সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তে আলো দেখার এখনই সময় by আবদুল মান্নান

সম্প্রতি লন্ডন সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৩০ জুলাই বিবিসি টিভির ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের হার্ড টক অনুষ্ঠান ও বিবিসি রেডিওর বাংলা সার্ভিসে দুটি পৃথক সাক্ষাতকার দিয়েছেন। একই সময় তিনি কাতারভিত্তিক আল-জাজিরা টিভিতেও ভিন্ন আর একটি সাক্ষাতকার দিয়েছেন যার প্রধান বিষয় ছিল রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক।


হার্ড টকের সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন বিবিসির প্রখ্যাত সঞ্চালক স্টিফেন সাকুর। এই অনুষ্ঠানে যাঁরাই সঞ্চালক থাকেন তাঁরা সকলে বেশ ঝানু উপস্থাপক হয়ে থাকেন এবং তাঁরা যে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন তা করার আগে ভাল করে প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন আর তাঁদের এপ্রোচটাও থাকে বেশ আক্রমণাত্মক। অংশগ্রহণকারীর যদি প্রস্তুতির অভাব থাকে তাহলে তাঁকে অনেক সময় বেশ বেকায়দায় পড়তে হয়। তার চাইতে বিবিসি রেডিওর বাংলা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা কিছুটা সহজ কারণ সেই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক একজন বাঙালী হয়ে থাকেন। দুই বাঙালী একসঙ্গে কথা বললে পরিবেশটা অনেক হাল্কা থাকে । তারা পরস্পর পরস্পরকে বুঝতে পারেন। শেখ হাসিনার অনুষ্ঠানটির সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন সুজিত মোস্তাফা। বেগম জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একবার ঠিক হয়েছিল তিনি ঢাকায় বসে বিবিসি রেডিওর বাংলা সার্ভিসের সঙ্গে ফোনে সরাসরি একটি টকশোতে অংশগ্রহণ করবেন। সে সময় তথ্যমন্ত্রী ছিলেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তিনি এই অনুষ্ঠানটি আয়োজনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। বিবিসির টিম প্রস্তুত। দেশের মানুষও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন প্রধানমন্ত্রী কী বলেন তা শোনার জন্য। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সকলকে হতাশ করে এক অজ্ঞাত কারণে বেগম জিয়া সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। সেবার বিবিসি তার ওপর বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছিল। পরে বিবিসির মান ভাঙাতে তথ্যমন্ত্রী স্বয়ং বিবিসি রেডিওর সদর দফতরে লন্ডনস্থ বুশ হাউসে ছুটে গিয়েছিলেন।
স্টিফেন সাকুরের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে বেশ টেনশনে ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী তাঁর মুখোমুখি কীভাবে হন সে চিন্তায়। অনুষ্ঠান শেষে বলতেই হয়, নাহ্ প্রধানমন্ত্রী বেশ আস্থা এবং দৃঢ়তার সঙ্গে তাঁর কঠিন সব প্রশ্নের জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছেন। আলোচ্য বিষয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পদ্মা সেতু, দুর্নীতি, সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগ, বিচারবহির্ভূত হত্যা, সংবিধান সংশোধন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, জলবায়ু পরিবর্তন কোন কিছুই বাদ যায়নি। এই অনুষ্ঠানে স্বাভাবিকভাবেই বেশি গুরুত্ব পায় পদ্মা সেতু বিষয়টি। তিনি এই বিষয়ে দেশে থাকতে যা বলেছেন সেই অনুষ্ঠানেও একই কথা বলেছেন। নতুন কোন তথ্য ছিল না। তবে অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়াতে প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরের মানুষকে এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান তুলে ধরতে পেরেছেন। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর সম্ভাব্য দুর্নীতি নিয়ে বাংলাদেশকে যে চিঠি লিখেছে তা প্রকাশ করতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী একটা ভাল কাজ করেছেন। বলেছেন এতে বাংলাদেশের কোন আপত্তি নেই। অভিযোগ যেহেতু বিশ্বব্যাংকের কাছ হতে এসেছে সেহেতু সে সম্পর্কে তাদের কাছে সকল তথ্য থাকার কথা যদিও তারা বলছে বিশ্বব্যাংক এইভাবে তথ্য উন্মুক্ত করতে পারে না। তা না হলে পুরো বিষয়ে এক ধরনের অস্বচ্ছতা চলে আসে। প্রধানমন্ত্রীর একজন শুভাকাক্সক্ষী এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে আমাকে বলেছেন শেখ হাসিনা বেশ সাবলীল ছিলেন তবে ‘আমি’ শব্দটা কম ব্যবহার করলে ভাল হতো। তাঁকে বলেছি সম্ভবত এটি তাঁর আত্মবিশ্বাসের বহির্প্রকাশ। একাত্তরের উত্তাল মার্চে বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রায়শ ‘আমি’ ব্যবহার করতেন। তিনি তখন এটি যথার্থভাবে বুঝেছিলেন তাঁর সঙ্গে বাংলার সাড়ে সাত কোটি জনগণ আছে।
