চট্টগ্রাম বন্দর- কনটেইনার পরিবহন বাড়ছে by মাসুদ মিলাদ

বন্দরে নতুন অর্থবছরে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার পরিবহন বাড়তে শুরু করেছে। পোশাকশিল্পের রপ্তানি বৃদ্ধি এবং কাঁচামাল আমদানি বাড়ার প্রভাব পড়েছে কনটেইনার পরিবহনেও। গত দুই মাসের তথ্য থেকে এই চিত্র পাওয়া গেছে।


বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের (২০১২-১৩) প্রথম দুই মাসে আমদানি ও রপ্তানি কনটেইনার ওঠানো-নামানো হয় দুই লাখ ৪৩ হাজার ৬৫৩টি (প্রতিটি ২০ ফুট দীর্ঘ হিসেবে)। এই দুই মাসে গড়ে কনটেইনার পরিবহন হয়েছে এক লাখ ২১ হাজারটি করে। এর আগে গত অর্থবছরে গড়ে প্রতিমাসে কনটেইনার পরিবহন হয় এক লাখ ১১ হাজার করে। জানা যায়, বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি কনটেইনার পরিবহন হয় ২০১০-১১ অর্থবছরে। তখন বন্দর দিয়ে ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯১৪টি আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার (প্রতিটি ২০ ফুট দীর্ঘ হিসেবে) পরিবহন হয়। গত অর্থবছরে এই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১৩ লাখ ৪১ হাজার সাতটিতে। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের তুলনায় এক লাখ ২৭ হাজার ৯০৭টি কনটেইনার পরিবহন কম হয়। তবে বিশ্বমন্দা কাটিয়ে নতুন অর্থবছরে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন বাড়তে থাকায় কনটেইনার ওঠানো-নামানোর হারও বাড়তে শুরু করেছে। বন্দর সচিব সৈয়দ ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নির্ভর করে বন্দরে কনটেইনার ওঠানো-নামানো কমবেশি হয়। রপ্তানি বাড়ায় কনটেইনারে পণ্য পরিবহনও বেড়েছে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, সমুদ্রপথে কনটেইনারে পণ্য পরিবহনের প্রায় ৯৬ শতাংশই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পরিবহন হয়। এর বাইরে মাত্র ৪ শতাংশ পরিবহন হয় মংলা বন্দর দিয়ে।
বন্দরের তথ্যানুযায়ী, কনটেইনারে যত পণ্য পরিবহন হয় এর মধ্যে পোশাকশিল্পের পণ্যই বেশি। কনটেইনারে পোশাকশিল্পের কাঁচামাল আমদানি হয়, আবার প্রস্তুত পণ্যও রপ্তানি হয়। পোশাকশিল্পের পণ্য ছাড়া পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, চামড়া ইত্যাদি পণ্য কনটেইনারে রপ্তানি হয়। কনটেইনারে আমদানি হয় ইলেকট্রনিকস-সামগ্রী, ভোগ্যপণ্য, শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক ইত্যাদি।

No comments

Powered by Blogger.