৭৩৩ মিনিট পর...

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে লিভারপুলে তিন বছর—তোরেস ছিলেন তোরেসের মতোই। বিশ্বের ভয়ংকরতম স্ট্রাইকারদের একজন। লিভারপুলে শেষ বছরে ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে ফেলেন। আগের তোরেসকে ফিরে পাওয়ার আশায় চেলসি নিয়ে আসে তাঁকে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ ট্রান্সফার ফির রেকর্ড গড়ে। কিন্তু তোরেস গোল কিছুতেই পাচ্ছিলেন না।
সেই গোল-বন্ধ্যত্ব ঘুচল পরশু। ১৩ ম্যাচের খরা কাটিয়ে গোল পেলেন তোরেস। ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে ৭৫ মিনিটে দিদিয়ের দ্রগবার বদলি হিসেবে নেমে ৮৪ মিনিটে গোল পাওয়ার আগে গোলশূন্য ছিলেন ৭৩৩ মিনিট। এএফপি, ওয়েবসাইট।
এই গোল তোরেসকে স্বস্তি না দিয়ে পারেই না। তবে তোরেস সমর্থকদের কথাটাই ভাবলেন সবার আগে, ‘আমি আমার চেয়ে তাদের (সমর্থক) জন্যই বেশি খুশি। কারণ তাদের দেখাতে চেয়েছিলাম যে আমি গোল করতে পারি।’ মৌসুমের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে চেলসি-সমর্থকেরা তোরেসকে নিয়ে যে ধৈর্য দেখিয়েছে, তাতে স্প্যানিয়ার্ড স্ট্রাইকার মুগ্ধ, ‘আমি গোল না পেয়ে নিজের চেয়ে বেশি চিন্তিত ছিলাম সমর্থকদের নিয়ে। তারা আমাকে নিয়ে অনেক ধৈর্য ধরেছে এবং আমাকে সমর্থন করে গেছে।’
লিভারপুল থেকে চেলসিতে নাম লিখিয়েছেন তিন মাস আগে। লিভারপুলে ১৪২ ম্যাচ খেলে ৮১ গোল করা তোরেস পরশু চেলসিতে নিজের প্রথম গোল পাওয়ার পেছনে বড় অবদান দেখছেন সতীর্থদেরও, ‘তাদের (সতীর্থ) সহযোগিতা ছাড়া আমি গোল করতে পারতাম না। এই গোলের পর আমার ওপর চাপ অনেকটাই কমে গেল।’ চেলসিতে এমন শুরুটা তাঁর কাছে ছিল অকল্পনীয়, ‘১৪ ম্যাচ গোলহীন থাকব, চেলসিতে যোগ দেওয়ার সময় এমন শুরুর কথা আমি ভাবিওনি।’
ওয়েস্টহামের বিপক্ষে ম্যাচটি চেলসি ৩-০ গোলে জিতলেও শুরুটা ভালো ছিল না তাদের। প্রথম গোল পেতে ‘ব্লু’দের অপেক্ষা করতে হয় ৪৪ মিনিট পর্যন্ত। ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের গোলে এগিয়ে যাওয়ার ৪০ মিনিট পর তোরেস গোল করেন বদলি হিসেবে নেমে। ফ্লোরেন্ত মালুদা দলের তৃতীয় গোলটি করেন ইনজুরি সময়ে।
এই জয়ের পরও চেলসি ৬৭ পয়েন্ট (৩৪ ম্যাচ) নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই। হাভিয়ের হার্নান্দেজের একমাত্র গোলে এভারটনের বিপক্ষে জিতেছে ম্যানইউ (৩৪ ম্যাচে ৭৩ পয়েন্ট)। রদ্রিগেজের হ্যাটট্রিকে বার্মিংহামকে ৫-০ গোলে হারিয়ে ৩৪ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট লিভারপুলের। ষষ্ঠ স্থানেই আছে তারা। বোল্টনের কাছে ২-১ গোলে হেরে ৩৪ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আর্সেনাল। ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৩২ ম্যাচে ৫৬। হিসাব বলছে, আর দুটি ম্যাচ জিততে পারলেই এবারের প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা উঠবে ম্যানইউর হাতে।
সিরি ‘আ’তে চ্যাম্পিয়ন হতে এসি মিলানের প্রয়োজন আর মাত্র ৪ পয়েন্ট। হাতে আছে ৪ ম্যাচ। পরশু রবিনহোর একমাত্র গোলে ব্রেসিয়াকে হারিয়ে মিলানের পয়েন্ট ৩৪ ম্যাচে ৭৪। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্টার মিলান লাৎসিওর বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেও নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানের চেয়ে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে। শিরোপার লড়াইয়ে থাকা মিলানের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী ডিয়েগো ম্যারাডোনার সাবেক ক্লাব নাপোলি পালের্মোর কাছে হেরে গেছে ২-১ গোলে। ৩৪ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট এখন নাপোলির।

No comments

Powered by Blogger.