বিবিসি বাংলা সার্ভিসের অনুষ্ঠানে মূল বিষয় ছিল আগামী নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়াদি, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী গৃহীত হওয়ার ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলুপ্তি এবং তাকে নিয়ে সৃষ্টি হওয়া নানা ধরনের তর্ক-বিতর্ক এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা। বিগত প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে এই বিষয়টা নিয়ে বাংলাদেশে নিয়মিত আলোচনা হচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচন এটি অনেকটা বাংলাদেশের নিজস্ব উদ্ভাবন। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তা দলীয় সরকারের অধীনেই হয়েছে এবং সব নির্বাচনের পর পরাজিত দল বা ব্যক্তি কারচুপির অভিযোগ এনেছে। এটি যে শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ঘটেছে তা নয় উন্নয়নশীল বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এমনটা হরহামেশায় ঘটতে দেখা যায়। নব্বইয়ের গণআন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এরশাদের পতন হলে স্বাভাবিক কারণে আন্দোলনকারী দলগুলো এরশাদের অধীনে নির্বাচন করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে এবং তাদের দাবিও ছিল এরশাদ পদত্যাগ করে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সেই সরকার কেমন হবে সে সম্পর্কে একটি রূপরেখাও তখনকার আন্দোলনরত তিন জোট দিয়েছিল। এরশাদ পতনের আগ মুহূর্তে তার উপ-রাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ পদত্যাগ করলে সুপ্রীমকোর্টের প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ উপরাষ্ট্রপতি মনোনীত হন এবং তার কাছে এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন পরে সুশীল সমাজের বিভিন্ন প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি মন্ত্রিসভা গঠন করে সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। ১৯৯১-এর সেই নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হয়েছিল। ধারণা করা হয়েছিল এই অভিনব পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের ওখানেই পরিসমাপ্তি হবে এবং সেটাই হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু মাগুরা এবং ঢাকা দশ আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচনের নামে যে প্রহসন হয় তাতে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। এই দুটি নির্বাচন ক্ষমতাসীন দল বিএনপির জন্য তেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। তারপরও তাদের জিততে হবে। তখন আবার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়টি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিএনপি ছাড়া সকল রাজনৈতিক দল সামনে নিয়ে আসে এবং তা আদায়ের জন্য দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলে। এই আন্দোলনের মাঝেই বিএনপি ১৯৯৬ সালের ১৫ আগস্টে নির্বাচনের নামে আর একটি প্রহসনের সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে। সে নির্বাচনে বিএনপি ছাড়া আর অংশগ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দল ফ্রিডম পার্টি। জিতিয়ে আনা হয় বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনী কর্নেল রশিদকে। তারা এটি ঠিকই বুঝেছিল আন্দোলনের মুখে তারা বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। অনেকটা তড়িঘড়ি করে মধ্য রাতের সংসদে সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে। এই ব্যবস্থার অধীনে পরবর্তীকালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে এবং জাসদ এবং জাতীয় পার্টির সমর্থনে সরকার গঠন করে।
