বার্সাকে হুমকি রোনালদোর

রোনালদো এসে গেছেন, এবার কাটবে রিয়াল মাদ্রিদের শিরোপা-খরা। দুই মৌসুম আগে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যখন ট্রান্সফার ফির বিশ্ব রেকর্ড গড়ে রিয়ালে নাম লেখান, বার্নাব্যু-জুড়ে উঠেছিল এই রব। রোনালদো পারেননি। দুই মৌসুম কেটে গেছে—স্প্যানিশ লিগে সেই বার্সেলোনারই জয়জয়কার, চ্যাম্পিয়নস লিগে খরাই চলছে রিয়াল মাদ্রিদের। শুধু কোপা দেল রে জয়ের সঙ্গে গত মৌসুমে রোনালদোর সান্ত্বনা হয়ে ছিল পিচিচি ট্রফি জয়ের ব্যক্তিগত অর্জন।
এবার দলীয় অর্জনেও ভাসতে চান রোনালদো। বার্সেলোনাকে হটিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের মাথায় পরাতে চান স্প্যানিশ আর ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। ‘গোল করতে পেরে আমি খুব খুশি। কিন্তু সব সময়ই আমার লক্ষ্য দলকে জেতানো। আমি সবচেয়ে খুশি হব স্প্যানিশ লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলে’—বলেছেন প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিতে দুর্দান্ত ফর্ম দেখানো রোনালদো।
প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিটা রোনালদোর ভালোই হচ্ছে। গত মৌসুমটা যেখানে শেষ করেছিলেন, যেন সেখানেই আছেন পর্তুগিজ উইঙ্গার। গত মৌসুমে ৪০ গোল করে স্প্যানিশ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পিচিচি জেতা রোনালদো ৪ ম্যাচে একটি হ্যাটট্রিকসহ করেছেন ৫ গোল।
অথচ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ২০০৯ সালে রোনালদো যখন বার্নাব্যুকে ঠিকানা বানান, তাঁকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ছিল অনেক। একদিকে ট্রান্সফার ফির রেকর্ড নিয়ে হইচই, অন্য দিকে ছিল তাঁর ডাইভ দেওয়া নিয়ে সমালোচনা। দুই মৌসুমে রোনালদো প্রমাণ করেছেন, তিনি ফুটবল দিয়েই মানুষের মন জয় করতে পারেন। ওয়েবসাইট।
রিয়ালে রোনালদোর আরেকটা পরিচয়—ফ্রি-কিক মাস্টার। সেট পিসের জন্য বিখ্যাত ডেভিড বেকহামের ৭ নম্বর জার্সিটাই রিয়ালে পেয়েছেন রোনালদো। এ কারণেই কি না, রিয়ালে নাম লেখানোর পর থেকেই ভালো ফ্রি-কিক নিতে শুরু করেন। গত বুধবার হার্থা বার্লিনের বিপক্ষে ম্যাচে একটি গোল করেন এবং সেটা ফ্রি-কিক থেকে। দুই বছরে এ নিয়ে ফ্রি-কিক থেকে ১৩টি গোল করেছেন পর্তুগাল অধিনায়ক।
আসন্ন মৌসুমে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে নিশ্চয়ই। হয়তো আরও একবার জ্বলজ্বল করে জ্বলবেন। তা যদি পারেন, তাহলে হয়তো তাঁর অন্য ইচ্ছাটাও পূরণ হবে—বার্সেলোনাকে সিংহাসনচ্যুত করে রিয়ালকে এনে দিতে পারবেন স্প্যানিশ আর চ্যাম্পিয়নস লিগের মুকুট।

No comments

Powered by Blogger.