। সর্বশেষ জরিপে ৬০ শতাংশ মানুষ মনে করছে দেশ ভুল পথে এগোচ্ছে। বাকি ৪০ শতাংশ মানুষ মনে করছে সঠিক পথে এগোচ্ছে। ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালে যথাক্রমে ২৯, ৩৯ ও ৫৭ শতাংশ মানুষ মনে করুত দেশ ঠিক পথে নেই।


দলীয়করণ
২০১১ সালের মতো এ বছরও প্রায় অর্ধেক উত্তরদাতা বিএনপির সরকারের চেয়ে আওয়ামী লীগের সরকারের দলীয়করণের প্রবণতা বেশি বলে মত দিয়েছে। উত্তরদাতাদের এ হার ৫১ শতাংশ। ২০০৯ ও ২০১০ সালে এ রকম মত ছিল যথাক্রমে ৪১ ও ৪৭ শতাংশ উত্তরদাতার। বিপরীতে এ বছর ও ২০১১ সালে ২৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে, আওয়ামী লীগের আমলে দলীয়করণ কমেছে। ২০১০ ও ২০০৯ সালে এমন মত দিয়েছিল যথাক্রমে ২৮ ও ৩৬ শতাংশ মানুষ।


গুম, হত্যা
দেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করে, ইলিয়াস আলীসহ অনেকের গুম ও অপহরণের ঘটনার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সম্পর্ক নেই। ৩১ শতাংশ মানুষ মনে করে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব ঘটনায় জড়িত ও ৫৪ শতাংশ মানুষ মনে করে তারা জড়িত নয়। ১৫ শতাংশ মানুষ এ বিষয়ে কিছু জানে না।


মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার
সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধ অর্থাৎ যুদ্ধাপরাধের বিচার যথাযথভাবে করতে পারবে কি না, এ প্রশ্নে জনমত প্রায় দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে সরকারের ওপর উত্তরদাতাদের আস্থা কমেছে বলা যায়। ২০০৯ সালে যেখানে ৮৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছিল সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচারে যথার্থ পদক্ষেপ নিতে পারবে। ২০১২ সালে এসে এ বিষয়ে মানুষের আস্থা কমে ৪৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০১০ সালে সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে পারবে এমন মত ছিল ৫৭ শতাংশ। ২০১১ সালে তা কমে ৪৭ শতাংশ হয়েছিল।


বিরোধী দলকে সংসদে আনা
বিরোধী দলকে সংসদে আনার ব্যাপারে সরকার আন্তরিক নয় বলে মনে করে অধিকাংশ মানুষ। ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা এবারের জরিপে এমন মত দিয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এই মত ক্রমাগত হারে বেড়েছে। ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালে এমন মত দিয়েছেন যথাক্রমে ৩৫, ৩৮ ও ৫৪ শতাংশ উত্তরদাতা। এমন মতের বিপরীতে ২০১২ সালে ৩৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে, বিরোধী দলকে সংসদে আনার ব্যাপারে সরকার আন্তরিক ছিল।


বিচারব্যবস্থা
বিচার বিভাগের অবনতি হয়েছে বলে বর্তমান জরিপে ৪০ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকে মানুষের এমন মত বাড়ছে। ২০১১ সালে ৩৮, ২০১০ সালে ২৮ ও ২০০৯ সালে ১৬ শতাংশ উত্তরদাতা এ মত দিয়েছিল। আবার বিচার বিভাগের উন্নতি হয়েছে, এমন ইতিবাচক মন্তব্যের পক্ষে জনমত কমেছে। এ জরিপে ৩৯ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে, বিচার বিভাগের উন্নতি হয়েছে। ২০১১, ২০১০ ও ২০০৯ সালে এমন মত ছিল যথাক্রমে ৪২, ৪৮ ও ৫২ শতাংশ মানুষের।


