দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দাবি আসাম সরকারের-আগামীকাল আসাম সফরে যাবেন মনমোহন সিং

বিপুলসংখ্যক সেনা সদস্য মোতায়েনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামের জাতিগত দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে মনে করছে রাজ্য কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত প্রায় দুই লাখ মানুষকে নিরাপদে তাদের ঘরবাড়িতে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।


রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা জানানো হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে চলা এ সহিংসতায় কমপক্ষে ৪৫ জন মারা গেছে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ গতকাল রাজ্যের সবচেয়ে গোলযোগপূর্ণ কোকরাঝাড় জেলা পরিদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আগামীকাল দাঙ্গাকবলিত এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসাম যাবেন। দাঙ্গা পরিস্থিতিকে 'শোচনীয়' উল্লেখ করে শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন পার্শ্ববর্তী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রাণহানির পাশাপাশি আদিবাসী বোড়ো জাতিগোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গে বসতি স্থাপনকারী মুসলমানদের এ সংঘর্ষে সহায়-সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিক্ষুব্ধ দাঙ্গাবাজরা একে অন্যের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ গতকাল বলেন, 'পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। পুনরায় যাতে সংঘাত না বাধে তার জন্য আমরা সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি।' স্থানীয় সরকারের অধীন বোড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের প্রধান হাগ্রামা মোহিলারি বলেন, 'আমরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি, যাতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেওয়া মানুষকে তাদের বাড়িঘরে ফেরত পাঠানো যায়।' তবে এ ব্যাপারে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আশ্রয়শিবিরের অনেকেই। রহিমুদ্দিন আলী নামের একজন বলেন, 'যতক্ষণ না আমাদের গ্রামের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছি,
ততক্ষণ আমরা ফেরত যাচ্ছি না।' দাঙ্গার সময় আলীর মা ছুকিরাঘাতে নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমরা যাবই বা কোথায়? আমাদের কারো কারো বাড়িঘর অক্ষত থাকলেও বেশির ভাগ বাড়িঘরই তো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।' সূত্র : এএফপি, পিটিআই।

No comments

Powered by Blogger.