ছোট দলগুলো ফুরফুরে মেজাজে! by শাহেদ চৌধুরী ও লোটন একরাম

ছোট দলগুলো নিয়ে বড় ব্যস্ত বড় দলগুলো। তাদের দলে টানতে নীতি-নৈতিকতার প্রসঙ্গ এবারও উহ্য থেকে যাচ্ছে। এহেন বাস্তবতায় বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছোট দলগুলোর নেতারা। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চারদলীয় জোটের পরিধি বাড়াতে কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বীরবিক্রমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আবার এ দুই নেতার কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণ পৌঁছে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের ও সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। রমজানে তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হতে পারে।
এ মুহূর্তে এ ধরনের বৈঠকের আদৌ প্রয়োজন রয়েছে কি-না তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে। ঐক্য গড়তে গিয়ে নীতি-আদর্শও গৌন হয়ে পড়েছে বলে অনেকে মনে করেন। কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বনিবনা নেই বহু বছর ধরে। কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বীরবিক্রম তো রীতিমতো এক ধরনের যুদ্ধ ঘোষণা করেই বিএনপি ছেড়েছেন। অথচ এ রাজনৈতিক নেতাদের দিকেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আগ্রহী দৃষ্টি। গত নির্বাচনে বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
হেরে গেছেন। অলি আহমদ বীরবিক্রম বিজয়ী হলেও আগামী নির্বাচনে শঙ্কামুক্ত হতে পারছেন না। দুই নেতা আগামী নির্বাচনে বৈতরণী পেরুতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দিকে ঝুঁকে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কেন তাদের সঙ্গে সখ্য গড়তে যাবে_ এই প্রশ্ন আসছে ঘুরেফিরে।
এর পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বৃহৎ ঐক্য গড়ার অংশ হিসেবেই তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, নির্বাচন অনেক দূরে। তাই জোট গঠন কিংবা আগামী নির্বাচনী প্রস্তুতি নয়, গণতন্ত্রকে নিরাপদ ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে তারা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, নির্বাচন ঘনিয়ে এলেই জোট গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। নির্বাচনী সমঝোতায় নামে বড় দলগুলো। এখন কেন এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
কয়েকটি ছোট রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে আলাপ করে দেখা গেছে, বড় দলগুলোর পক্ষ থেকে যোগাযোগের পর তারা বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন। কদর বাড়ায় তারা সুযোগ বুঝে নানা প্রস্তাব দিচ্ছেন। এ রাজনৈতিক দলগুলোর কেউই গত নির্বাচনে বিজয়ী হননি। প্রায় প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ দলগুলো নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিতও নয়।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, যত ছোট করেই দেখা হোক না কেন ছোট ছোট ইসলামী দলের ভোট নেহায়েত কম নয়। তাই আওয়ামী লীগ ভোটের হিসাব-নিকাশ কষতে গিয়ে কয়েকটি ইসলামী দলের সঙ্গে সখ্য গড়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতিমধ্যে সাবেক সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারির নেতৃত্বাধীন তরীকত ফেডারেশনের সঙ্গে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকেই মহাজোটে আসার আগ্রহ দেখিয়েছেন তরীকত ফেডারেশনের নেতারা।
তরীকত ফেডারেশনের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর বনিবনা নেই। এ কারণেই বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের সঙ্গে তাদের বেশ দূরত্ব রয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে বিএনপির প্রধান শরিক জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আদর্শিক দ্বন্দ্ব রয়েছে কয়েকটি ইসলামী দলের। এ সুযোগটিই নিতে চাইছে আওয়ামী লীগ। তারা কয়েকটি ইসলামী দলের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। তারা জামায়াতে ইসলামীবিরোধী হিসেবে পরিচিত ইসলামী দলগুলোকে মহাজোটে আনতে আগ্রহী।
গত দুই সপ্তাহ ধরে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন বেফাক ও খেলাফত আন্দোলনসহ কয়েকটি ইসলামী দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এ দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্ক সুখকর নয়। আলোচনাকালে তারা ইসলামী দলগুলোকে সরাসরি মহাজোটে সম্পৃক্ত হওয়ার প্রস্তাব না দিলেও আকার-ইঙ্গিতে তাদের প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেছেন।