বিরোধী দলের সঙ্গে আচরণ
বিরোধী দলের সঙ্গে সরকারের আচরণ সঠিক নয়, এমন ধারণার পক্ষে জনমত গত চার বছরে ক্রমাগত বেড়েছে। এ জরিপে ৭০ শতাংশ মানুষ এ মত দিয়েছে। ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালে এমন মত ছিল যথাক্রমে ৪২, ৬০ ও ৬২ শতাংশ মানুষের। বিপরীতে ২০০৯ সালে ৫৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছিল বিরোধী দলের সঙ্গে সরকারের আচরণ সঠিক। এমন মত প্রতিবছরই কমে এসেছে। ২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালে এ হার ছিল যথাক্রমে ৩৮, ৩৩ ও ২৭ শতাংশ।

১০
দুর্নীতি
গত চার বছরে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপকে ইতিবাচক মনে করে না দেশের অধিকাংশ মানুষ। এ ব্যাপারে জনগণের নেতিবাচক মনোভাব আরও বেড়েছে। এ জরিপে ৪৯ শতাংশ মানুষ বলেছে, দুর্নীতি আগের চেয়ে বেড়েছে। ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালে মানুষের এ মনোভাব ছিল যথাক্রমে ৩৪, ৩৭ ও ৪৬ শতাংশ। এ জরিপে ৩৮ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে, দেশে দুর্নীতি কমেছে। ২০০৯ সালে ৪২ শতাংশ, ২০১০ সালে ৪৩ শতাংশ এবং ২০১১ সালে ৪০ শতাংশ মানুষ মনে করত দেশে দুর্নীতি কমেছে।

১১
দ্রব্যমূল্য
এ জরিপে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রতি মানুষের ইতিবাচক মনোভাব ২০১১ সালের ২১ শতাংশের চেয়ে ৮ শতাংশ বেড়ে ২৯ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। ২০০৯ সালে ৫০ শতাংশ মানুষ বলেছিল সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে। ২০১০ সালে এই জনমতে ধস নেমে ২৬ শতাংশ ও ২০১১ সালে ২১ শতাংশ হয়। তবে এখনও দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষের অসন্তুষ্টিই বেশি। ২০১২ সালে এ বিষয়ে অসন্তুষ্ট মানুষের সংখ্যা ছিল ৭০ শতাংশ। ২০০৯ তা ৪১ শতাংশ দিয়ে শুরু হয়ে ২০১০ সালে ৭৩ শতাংশে পৌঁছায়। ২০১১ তা আরও বেড়ে ৭৯ শতাংশে পৌঁছায়।

১২
কৃষি
দেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করে, বর্তমান সরকারের আমলে নেওয়া পদক্ষেপে কৃষকেরা ভালো নেই। বর্তমান জরিপে ৬৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে, কৃষি খাতে নেওয়া সরকারের পদক্ষেপে কৃষক লাভবান হয়নি। ২০১১ সালে এমন মনোভাব ছিল ৬০ শতাংশ মানুষের। আর ২০১০ ও ২০০৯ সালে তা ছিল যথাক্রমে ২৪ ও ৩১ শতাংশ। কৃষকেরা লাভবান হয়েছে এমন ভাবনা পোষণ করে ৩৪ শতাংশ মানুষ। তবে এমন ভাবনা গত চার বছরে কমে এসেছে। ২০১১, ২০১০ ও ২০০৯ সালে যথাক্রমে ৩৭, ৭৪ ও ৬৭ শতাংশ মানুষ বলেছিল, সরকারের পদক্ষেপে কৃষকেরা ভালো রয়েছে।

১৩
শিক্ষা
বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে শিক্ষা ক্ষেত্রে উত্তরোত্তর সাফল্য আসছে বলে জনমত জরিপে প্রতিফলন দেখা গেছে। ২০১২ সালে ৯৩ শতাংশ মানুষ শিক্ষা ক্ষেত্রে সাফল্য এসেছে বলে মত দিয়েছে। ২০১০ ও ২০০৯ সালে এমন মনোভাবের পক্ষে মত ছিল ৮৯ শতাংশ মানুষের। গত বছর মাত্র ৭ শতাংশ মানুষ বলেছে, শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ব্যর্থ হয়েছে।

