বাধ্য হয়েই জাতিসংঘের সদস্য পদের জন্য আবেদন করছি

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা বাধ্য হয়েই জাতিসংঘের সদস্যপদের জন্য আবেদন করতে যাচ্ছে। অধিকৃত এলাকায় বসতি স্থাপন বন্ধের আহ্বান ইসরায়েল বারবার প্রত্যাখ্যান করায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।
গতকাল শনিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে মাহমুদ আব্বাস এ কথা বলেন।
আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সদস্যপদের জন্য সাধারণ পরিষদে আবেদন জানাবে ফিলিস্তিন। বিষয়টির প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে কূটনীতিকদের সঙ্গে এ বৈঠকে বসেন আব্বাস। সেখানে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তাইয়িপ এরদোগানও উপস্থিত ছিলেন। জাতিসংঘে যাওয়ার ব্যাপারে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি একতরফা নয়, বরং ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের বিষয়টিই একতরফা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক এএফপিকে বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদনের প্রস্তুতি আগামী ৪ আগস্ট চূড়ান্ত করা হবে। ওই দিন দোহায় আরব মনিটরিং কমিটির সভা হবে। কাতার, মিসর ও সৌদি আরব ওই সভায় যোগ দেবে। ওই কূটনীতিক আরও বলেন, এরপর আগস্টের প্রথম সপ্তাহে জাতিসংঘের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানো হবে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর ওয়াশিংটনের উদ্যোগে গত সেপ্টেম্বরে আবার শুরু হয়। কিছুদিন পর তা আবার বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে মাহমুদ আব্বাস বলেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অধিকৃত এলাকায় বসতি স্থাপন বন্ধ করতে রাজি হয়নি। ১৯৬৭ সালের সীমানা প্রশ্নে সমঝোতা আলোচনায় বসতেও তিনি অস্বীকৃতি জানান। এ জন্যই তাঁর সঙ্গে সমঝোতা আলোচনায় বসা সম্ভব হয়নি।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য সমঝোতায় পৌঁছানো। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষের মতো আমরাও সাধারণ পরিষদের, জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করি।’
আব্বাস বলেন, ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি দখলদারির শিকার হয়। এখনো তা থেকে মুক্ত হয়নি ফিলিস্তিন।
আব্বাস বলেন, ‘এর মধ্যে ১১৮টি দেশ ১৯৬৭ সালের ওই যুদ্ধের আগের সীমানা অনুযায়ী ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে। আশা করি, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ সংখ্যা ১৩০ হবে।’

No comments

Powered by Blogger.