গল্প- 'গাদি' by ইফফাত আরেফীন তন্বী

বিকাশপর্ব
খেলার নাম জানতাম, গাদি … এর নিশ্চিত শ্রবণপ্রিয় কোনো নাম আছে। নামটা শুনেছিও, কিন্তু মনে করতে পারছি না। এই মনে না-করাটা প্রায়শই ঘটে। আর এই মনে-না-করতে-পারাটা অবধারিতভাবে কথক যে, তাকে সময়বদ্ধতা থেকে মুক্তি দেয়, ’বর্তমান’, ‘অতীত’, সাথে ’আনুমানিক ভবিষ্যৎ’ বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে একটা একটা ঘটনারূপে তৈরি করে, এবং কথক সেইসকল ঘটনাকে সত্যি বলে ধরে নেয়।

ঘটনা এক.
ছোট্টবেলা মল্লিকা নামে প্রতিবেশী বন্ধুটি স্বীয় দাসী মোমেনার পাঁচ টাকা চুরি করে মেরী বিস্কুট কিনে খেয়েছিল।

ঘটনা দুই.
সিঁড়িতে পড়ে থাকা কথকের ত্রিশ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে যায় বুয়া।

ঘটনা তিন.
ঘটনা তিন অবধারিত ভাবে কোনো ’আনুমানিক ভবিষ্যৎ’-এর, কথক এই স্থানে আসার পরে যে ঘটনাটি ঘটে- যার নাম “স্মৃতিভ্রংশ”। স্মৃতিভ্রংশ?

১.
শুরুটা ছিল আসলে গাদি খেলা… ছোটবেলা যখন গাদি খেলতে যেত… কথক ‘দুধভাত’ হত, প্রায়শই ‘দুধভাত’ শব্দটি তার মুখে একটি করে চড় মারত — লজ্জা, অপমান, ঘৃণা সেই ছোট্টবেলাতেই ভর করেছিল তাকে। তবু প্রায় প্রতিদিন বিকালে দলভাগাভাগির সময় কারো সাথে জোড় বেঁধে নাম পাতিয়ে আসতা — দুইজন রাজার সামনে দাঁড়িয়ে বলতো — “রোদ নেবে না বৃষ্টি নেবে?” কোনো রাজাই বৃষ্টি চাইত না, রোদ চাইত শুধু।

১.
শিথানে রোদ্দুর নিয়ে ‘বার্ড অভ হেভেন’ হাঁটে। পার হয়ে যায় লালমাটি… পরনের ডেনিম জিন্সটা ঘষে-যাওয়া কালো। হঠাৎ মনে পড়ে যায় গ্যালারি চিত্রকে একটা ছবি বাঁধাতে দেওয়া, কেরোসিন কাঠের ফ্রেমটাকে কালো রঙে ঘষে দিতে বলেছে। হঠাৎ চিন্তায় পড়ে, ভিতরের বহুবর্ণা কি বাঁধা পড়বে এ-ঘষা-কালোয়… কী জানি!

তার ভাবতে ভালো লাগে এই বহুবর্ণা থেকে ঘটবে বিচ্ছুরণ। আলো আর আলো। সকল আলোর হর্ষশক্তিতে তার নৈর্ঋতে সৃজন হবে আলোকঘূর্ণি, তার ওপারেই তার কাক্সিক্ষত ভবিষ্যৎ অথবা না-পাওয়া অতীত, যেখানে বিস্মৃত তোতুল পাখির সকল পূর্বপ্রমের অভিজ্ঞান। কথক আসলে ‘বার্ড অভ হেভেন’-কে এছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারে না।

২.
গাদি খেলায় তার একটামাত্র চাওয়া ছিল সে যেন দেখাতে পারে নৈপুণ্য। সকলের কাছে হয়ে পড়ে প্রয়োজনীয় খেলোয়াড়।