১৪
জীবনযাত্রার মান
জীবনমাত্রার মান গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে কিছুটা বেড়েছে। ২০১১ সালের ৪১ শতাংশ থেকে বেড়ে গত বছরে তার হার দাঁড়িয়েছে ৪৭ শতাংশে। ২০০৯ সালে এ হার ছিল ৫১ শতাংশ। ১০১০ সালে তা বেড়ে ৫৩ শতাংশ হয়ে ২০১১ সালে আবার কমে গিয়েছিল। ২০১২ সালে অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে এমন মত দিয়েছে ৩২ শতাংশ মানুষ। অবস্থা অপরিবর্তিত আছে বলেছে ২১ শতাংশ মানুষ। জীবনযাত্রার মান কমেছে এমন মতের পক্ষে ছিল ২০১২ সালে ৩২, ২০১১ সালে ৩৬ এবং ২০১০ ও ২০০৯ সালে ২২ শতাংশ মানুষ।

১৫
মন্ত্রীদের হালহকিকত
সরকারের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর কাজের মূল্যায়ন চাইতে গিয়ে জরিপে বেশ মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। মন্ত্রীদের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ধারাবাহিকভাবে মেঘযুক্ত আকাশে জ্বলজ্বলে তারকার মতো অবস্থান করে নিয়েছেন। ৯৪ শতাংশ মানুষ শিক্ষামন্ত্রীর কাজের সন্তোষ প্রকাশ করেছে। নতুন দায়িত্ব পেয়ে অল্প সময়ের মধ্যে সড়ক ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই তালিকায় দ্রুত দ্বিতীয় স্থান দখল করেছেন। তাঁকে সফল হিসেবে চিহ্নিত করেছে ৬০ শতাংশ মানুষ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিকে ৪০ শতাংশ মানুষ সফল এবং ৩৩ শতাংশ মানুষ ব্যর্থ বলে চিহ্নিত করেছে। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে ৩৯ শতাংশ মানুষ তাঁকে সফল ও ৫৫ শতাংশ ব্যর্থ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
নির্বাচিত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে উত্তরদাতারা সবচেয়ে কম সফল বলে মনে করেছে। তাঁদের দুজনকে ৩১ শতাংশ মানুষ সফল মনে করেছেন। তবে অর্থমন্ত্রীকে অসফল মনে করেছে ৫৫ শতাংশ মানুষ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ব্যর্থ মনে করে এমন মানুষের সংখ্যা ৩৪ শতাংশ। ১৭ শতাংশ মানুষ এ বিষয়ে কোনো নিশ্চিত মতামত দিতে পারেনি। ১৮ শতাংশ মানুষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

১৭
নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না এমন মনোভাব বাড়ছে। গত বছর ৪৮ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে, ইসি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। ২০১১ সালে ৪৬ শতাংশ এবং ২০১০ সালে ৩৮ শতাংশ মানুষ একই মত দিয়েছিল। ইসি স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলে ৪৫ শতাংশ উত্তরদাতা জানালেও তাদের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব কমছে। ২০১১ সালে ৪৭ শতাংশ এবং ২০১০ সালে ৫৭ শতাংশ মানুষ মনে করত, ইসি স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
বর্তমান ইসি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে ৪৯ শতাংশ উত্তরদাতা নেতিবাচক মত দিয়েছে। ইতিবাচক মত দিয়েছে ৪৫ শতাংশ উত্তরদাতা।

১৮
ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক
৬০ শতাংশ মানুষ গ্রামীণ ব্যাংক ও মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সরকারের আচরণের প্রতি সমর্থন জানায়নি। ২৫ শতাংশ এ বিষয়ে সরকারকে সমর্থন জানিয়েছে। বাকিরা এ বিষয়ে কোনো ধারণা রাখে না।

