পোশাক শ্রমিকদের গানের প্রতিযোগিতা ‘বিজিএমইএ গর্ব’ শুরু- সংস্কৃতি সংবাদ

আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল পোশাক শ্রমিকদের গানের প্রতিযোগিতা ‘বিজিএমইএ গর্ব ২০১২।’ রবিবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ অনুষ্ঠান। প্রতিযোগিতা শুরুর পাশাপাশি অনুষ্ঠানে পোশাক শ্রমিকদের ‘বিজিএমইএ গর্ব ২০১০’র প্রতিযোগিতায় সেরা দশজন প্রতিযোগীর গাওয়া আমাদের গান


শিরোনামের অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। উপস্থিত ছিলেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, বিদেশী কূটনীতিক ও বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, আমেরিকান রাষ্ট্রদূত ডব্লিউ ড্যান মজেনা, বিজিএমইএর সভাপতি সফিউল ইসলাম ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি একে আজাদ। প্রতিযোগিতার প্রধান সমন্বয়কারী আতিকুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, আজকের অনুষ্ঠানটি একটি ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠান প্রমাণ করে আমাদের দেশের গার্মেন্টস শ্রমিকরা শুধু পোশাক শিল্পর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, তারা সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও অগ্রসর, এরা কণ্ঠশিল্পীও। এর জন্য আমি আয়োজকদেরও ধন্যবাদ জানাই। কেননা এমন আয়োজন না হলে পোশাক শ্রমিকদের এই সুপ্ত প্রতিভার প্রকাশ ঘটত না। আমাদের দেশের মালিক ও শ্রমিকদের এই মিলনমেলা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এ জন্য আমার গর্ব হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের রফতানি বেড়েছে, শিল্পকে গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশের আয় ও শিল্প সমৃদ্ধি হবে। সভায় বক্তারা বলেন, শ্রমিকদের মধ্যে যে প্রতিভা আছে এই ধরনের পদক্ষেপ নিলে তা প্রকাশ পায়। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকলে আমরা শিল্প ক্ষেত্রেও আরও উন্নতি করতে পারব।
দেশের প্রায় ৩৫ লাখ শ্রমিকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘বিজিএমইএ গর্ব ২০১২’ গানের প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় পার্টনার হিসেবে কাজ করছে বিজ্ঞাপনী সংস্থা মাত্রা। প্রতিযোগিতাটি নিয়মিত প্রচারিত হবে চ্যানেল আইয়ে। এতে বিভিন্ন পর্যায়ের বাছাইয়ের ভেতর দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিযোগীদের নির্বাচিত করা হবে। পোশাক শ্রমিকরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন।
রুদ্র রবি ও জালিয়ানওয়ালাবাগ নাটকের বিশেষ প্রদর্শনী ॥ ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ কর্তৃক সংঘটিত কুখ্যাত গণগত্যা হিসেবে পরিচিত জালিয়ানওয়ালা হত্যাকা-। এই হত্যাকা-ের প্রতিবাদে ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত নাইটহুড উপাধি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর এই প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে নাটক রুদ্র রবি ও জালিয়ানওয়ালাবাগ। নাট্যকার মনজুরে মওলা রচিত শিল্পকলা একাডেমীর রেপার্টরি প্রযোজনাটিতে নির্দেশনা দিয়েছেন নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান। রবিবার সন্ধ্যায় একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে হয়ে গেল নাটকটির বিশেষ প্রদর্শনী।
বিশেষ এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জাতীয় অধ্যাপক ড. মুস্তাফা নূরউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যকার মনজুরে মওলা। । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ।
নাটকের প্রেক্ষাপটে উঠে আসে, ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসর শহরের জালিয়ানওয়ালাবাগ নামের ছোট একটি মাঠ। চারদিক দেয়ালে ঘেরা মাঠে ছোটখাটো দরজা থাকলেও ঢোকার ও বেরুনোর প্রধান দরজা একটিই। ওই দিন বৈশাখী উৎসব উপলক্ষে বেশ কিছু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন মাঠে । এদের মধ্যে কেউ কেউ এসেছিলেন ব্রিটিশদের অত্যাচারের প্রতিবাদে ডাকা জনসভায় যোগ দিতে। এদিকে জনসভার আগে থেকেই রাউলাট আইন জারি করা হয়ে গেছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডায়ার গুরখা রেজিমেন্টের ৬৫ জন ও বালুচ রেজিমেন্টের ২৫ সৈন্য নিয়ে জালিয়ানওয়ালাবাগের সমাবেশে নিরস্ত্র জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালালেন। দশ মিনিটে ১৬৫০ রাউন্ড গুলি ছোড়া হলো। নিহত হলেন সহস্রাধিক মানুষ, আহত হলেন অনেকে। ২২ মে এই হত্যাযজ্ঞের খবর পেলেন রবীন্দ্রনাথ। এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে চরম ধিক্কার ও ঘৃণা বোধ থেকে তিনি ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত নাইটহুড (স্যার টাইটেল) উপাধি ত্যাগ করলেন।
এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে রূপ দিয়েছেন আতাউর রহমান, পূজা, শামীম সাগর, রিজভী, এসএম সালাউদ্দীন, গোলাম শাহরিয়ার, এরশাদ হাসান, মোতালেব, রাজা, শিলা, মুক্তা, প্রিয়া ও জয়িতা।

No comments

Powered by Blogger.