২০০১ সালের নির্বাচনও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং তাতে বিএনপি বিজয়ী হয়েছিল। তবে ২০০৬ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে আবার বিএনপিই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলে যখন সরকার উচ্চ আদালতের বিচারকদের বয়স বাড়িয়ে একজন নির্ধারিত বিচারককে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সব ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করে আনে। যথারীতি আবার আন্দোলন আবার সংঘাত। এবং সব শেষে সংবিধানের সকল বাধ্যবাধকতা অমান্য করে বিএনপি মনোনীত রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহমদ নিজেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হিসেবে মনোনীত করেন। এর ফলে ১/১১ অনিবার্য হয়ে পড়ে। অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহমদ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে যেভাবে ক্ষতি করেছেন তার আগে কোন সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান তা করেনি। তিনি কোন সামরিক শাসক ছিলেন না। সাংবিধানিকভাবেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সুতরাং সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রণয়ন এবং তাকে ধ্বংস করা, সব অবদানই এককভাবে বিএনপির, অন্য কারও নয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর আদালতের রায়েই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়েছে এবং ১৯৭২-এর সংবিধান পুনরুজ্জীবিত হয়েছে (কিছু ধারা ছাড়া)। সুতরাং এই সংবিধানের অধীনে আগামীতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা হবে নির্বাচিত সরকারের অধীনে। সেই সরকারে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা থাকতে পারেন অথবা তাদের শরিক দলের সদস্যরাও থাকতে পারেন। আর সকলে মিলে ঐকমত্যে পৌঁছালে বিএনপিও এমন একটি সরকারে যোগ দিতে পারে যাকে সাংবিধানিকভাবে বলা হবে অন্তর্বর্তী সরকার। শেখ হাসিনা তাঁর বিবিসির বাংলা বিভাগের সাক্ষাতকারে এই প্রস্তাবটি রেখেছেন। বিএনপি প্রথম হতেই বলে আসছে তারা পূর্বের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া আর কোন সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। তাদের দাবি অনুযায়ী যে নামেই ডাকা হোক সে সরকার হবে নির্দলীয় ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত। তাদের আরও দাবি সংবিধান সংশোধন করে এই ব্যবস্থা আবার পুনর্বহাল করতে হবে। তবে তারা এও পরিষ্কারভাবে বলেছে সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হতে পারবেন না। তারা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকেও মানে না। এই ক্ষেত্রেও এক ধরনের আগাম সঙ্কট সৃষ্টি করে রেখেছে বিএনপি। উচ্চ আদালতের যে রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হলো সেই রায় পূর্ণাঙ্গভাবে এখনও প্রকাশিত হয়নি। যে সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশিত হয়েছে তাতে বলা হয়েছে প্রয়োজনবোধে সংসদের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পুরনো ব্যবস্থা আরো দু’মেয়াদের জন্য বলবৎ রাখা যেতে পারে। সুতরাং এটি বলা যায় যদিও এখন পর্যন্ত রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পাওয়া যায়নি সেহেতু এখনো অনেক প্রশ্ন অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে যে প্রস্তাবটি রেখেছেন তা বেগম জিয়া না শোনার আগেই বাতিল করে দিয়েছেন। তবে ব্যারিস্টার মওদুদ ও দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম প্রস্তাবটি সরাসরি নাকচ না করে বলেছেন প্রস্তাবটি স্পষ্ট নয়। এখন বিএনপির উচিত এই বিষয়ে সংসদে গিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরা এবং আগামীতে অযথা কোন সঙ্কট বা সংঘাত সৃষ্টি না করে দেশ এবং জাতির স্বার্থে সম্মিলিতভাবে সমস্যার একটি সমাধান বের করা। আর সরকারের উচিত প্রধানমন্ত্রী একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যা বলেছেন তা খোলা মনে গ্রহণ করে তাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। ২০০০ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হজের সময় পবিত্র মদিনা নগরীতে দেশে একটি আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা গেল তিনি দেশে ফিরে আসার পর তাঁর নিজ দলের কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এর বিরোধিতা করে বললেন মেয়াদ শেষের একদিন আগেও তারা ক্ষমতা ছাড়বেন না। যেটি হলো ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতা ছাড়া হয়ে গিয়েছিল। সঙ্গে ফখরুদ্দিন সরকারের আরো দুই বছর। আগামী নির্বাচনে তেমনটি হোক তা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির কেউ নিশ্চয় চান না। সামনের দিনগুলো দেশে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার বা বিরোধী দল যে কারও ভুলে গণতন্ত্র আবার বিপন্ন হতে পারে। সুযোগ সন্ধানীদের সুযোগ না দেয়াই মঙ্গল। সুড়ঙ্গের শেষ প্রান্তে আলো দেখার এখনই সময়।
লেখক : শিক্ষাবিদ ও বিশ্লেষক

No comments

Powered by Blogger.