১৯
গণমাধ্যম
গণমাধ্যমের প্রতি সরকারের আচরণ নিয়ে ৮৬ শতাংশ মানুষ খুশি নয় বলে জানিয়েছে। ২০১১ সালে এই মতামতের পক্ষে জনমত ছিল ৭১ শতাংশ। মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ সরকারের আচরণের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে; ৫ শতাংশ মানুষ এ বিষয়ে কোনো উত্তর দেয়নি।

২০
পদ্মা সেতু
অধিকাংশ মানুষ পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সরকারের আচরণ সমর্থন করেনি। সরকারের আচরণের বিরোধিতা করেছে ৫৩ শতাংশ মানুষ। মাত্র ২৫ শতাংশ মানুষ বলেছে, তারা সরকারের আচরণ সমর্থন করে। ২২ শতাংশ উত্তরদাতা এ বিষয় নিয়ে তাঁদের কোনো ধারণা নেই বলে জানিয়েছে।

২১
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক
আওয়ামী লীগ শাসনামলে ভারতের সঙ্গে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক থেকে বাংলাদেশ লাভবান হয়েছে বলে মনে করে না অধিকাংশ উত্তরদাতা। ৪৯ শতাংশ উত্তরদাতা তাদের এমন মত জানিয়েছে। ৩৮ শতাংশ মানুষ বলেছে বাংলাদেশ লাভবান হয়েছে। ১৩ শতাংশ এ বিষয়ে কোনো মতামত দেয়নি।

২২
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি
ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে দেশে রাজনীতি করতে দেওয়া উচিত কি না এমন প্রশ্নে মানুষের মধ্যে বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে। এ ক্ষেত্রে গত তিন বছরে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের প্রতি মানুষের সমর্থন বেশ কমেছে। ২০১০ ও ২০১১ সালে এই রাজনীতি চলা উচিত বলে মত দিয়েছিল ৫৯ শতাংশ মানুষ। ২০১২ সালে এসে তা কমে ৪১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। পক্ষান্তরে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিপক্ষে জনমত ২০১০ ও ২০১১ সালের তুলনায় ৪০ শতাংশ থেকে এ হার বেড়ে ৫৮ শতাংশ হয়েছে।

২৩
দুর্নীতি দমন কমিশন
বর্তমান সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না, এবারের জরিপে সে মত আরও দৃঢ় হয়েছে। ৫৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে, দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীন নয়। ২০১১ ও ২০১০ সালে এমন মনোভাব ছিল যথাক্রমে ৫২ ও ৪৫ শতাংশ মানুষের। বর্তমান জরিপের ৩৮ শতাংশ মানুষ মনে করে, দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে। তবে এ মনোভাব ক্রমশ কমেছে। দুদকের ব্যাপারে ২০১১ সালে ৩৮ শতাংশ এবং ২০১০ সালে ৪৮ শতাংশ মানুষের ইতিবাচক মনোভাব ছিল।

২৪
বিদ্যুৎ
এ সরকারের শাসনামলে বিদ্যুৎ খাত উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সফলতা দেখিয়েছে বলে মনে করে অধিকাংশ উত্তরদাতা। তবে গত বছরের তুলনায় সফলতার পরিমাণ কিছুটা কমেছে। ২০১১ সালের জরিপে ৪৮ শতাংশ মানুষ বলেছিল বিদ্যুৎ খাতে উন্নতি হয়েছে। ২০১২-এর জরিপে তা কিছুটা কমে ৪৪ শতাংশ হয়েছে। তবে ২০১০ সালের তুলনায় পরিস্থিতি বেশ ভালো। ওই বছর মাত্র ২৮ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে মত দিয়েছিল। এর আগের বছর, ২০০৯ সালে, এই মত দিয়েছিল ৪৩ শতাংশ উত্তরদাতা। এ বছরের জরিপে ৪০ শতাংশ মানুষ মনে করে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি ও ১৬ শতাংশ বলেছে পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ২০০৯ সালে ২৩ শতাংশ মানুষ বলেছিল বিদ্যুৎ পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ২০১০ সালে তা বেড়ে ৪৭ শতাংশ হয়। ২০১১ সালে এসে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নেতিবাচক বলেছে ৩১ শতাংশ উত্তরদাতা।