শীতের শুরুতে পাড়ার সদ্য-প্রেমে-পড়া তরুণেরা ব্যাডমিন্টনের ছঁক কাটে, সন্ধ্যার পর আলো জ্বেলে খেলা। সেই ছঁকে গোধূলিপূর্ব গাদি খেলা, তাদের দলে যে-খেলোয়াড় সবচেয়ে চমকের সাথে প্রতিপক্ষকে ছুঁয়ে দেয়, তার কদরই থাকে বেশি।

একদিন যারা ’আরাধ্য খেলোয়ার’ তাদের ইচ্ছে জাগে স্বাদ বদলের… এ যেন রাজা-মহারাজার শখ করে এক আধদিন ভর্তা খাওয়া, যেন বিল গেটস-এর তেজগাঁ বস্তি ভ্রমণ, শখ করে ওদের পিঁড়িতে বসা; আর তাতেই বর্তে যেত কথক।

সেদিন যে-খেলাটি হত তার নাম ঝুমুর ঝুমুর।

২.
‘বার্ড অভ হেভেন’ রোদ্দুর শিথানে, কত শতমূল অথবা কালমেঘ দলে লাল মাটিতে, ঘষা কালো ডেনিমটি এক নতুন চেহারা নেয়।

নিজের পায়ের দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়, যেন সে ‘চে’, তার সাইকেল নেই, আছে পা। এইভাবে সে যেন কোনো রেভুলেশনের অভিমুখে। ‘চে’ থেকে সে হয়ে যায় ‘অর্জুন’, ‘পার্থ’। যে-অরণ্যে সে, তার স্থপতি একদল বোটানিস্ট। ‘বার্ড অভ হেভেন’ আজ তবে এ-অরণ্যের পার্থ।

জিনে-ধরা চাঁদটি হয়ে যায় তার ভবিষ্যৎ। সে এইখানে অপেক্ষা করে চিত্রাঙ্গদার…
একটি তরুণ দুর্গসদৃশ আবাসে বহুর মধ্যে এক, অনন্যা তোতুল পাখিকে মনে হয় দ্রৌপদী। এ যেন দ্রৌপদীর যুধিষ্ঠির কাল…
পার্থ ঈর্ষায় জ্বলে মাতোয়ারা হয় চিত্রাঙ্গদার সমীপে…
একেশিয়া বৃক্ষের আড়াল হতে কটা চুলের চিত্রঙ্গদা আবির্ভূত হন।

৩.
সেইসব স্বাদবদলের দিনে খেলা চলত ঝুমুর ঝুমুর…
যে চোর সে বলত ‘ঝুমুর ঝুমুর আটষটির পাতা’

কথক দৌড়াত –

ঝুমুর ঝুমুর আটষটির পাতা
ঝুমুর ঝুমুর আটষটির পাতা
ঝুমুর ঝুমুর আটষটির পাতা
ঝুমুর ঝুমুর আটষটির পাতা
ঝুমুর ঝুমুর আটষটির পাতা
ঝুমুর ঝুমুর আটষটির পাতা
ঝুমুর ঝুমুর আটষটির পাতা

বোকা কথক সবাইকে দেবার পর ছোট্ট গাছটি পত্রশূন্য , ওর ঘরে পৌঁছাত পত্রহীন একটি শাখা। আর সেই সাথে ওর জন্য জড়ো হত অভিশাপ।

তারপর আবার — ’ঝুমুর ঝুমুর বিষফল পাতা’

দৌড় দৌড় দৌড় দৌড়

ঝুমুর ঝুমুর বিষফল পাতা
ঝুমুর ঝুমুর বিষফল পাতা
ঝুমুর ঝুমুর বিষফল পাতা
ঝুমুর ঝুমুর বিষফল পাতা
ঝুমুর ঝুমুর বিষফল পাতা
ঝুমুর ঝুমুর বিষফল পাতা

বংশবৃদ্ধির কালে ঝুমুর ঝুমুরের দল গাছটিকে পত্রহীন ফলহীন করে তুলল, পক্ষকাল পরে মৃত্যু হল গাছটির! অভিশাপ জমা হল কথকের থলিতে…
বোকাটা এত বেশি গাছ চিনত!
দূর ভবিষ্যতে বনজ নামক পুস্তকে খুঁজে পায় বিষফলের অস্তিত্ব, অন্য নামে: ’সর্পগন্ধা’।
এতকাল পরে দু’চোখ উজাড় করে কাঁদে সে।