ইসলামী দলগুলোও সুযোগ বুঝে ব্লাসফেমি আইন প্রণয়নের শর্ত জুড়ে দিয়েছে। এ শর্তে আওয়ামী লীগের রাজি হওয়ার সম্ভাবনা কম। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির অতিমাত্রায় সখ্য থাকায় তারা বেশ কিছুটা আওয়ামী লীগের দিকে ঝুঁকে আছে। আওয়ামী লীগ তাদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেও আগেভাগেই চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মিলিয়ে নিতে চাইছে ইসলামী দলগুলো।
ইসলামী দলের সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটে অসন্তোষ সৃষ্টির গুঞ্জনও শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের যোগাযোগের বিষয়টি আনুষ্ঠানিক না হওয়ায় আগ বাড়িয়ে এখনই এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন না ১৪ দলের নেতারা।
এর আগে ২০০৬ সালে মহাজোট গঠনের সময়ে খেলাফত মজলিসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের পাঁচ দফা চুক্তি নিয়ে ১৪ দলের নেতারা গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এক পর্যায়ে বাম ঘরানার নেতারা সাফ জানিয়ে দেন, আওয়ামী লীগ তাদের অপ্রয়োজনীয় মনে করলে বলে দিলেই তারা চলে যাবেন। ওই সময় পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে গত সপ্তাহে রাজনৈতিক বন্ধু বাড়াতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন ওবায়দুল কাদের ও অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের সঙ্গেও তাদের বৈঠক হয়েছে। ওবায়দুল কাদের সিপিবি সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জাসদ এবং ওয়ার্কার্স পার্টি অফিসে গিয়ে দুই দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
এ ছাড়াও গত কয়েকদিনে ওবায়দুল কাদের দফায় দফায় যোগাযোগ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিকল্পধারা মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, গণফোরাম প্রেসিডিয়ামের দুই সদস্য পংকজ ভট্টাচার্য্য, মফিজুল ইসলাম খান কামাল, গণআজাদী লীগ সভাপতি হাজী আবদুস সামাদসহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে।
এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশ-জাতির অভিন্ন শত্রু দারিদ্র্য ও জঙ্গিবাদ তাড়াতে আওয়ামী লীগ একসঙ্গে কাজ করতে চাইছে। এ জন্য রাজনৈতিক বন্ধু বাড়াতে চাইছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মহাজোটে আসার জন্য কাউকে কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কিংবা টানাটানিতে নেই। নির্বাচন বহু দূরে। এখনই আগাম নির্বাচনী জোট গঠন নয়, আগামী প্রজন্মের নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়তে অভিন্ন শত্রু মোকাবেলায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক চলছে। এতে ইতিবাচক সাড়াও পাওয়া গেছে।
বিএনপির অতীত বিস্মরণ : সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়তে দ্রুত অতীত 'ভুলে' গেছেন বিএনপি হাইকমান্ড। অবশ্য যেকোনো মূল্যে জোট সম্প্রসারণ করে 'বৃহৎ ঐক্য' গড়ার উদ্যোগে দলটির ভেতরও মতভেদ রয়েছে। মাত্র কয়েক বছর আগে 'ষড়যন্ত্রে'র অভিযোগে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে অপসারণ করল বিএনপি। বি. চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন মিছিলে মহাখালী রেল গেটে বেধড়ক লাঠিপেটা করেছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। আজও তা চোখের সামনে ভাসছে সবার। আজ সেই বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারাকে জোটে টানতে মরিয়া বিএনপি।
একইভাবে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয় 'হাওয়া ভবন' ও তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগকারী কর্নেল (অব.) অলি আহমদকে জোটে টানতে চাইছে বিএনপি। এসব ভুলে দলীয় নেতাদের অলি ও তার দলের নেতাদের দু'দফা বৈঠকের পর শুক্রবার বৈঠক করলেন খোদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজেও।
নামসর্বস্ব দলগুলোকে নিয়ে বৃহৎ ঐক্যের পেছনে দৌড়ঝাঁপ করা নিয়ে বিএনপির ভেতরও মতভেদ রয়েছে। এত তাড়াতাড়ি নির্বাচনী ঐক্য গঠনের উদ্যোগ নেওয়া সঠিক হয়নি বলে মনে করছেন বিএনপির নেতাদের কেউ কেউ।
মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমের (বীরপ্রতীক) নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন বিএনপির নেতারা। তিনি বিএনপির সঙ্গে ঐক্য গড়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন।
