বন্দি তুর্কি জেনারেলদের অবসরে পাঠানো হচ্ছে

তুরস্কের সর্বোচ্চ সামরিক পরিষদ (ওয়াইএএস) জেনারেল ও অ্যাডমিরাল মিলিয়ে ৫৬ জন কর্মকর্তাকে অবসর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এঁদের মধ্যে ৪০ কর্মকর্তা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত সন্দেহে আটক রয়েছেন। নিজস্ব ওয়েবসাইটে গত শনিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় সেনাবাহিনী।


এতে বলা হয়, পদ খালি না থাকায় এবং বয়সের কারণে ওই কর্মকর্তাদের অবসরে যেতে হবে।
কারান্তরীণ জেনারেলদের গত বছরই পদোন্নতি পাওনা হয়েছে। সেনা কমান্ড সে সময় বিষয়টি স্থগিত রাখে। তার পরিবর্তে এবার তাঁদের অবসর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান সরকারকে উৎখাত পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তুরস্কের সর্বোচ্চ সামরিক পরিষদ (ওয়াইএএস) সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও ছাঁটাইয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত বুধবার থেকে বৈঠক শুরু করে। বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তে প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল অনুমোদন দেওয়ার পর গত শনিবার সিদ্ধান্ত জানায় তারা। তবে সমালোচকরা মনে করেন, বিরোধীদের দমন করতেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এরদোগান সরকার এ পদক্ষেপ নিল। প্রবীণ সাংবাদিক ফিকরেত বিলা বললেন, আটক জেনারেল ও অ্যাডমিরালদের অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের পছন্দের ভিত্তিতেই নেওয়া হয়েছে। যদিও এরদোগান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কয়েক বছর ধরে অভ্যুত্থানের অভিযোগে সেনা কর্মকর্তাসহ কয়েক শ শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও আইনজীবীকে আটক করা হয়।
তুরস্কের সেনাবাহিনী ১৯৬০ সাল থেকে তিন দফা অভ্যুত্থান চালিয়েছে। তারা নিজেদের দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার ধারক মনে করে। ১৯৯৭ সালে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপেই দেশটির ইসলামপন্থী জোট সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সরকারের সঙ্গেও তাদের খুব একটা সুসম্পর্ক নেই।
কুর্দি বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘাতে নিহত ২০ : তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ইরাক সীমান্তবর্তী এলাকায় কুর্দি বিদ্রোহীদের সঙ্গে তুর্কি সেনাদের সংঘর্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে। সীমান্তবর্তী হাক্কারি প্রদেশের গভর্নর ওরহান আলিমোগলু বলেন, ছয় সেনা, দুই গ্রামরক্ষী এবং ১২ কুর্দি বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। গতকাল রবিবারের ওই সংঘাতে ১৫ সেনা আহত হয়। শুরুতে সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায় কুর্দি বিদ্রোহীরা। পরে সেনাবাহিনীও ওই অঞ্চলের কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালায়। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.