২৫
সংসদ পরিচালনা
গত চার বছরে বর্তমান সরকার যেভাবে সংসদ পরিচালনা করেছে তাতে বেশির ভাগ মানুষ সন্তুষ্ট নয়। এমন অসন্তোষের পরিমাণ বাড়ছে। ২০১২ সালে ৫৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে, সরকার যথাযথভাবে সংসদ পরিচালনা করতে পারছে না। ২০০৯ সালে এমন মতের পক্ষে বলেছিল ৩৪ শতাংশ মানুষ। ২০১০ ও ২০১১ সালে তা বেড়ে হয়েছিল ৪৪ ও ৫৩ শতাংশ। অন্যদিকে ২০০৯ সালে সরকারের সংসদ পরিচালনায় ৬৫ শতাংশ মানুষ ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও ২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৫২, ৪১ ও ৩৮ শতাংশে।

২৬
কর্মসংস্থান
কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারের কার্যক্রম নিয়ে মানুষ ব্যাপক হতাশা দেখিয়েছে। ৭৪ শতাংশ মানুষ বলেছে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। ২৫ শতাংশ বলেছে, সরকার এ বিষয়ে প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে। ২০১০ সালে ৪৮ শতাংশ মানুষ মনে করত সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারছে না। ২০১১ সালে এ জনমত বেড়ে এক লাফে ৭১ শতাংশ হয়। বিপরীতে ২০১০ সালে ৪৮ শতাংশ মানুষ বলেছিল, সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। ২০১১ সালে এই ধারণার পক্ষে মত কমে ২৪ শতাংশে এসে দাঁড়ায়।

২৭
যোগাযোগ
যোগাযোগব্যবস্থা এবং অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নে বর্তমান সরকারের কার্যক্রম নিয়ে এ জরিপে বেশির ভাগ মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। জরিপে ৫৮ শতাংশ মানুষ এ ব্যাপারে ইতিবাচক মত দিয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পরের দুই বছর, অর্থাৎ ২০০৯ ও ২০১০ সালে, এ ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেছিল প্রায় সমানসংখ্যক মানুষ—যথাক্রমে ৬৮ ও ৬৯ শতাংশ। ২০১১ সালে এটি বেশ কমে এসে দাঁড়িয়েছিল ৩৯ শতাংশে। এ খাতে ২০১১ সালের ৬০ শতাংশের তুলনায় ২০১২ সালে অসন্তোষ কমে হয়েছে ৪০ শতাংশে। ২০১১, ২০১০ ও ২০০৯ সালে যথাক্রমে ৬০, ২৯ ও ২১ শতাংশ মানুষের মধ্যে এ ক্ষেত্রে অসন্তোষ ছিল।

২৮
আওয়ামী লীগের ভূমিকা
সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর ওপর মানুষের অসন্তোষ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম বছর ২০০৯ সালে ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছিল তাঁরা আওয়ামী লীগের ওপর সন্তুষ্ট, মাত্র ২৯ শতাংশ উত্তরদাতা তখন অসন্তুষ্ট ছিল। কিন্তু ২০১০ সালে সন্তুষ্টি বেশ কমে ৪১ শতাংশ, ২০১১ সালে ৩৬ শতাংশ ও ২০১২ সালে এসে ৩৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বিপরীতে ২০১২ সালে অসন্তোষ পৌঁছেছে ৬১ শতাংশে। এ হার ২০১০ সালে ৫৫ ও ২০১১ সালে ৫৮ শতাংশ ছিল।

