মুজাহিদকে অনুপস্থিত রেখেই পালিত হলো শিবিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের অনুপস্থিতিতেই পালিত হলো ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। তার অনুপস্থিতি দেখেই গুঞ্জন ওঠে তার বিরম্নদ্ধে ৰোভ থাকায়, অনাকাঙ্ৰিত ঘটনা এড়াতে এ অনুপস্থিতি।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে ছাত্রশিবিরকে সহযোগিতা আর শক্তি যোগাতে এবার দেশের সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দকে আহ্বান জানালেন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত মৌলবাদী এই নেতার নসিহত, ' দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার অন্যতম শক্তি ছাত্রশিবির। শিবিরকে শক্তি যোগানো, শিবিরকে সহযোগিতা করা সবার ঈমানী দায়িত্ব। এটা না করলে আলস্নাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।' শনিবার ছাত্রশিবিরের ৩৩ তম প্রতিষ্ঠার্বাির্ষকীতে আয়োজিত আলোচনাসভায় নিজামী এই নসিহত করেছেন। অন্যদিকে শিবিরের অভ্যনত্মরীণ অস্থিরতার সময়ে আয়োজিত এই সভায় জামায়াত নেতারা ঐক্যবদ্ধ থাকতে শিবিরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আর সরকারকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ এবং শিৰানীতি বাসত্মবায়নের কোন উদ্যোগই বাসত্মবায়ন করতে দেয়া হবে না।রাজধানীর ডিপেস্নামা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন শিবিরের সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম। বক্তব্য রাখেন জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারম্নজ্জামান, ঢাকা মহানগরীর আমির রফিকুল ইসলাম খান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, মুহাম্মদ জাহিদুর রহমান, শিবিরের সদ্যবিদায়ী সেক্রেটারি জেনারেল শিশির মুহাম্মদ মনির। পরিচালনা করেন শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. আব্দুল-াহ আল মামুন চৌধুরী। তবে অনুষ্ঠানে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের অনুপস্থিতি নিয়ে শুরম্নতেই গুঞ্জন ওঠে যে, তার বিরম্নদ্ধে শিবিরের ভেতরের তীব্র ৰোভ থাকায় অনাকাঙ্ৰিত ঘটনা এড়াতে তিনি আসেননি। জামায়াত নেতারা অবশ্য দবি করেছেন, তার অনুষ্ঠানে আসার কোন পরিকল্পনাই ছিল না। অনুষ্ঠানে জামায়াতের আমির নিজামী বলেন, যাদের রাষ্ট্রমতায় যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই তারা ইসলাম নিয়ে কথা বললেও কোন সমস্যা নেই। কিন্তু শিবির কর্মীদের মতো আধুনিক শিায় শিতি যুবকরা ইসলামের কথা বললে তা অনেকের ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ কারণেই শিবির এখন দেশী-বিদেশী ইসলামবিরোধী চক্রানত্মের ল্যে পরিণত হয়েছে। সুশীলসমাজের একাংশ আজ আমাদের সুশাসনের ওয়াজ শোনান। নিজামীর দাবি, শিবির আধুনিক ও ইসলামী জ্ঞানের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা পালন করছে বলেই শিবির আজ অনেকের মাথা ব্যথার কারণ হয়েছে।
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বলেন, কোন ষড়যন্ত্রে কাজ হবে না। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ, ধর্মনিরপেৰ শিৰানীতি বাসত্মবায়নের যে স্বপ্ন সরকার দেখছে তার কোন কিছুই বাসত্মবায়ন করতে দেয়া হবে না। সাইদী তাঁদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে না-ঘাটাতেও সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারম্নজ্জামান শিবিরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কারণ দেশ-জাতি আজ ইসলামী ছাত্রশিবিরের দিকে তাকিয়ে আছে। রফিকুল ইসলাম খান দাবি করেন, বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেতার রাজনীতি যেমন চলছে তেমনি ধর্মভিত্তিক রাজনীতিও চলছে এবং চলবে। আমির সেলিম উদ্দিন বলেন, 'বাংলাদেশ থেকে ইসলামি রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সাধ্য কারও বাবার নেই। আমরা বসে বসে আঙুল চুষব না। ছাত্রশিবির একটি দুর্গ। এ দুর্গে আঘাত হানলে পাল্টা আঘাতে আঘাতকারীরাই ধ্বংস হয়ে যাবে।'
শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারকে হুমকি দিয়ে বলেন, 'আমাদের কাজ বাধাগ্রসত্ম করতে পারবেন না। তাহলে পানির ১০ হাত নিচে গিয়েও আত্মরা করতে পারবেন না। সরকারের প্রতিটি কাজ শিবির নিবিড়ভাবে পর্যবেণ করছে। শিবির সভাপতি রেজাউল করিম ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হুমকি দিয়ে বলেন, ছাত্রলীগ আমাদের নিষিদ্ধ করার হুমকি দেয় বার বার। আমরা তাদের বলতে চাই, আপনারাই না আবার নিষিদ্ধ হয়ে যান।
No comments