জন্মদিনের উৎসব বাতিল টেন্ডুলকারের

যোদ্ধা তিনিও। লড়াইয়ের মঞ্চটা অবশ্য আলাদা। আলাদা যুদ্ধাস্ত্রও। কিন্তু একজন সেনা যেমন দেশের জন্য লড়াই করেন, শচীন টেন্ডুলকারও তা-ই। তবে নিজের চেয়ে একজন সাধারণ সেনাকেও অনেক এগিয়ে রাখলেন ক্রিকেটের সর্বকালের সফলতম এই ব্যাটসম্যান। বললেন, ‘লড়াই করার প্রেরণা আমি এই সেনাদের কাছ থেকেই পেয়েছি।’
৩৮তম জন্মদিনটা একটু অন্যভাবেই উদ্যাপন করতে চেয়েছেন টেন্ডুলকার। কথা ছিল পুনেতে যুদ্ধাহত সেনাদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাবেন, কিন্তু আইপিএলের ব্যস্ততায় তা সম্ভব হয়নি। ঘরোয়াভাবে যেসব আয়োজন করা হয়েছিল, তা-ও শেষ মুহূর্তে বাতিল করেছেন। ভারতের আধ্যাত্মিক নেতা সত্য সাঁই বাবা গুরুতর অসুস্থ। সাঁই বাবার রোগমুক্তির জন্য সবাইকে প্রার্থনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন টেন্ডুলকার। ৩৮তম জন্মদিনটা তাই অনাড়ম্বরভাবেই কাটছে তাঁর। সরাসরি যেতে না পারলেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুদ্ধাহত সেনাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৯৯টি সেঞ্চুরির মালিক, ‘প্রিয় যোদ্ধা ভাইয়েরা, শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনাদের শুভেচ্ছা জানাই। দায়িত্ব নেওয়া এবং শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার শিক্ষা আমি আপনাদের কাছ থেকেই পেয়েছি।’
টেন্ডুলকারেরও খুব ইচ্ছা ছিল সরাসরি এঁদের সঙ্গে দেখা করবেন। সেটি সম্ভব হয়নি বলে তাঁর নিজেরও মন খারাপ। কথা দিয়েছেন, সুযোগ হলে অবশ্যই পুনেতে এসে দেখে যাবেন যুদ্ধাহতদের, ‘আমি আপনাদের সঙ্গে টেবিল টেনিস খেলতে চাই। শিখতে চাই কীভাবে খেলতে হয় বাস্কেটবল।’ এমনিতে টেন্ডুলকারের জন্মদিনটা মোটামুটি সাড়ম্বরে আয়োজনের সব প্রস্তুতিই ছিল। ৩৮ কেজি ওজনের বিশাল কেক বানানোর কথা ছিল হায়দরাবাদের আইটিসি কাকাতিয়া হোটেলের। ম্যাচ খেলতে এখানেই সপরিবারে উঠেছেন টেন্ডুলকার। বড় পার্টি দিতেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মালিক নীতা আম্বানি। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলিউড ও দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের শিল্পীদের। গতকাল থেকেই অনেকে টুইটার ও সংবাদমাধ্যমে শুভেচ্ছাও জানাতে শুরু করেছেন। ডিএনএতে বিশেষ কলাম লিখেছেন ভারতীয় টেনিস কিংবদন্তি মহেশ ভূপতি।

No comments

Powered by Blogger.