২৯
কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ
আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ ক্রমাগতভাবে কমেছে বলে মানুষ মনে করে। ২০১২ সালে এসে ৩৩ শতাংশ মনে করছেন আওয়ামী লীগ তার কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে। ২০০৯ সালে এ ধারণা পোষণ করত ৪৭ শতাংশ মানুষ। ২০১০ সালে এমন মত দেয় ৪৫ শতাংশ উত্তরদাতা। ২০১১ সালে এসে তা বেশ কমে ৩৬ শতাংশ হয়। বিপরীতে ২০১২ সালের জরিপে ৬৫ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে আওয়ামী লীগ তার কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ২০০৯ সালের প্রথম জরিপে ৫২ শতাংশ, ২০১০ সালে ৫৩ শতাংশ এবং ২০১১ সালে ৬২ শতাংশ মানুষ মনে করত আওয়ামী লীগ তার কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।

৩০
আইনশৃঙ্খলা
বর্তমান সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না অবনতি হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ইতিবাচক মনোভাব কমেছে। ২০১১ সালে ৪৩ শতাংশ উত্তরদাতা পরিস্থিতিকে উন্নত বললেও গত বছর সেই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯ শতাংশে। আর ৩৮ শতাংশ বলেছে, পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ২২ শতাংশ বলেছে, পরিস্থিতি আগের মতোই রয়েছে। ২০১০ ও ২০০৯ সালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ইতিবাচক বলেছিল যথাক্রমে ৫৯ ও ৬৫ শতাংশ উত্তরদাতা।

৩১
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে মানুষ তাদের অবস্থান এ জরিপে পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছে ৮৪ শতাংশ মানুষ। ২০১১, ২০১০ ও ২০০৯ সালে এমন মতের পক্ষে ছিল যথাক্রমে ৮৬, ৭৮ ও ৭৭ শতাংশ মানুষ। এর পক্ষে এ বছর মত দিয়েছেন মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ। ৭০ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে, ২০১২ সালে আগের তুলনায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পরিমাণ কমেছে।

৩২
খালেদা জিয়া
বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে ৬৪ শতাংশ উত্তরদাতা। ২০১১ সালের ৭৩ শতাংশ থেকে এ জরিপে এই হার ৯ শতাংশ কমেছে। যদিও ২০০৯ সালের ৬৮ শতাংশ থেকে ২০১০ সালে এই ইতিবাচক মনোভাব বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৭৬ শতাংশে। বিপরীতে ২০০৯ সালে খালেদা জিয়ার ভূমিকায় জনমতে অসন্তোষ ছিল ১৬ শতাংশ। ২০১০ সালে তা ২২ এবং ২০১১ সালে তা ২৬ শতাংশ হয়। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রতি ৭৬ শতাংশ মানুষ ও খালেদা জিয়ার ভূমিকার প্রতি ৬৮ শতাংশ মানুষ সমর্থন জানিয়েছিল।

৩৩
সংসদে অনুপস্থিতি
তিন বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বিরোধী দলের সংসদে অনুপস্থিতির বিরোধিতা করেছে ৭৯ শতাংশ উত্তরদাতা। মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ বিরোধী দলের সংসদে অনুপস্থিতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। ২০০৯ সালে ৮৮, ২০১০ সালে ৮৩ ও ২০১১ সালে ৮১ শতাংশ মানুষ সংসদে বিরোধী দলের অনুপস্থিতিকে সমর্থন জানায়নি।

৩৪
সংসদের বাইরে বিরোধী দল
সংসদের বাইরে বিরোধী দলের ভূমিকার প্রতি ৫৮ শতাংশ মানুষ সমর্থন দেয়নি। ৩১ শতাংশ মানুষ বলেছে তারা সংসদের বাইরে বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়ে খুশি। ২০০৯ ও ২০১০ সালে মানুষ প্রায় সমান—অর্থাৎ ৩১ ও ৩০ শতাংশ—মানুষ বলেছিল, সংসদের বাইরেও বিরোধী দল ভালো ভূমিকা পালন করছে। ২০১১ সালে এসে এই মতের পক্ষে জনমত কমে ১৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল। সেই হিসাবে গত বছরের তুলনায় বিরোধী দলের এই ভূমিকার প্রতি জনসমর্থন বেড়েছে। বিপরীতে বিরোধী দলের সংসদের বাইরের ভূমিকায় নেতিবাচক জনমতের পরিমাণ ২০০৯ সালে ৫০ এবং ২০১০ ও ২০১১ সালে এ দুই বছরই ৬০ শতাংশ ছিল।