অবশ্য বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, রাজনৈতিক মাঠে এসব দলের তেমন কোনো অবস্থান নেই। বিগত নির্বাচনে বিকল্পধারা ৬৩ আসনে প্রার্থী দিয়ে ৬১টিতে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এলডিপির ১৮টি আসনে ১৬টিতে বাজেয়াপ্ত হয় জামানত। একটি আসনে জয়লাভ করে দলটি। কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ ৪৪টিতে ও কল্যাণ পার্টি ৩৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সব ক'টিতেই জামানত হারায়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমকালকে বলেছেন, সরকারবিরোধী ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ক্ষেত্রে ছোট-বড় দল বিবেচনায় আনা হয় না। অতীতেও ছোট ছোট দল গিয়ে জোট ও ফ্রন্ট হয়েছে। তারাও অতীতের ধারা অনুযায়ী বৃহৎ ঐক্য গড়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে বিএনপির ঐক্যের আহ্বানে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে ছোট বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এ দলগুলোর মধ্যে রয়েছে_ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম, আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জেএসডি, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টি (জেপি)।
যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত জামায়াতে ইসলামী জোটভুক্ত থাকায় বিএনপির সঙ্গে ঐক্য গড়তে রাজি নয় বেশ কয়েকটি দল। এ দলগুলোর মধ্যে রয়েছে_ কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ, সিপিবিসহ বামপন্থি ১২টি দল, বাসদ। খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির আন্দোলনে শামিল হওয়া তার জন্য অসুবিধা। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী সমকালকে বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিএনপির সঙ্গে যাওয়া তার জন্য অসুবিধার বিষয়।
সিপিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা স্পষ্টভাবে ঐক্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সমকালকে বলেছেন, তারা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কারও সঙ্গে জোটভুক্ত হবেন না। তারা বামপন্থিরা তাদের স্বকীয়তা বজায় রেখে চলবেন।
এছাড়া ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্য স্থাপনের আগ্রহ আছে বিএনপির। ইতিমধ্যে তাদের হরতালেও সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। নামসর্বস্ব আরও আটটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বিএনপির। ইতিমধ্যে তারা বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। দলগুলো হলো_ জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (এনপিপি), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), মুসলিম লীগ ও ইসলামী পার্টি।
======================
কোচিং ব্যবসা এবং শিক্ষার বেহাল দশা  গল্প- লঞ্চের আপার ক্লাসে বাচ্চা হাতি  গুরুপল্লির আশ্রমে ভর্তি না হয়েই  মুক্তিযুদ্ধের ১০ বই  মগ্নচৈতন্যের বর্ণময় অভিঘাত  গল্প- চিনেজোঁক  পুস্তক প্রকাশনা ও বাংলা একাডেমীর বইমেলা  শাহি মনজিলে সাহিত্য উৎসব by শাহীন আখতার  বাজে জসীমউদ্দীন  নান্দনিক চৈতন্য  গ্রামকে শহরে এনেছি  গল্প- জলঝড়  একাত্তরের অপ্রকাশিত দিনপঞ্জি  রশীদ করীমে'র সাক্ষাৎকার- 'মনে পড়ে বন্ধুদের'  প্রাচ্যের ছহি খাবনামা  গল্প- এভাবেই ভুল হয়  গল্প- মাঠরঙ্গ  ফয়েজ আহমেদঃ স্মৃতিতে চিঠিতে  অরুন্ধতী রায়ের সাক্ষাৎকারঃ উপন্যাসের জগতের জগতের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই  ইতিহাস ও জাতি দিয়ে ঘেরা  গল্প- চাল ডাল লবণ ও তেল  ক-য়ে ক্রিকেট খ-য়ে খেলা  গল্পসল্প- ডাংগুলি  হ্যারল্ড পিন্টারের শেষ সাক্ষাৎকারঃ আশৈশব ক্রিকেটের ঘোর  সূচনার পিকাসো আর ভ্যান গঘ  আল্লাহআকবরিজ সি সি  গল্প- কবি কুদ্দুস ও কালনাগিনীর প্রেম  গল্পসল্প- আমার বইমেলা  বাংলাদেশ হতে পারে বহুত্ববাদের নির্মল উদাহরণ  শিক্ষানীতি ২০১০, পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি এবং জাতীয় স্বার্থ  চীন-ভারত সম্পর্ক এবং এ অঞ্চলে তার প্রভাব  নারী লাঞ্ছনার সর্বগ্রাস  একজন এস এ জালাল ও মুক্তিযুদ্ধের তথ্যভাণ্ডার  গল্প- স্বপ্নের মধ্যে কারাগারে  গল্পিতিহাস- কাঁথা সিলাই হইসে, নিশ্চিন্ত  ‘এখন প্রাধান্য পাচ্ছে রম্যলেখা'  অকথিত যোদ্ধা  কানকুনের জলবায়ু সম্মেলন, বাংলাদেশের মমতাজ বেগম এবং আমার কিছু কথা  নাপাম বোমা যা পারেনি, চ্যালেঞ্জার ও আব্রাম্‌স্‌ ট্যাংক কি তা পারবে?  ঠাকুর ঘরে কে রে...!  ষড়যন্ত্র নয়, ক্ষুধা ও বঞ্চনাই আন্দোলনের ইন্ধন  বাহাত্তরের সংবিধানের পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বাধা কোথায়?  ড.ইউনূসের দুঃখবোধ এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা  গীতাঞ্জলি ও চার্লস এন্ড্রুজ  গল্প- তেঁতুল


দৈনিক সমকাল এর সৌজন্যে
লেখকঃ শাহেদ চৌধুরী ও লোটন একরাম


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.