হৃদরোগ থেকে বাঁচতে বিয়ে উপকারী!

ভুল করেও ও পথে নয়! সুখ-শান্তি-স্বাধীনতা সব যাবে—অন্যদের বিয়েতে নিরুত্সাহিত করতে প্রায়ই এমন কথা বলে থাকেন বিবাহিত ব্যক্তিরা। তবে ভুলেও তাঁদের কথায় কান দেবেন না। কারণ কানাডার একটি গবেষণা অন্য কথা বলছে।
হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর বিবাহিত পুরুষেরা কীভাবে স্ত্রীর কাছ থেকে দ্রুত শুশ্রূষা পান, তারই প্রমাণ মিলেছে কানাডার চিকিত্সকদের ওই গবেষণায়।
গবেষণায় বলা হয়, যাঁরা অবিবাহিত বা যাঁদের স্ত্রী মারা গেছে বা স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছে, তাঁদের চেয়ে অধিকতর স্বাস্থ্যসেবা পান সেই সব পুরুষ, যাঁদের স্ত্রী বর্তমান।
কানাডার অন্টারিওতে হৃদরোগে আক্রান্ত চার হাজার ৪০৩ জন ব্যক্তির ওপর গবেষণা চালান গবেষকেরা। এই রোগীদের গড় বয়স ছিল ৬৭ দশমিক ৩ বছর। তাঁদের ৩৩ দশমিক ৭ শতাংশ ছিলেন নারী। দেখা যায়, ৭৩ দশমিক ৬ শতাংশ রোগী বুকে ব্যথা হওয়ার ছয় ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে এসেছেন।
পুরুষ রোগীদের মধ্যে ৭৫ দশমিক ৩ শতাংশ বুকে ব্যথা হওয়ার ছয় ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে আসেন। অন্যদিকে এ সময়ের মধ্যে হাসপাতালে আসেন অবিবাহিতদের ৬৭ দশমিক ৯ শতাংশ, বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া ব্যক্তিদের হার ৬৮ দশমিক ৫ শতাংশ।
গবেষকেরা এখান থেকে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে বিবাহিত পুরুষেরা হৃদরোগ আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিত্সার ব্যাপারে উদ্যোগী হন তাঁর স্ত্রী। অথচ নারীদের নিজের ক্ষেত্রে ঘটে উল্টোটা। গবেষকদের মতে, এর কারণ হয়তো নারীরা অন্যের সেবা দেওয়ার ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা নিতেই ভালোবাসেন। সেই কারণেই স্বামী বুকে ব্যাথা অনুভবের সঙ্গে সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে চিকিত্সার ব্যবস্থা করান। আর দ্রুত চিকিত্সার কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পরও বিবাহিতদের বড় ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। তবে এই কাজটি নারীরা নিজেদের বেলায়ও করেন এমন জোরালো প্রমাণ পাননি গবেষকেরা।

No comments

Powered by Blogger.