৩৫
জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু
গত চার বছরে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়েও মানুষ সন্তুষ্ট নয়। ৩৮ শতাংশ মানুষ বলেছে তারা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিরোধী দলের ভূমিকায় অখুশি। পক্ষান্তরে ২৮ শতাংশ মানুষ বলেছে, তারা খুশি। ২৩ শতাংশ মানুষ মনে করে বিরোধী দল ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোনো ভূমিকাই পালন করেনি। ২০০৯ সালে বিরোধী দলের এই ভূমিকার প্রতি ৪৪ শতাংশ, ২০১০ সালে ৩৯ শতাংশ, ২০১১ সালে ৩৭ শতাংশ জনমতের সমর্থন পাওয়া যায়নি।

৩৬
তারেক রহমান
তারেক রহমান রাজনীতিতে ফিরে এলে তা কোনো শুভ ফল বয়ে আনবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে ৪২ শতাংশ উত্তরদাতা ‘হ্যাঁ’ ও ৫২ শতাংশ উত্তরদাতা ‘না’ বলেছে। ৬ শতাংশ উত্তরদাতা এ বিষয়ে কিছু জানে না বলে জানিয়েছে।


৩৭
সংসদ নির্বাচন
৭৬ শতাংশ মানুষ জানিয়েছে, তারা মনে করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। ২২ শতাংশ মানুষ এ বিষয়ে ভিন্ন মত দিয়েছে। এই মত জানান দেয় সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না।

৩৮
নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না, এমন মনোভাব বাড়ছে। গত বছর ৪৮ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছে, ইসি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। ২০১১ সালে ৪৬ শতাংশ এবং ২০১০ সালে ৩৮ শতাংশ মানুষ একই মত দিয়েছিল। ইসি স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলে ৪৫ শতাংশ উত্তরদাতা জানালেও এমন মনোভাব কমছে। ২০১১ সালে ৪৭ শতাংশ এবং ২০১০ সালে ৫৭ শতাংশ মানুষ মনে করত, ইসি স্বাধীনভাবে কাজ করছে। বর্তমান ইসি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ৪৯ শতাংশ উত্তরদাতা নেতিবাচক মত দিয়েছে। আর ইতিবাচক মত দিয়েছে ৪৫ শতাংশ উত্তরদাতা।

৩৯
নির্বাচনে সামরিক বাহিনী
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সামরিক বাহিনীর সহযোগিতা প্রয়োজন হবে বলে মত দিয়েছে ৮৯ শতাংশ মানুষ। মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ এর বিপরীত মত দিয়েছে।

৪০
রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন
সরকারি ও বিরোধী দলের চার বছরের তৎপরতায় রাজনীতিতে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে কি না এই প্রশ্ন করা হয়েছিল। উত্তরে ৩৪ শতাংশ মানুষ বলেছে তারা কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছে। আর ৬৩ শতাংশ মানুষ বলেছে তারা দুই দলের আচরণে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছে না।

৪১
সমঝোতা
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতা হবে কি না এ বিষয়ে বেশির ভাগ মানুষ হতাশা প্রকাশ করেছে। ৫৯ শতাংশ মানুষ বলেছে, তারা মনে করে দুই দলের মধ্যে কোনো সমঝোতা হবে না। ৩৪ শতাংশ মানুষ এ ব্যাপারে আশাবাদী।

৪২
সংঘাতের রাজনীতি
হরতাল, ভাঙচুর ও সন্ত্রাসের মতো পুরোনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি ফিরে আসবে কি না সে সম্পর্কে ৩৮ শতাংশ মানুষ মনে করে, ওই পরিস্থিতি আর ফিরে আসবে না। ৫৪ শতাংশ মনে করে হরতাল ও ভাঙচুরের রাজনীতি আবারও ফিরে আসতে যাচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.