আবার পূর্বের স্বাদে ফিরে যায় গাদি খেলায়।
রাজা যে, সে দাঁড়ায় ভার্টিকাল লাইনে, মন্ত্রী হরাইজন্টাল ওয়ানে, সেনাপতি হরাইজন্টাল টুতে, প্রধান পারিষদ হরাইজেন্টাল থ্রিতে। প্রতিপক্ষ প্রথম কক্ষে বন্দী… ইতিউতি সুযোগ খোঁজে ঘর গলে বের হবার, এইখানে ওইখানে চুক্কি কাটে। কথকদের রাজা মন্ত্রী সেনাপতি আর যে সাধারণ প্রজা, কেউ একজন গলে বেরিয়ে যায়…

সামনে হরাইজেন্টাল টু।
এদিক ওদিক দৌড় দৌড়… এর এক গুপ্তমন্ত্র আছে- এক লাইনে দৌড়ে দৌড়ে ক্লান্ত করে দাও সেনাপতিকে।
এদিক… … ওদিক… … এদিক… … ওদিক… …
এদিক… … ওদিক… … এদিক … … ওদিক… …
কথকদের যে রাজা, সে ঢুকে পড়ে গাদি কক্ষে, আর অমনি হরাইজন্টাল ওয়ান তাকে আটকে ফ্যালে।

৩.
‘বার্ড অভ হেভেন’ যে পার্থ, অপেক্ষা করে চিত্রাঙ্গদার নিবেদনের… আসে না আসে না আসে না… অহং জ্বলে ওঠে মাথার মধ্যে।
যেন ক্রোমায় চলতে থাকে দ্রৌপদীর যুধিষ্ঠির কালের চিত্রাবলী।
কোনো আসরে যুধিষ্টির চুম্বন করেছিল দ্রৌপদীর চাঁপাকলা-সদৃশ আঙুল। আহ!
সবকিছু মিথ্যা মনে হয়… চিত্রাঙ্গদার কোমরে তীব্র লাথি পড়ে, তার ফিফথ অ্যাভিনিউর লালমাটিমাখা ছাপচিত্র কী মনোহর! চিত্রাঙ্গদা পড়ে যায়, আহ্…
আর আমু না গো মামু আমারে ছাইড়া দাও… আর পাতা টোকামু না…
ঘাসের ভিতর মুখ ডুবিয়ে চিত্রাঙ্গদা প্রতিজ্ঞা করে, মুখটি দেখা যায় না…
ওর কটা চুলগুলো হঠাৎ… ওর চুলগুলো যেন হয়ে যায় ভুট্টাখেত, ভেতর থেকে উকুনগুলি উঁকি দেয়। কী বিকট কী বীভৎস! সে স্পষ্ট দেখতে পায় ওরা কটাক্ষ করছে, ম্পষ্ট শুনতে পায় দ্রৌপদী আর ভীমের রতিবর্ণনা
‘বার্ড অভ হেভেন’ কিন্তু চিত্রাঙ্গদাকে মারতে চায়নি, কেবল উকুনগুলোর মুখ বন্ধ করতে ওর ফিফথ অ্যাভিনিউ দিয়ে জোরসে ঘাসের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিয়েঝে উকুনের আবাস।

৪.
রাজা মন্ত্রী সেনাপতি সকলে একে একে সকল কক্ষ পার হয়ে আসে।
আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, এইবার এইবার হবে গাদি…
কী তীব্র উত্তেজনা… কথক পাড়ি দিয়ে এসেছে সকল কক্ষ…
যে পারবে দিতে গাদি… আজ এ-যুদ্ধের জয়মাল্য হবে তার…

গাদির ছঁক থেকে তাদের ছাদটা দেখা যায়। মা’কে হাঁটতে দ্যাখে সে, দূর থেকে মা হাসে, বড্ড দূরের মনে হয় তাকে। আজ এই জিনে-ধরা চাঁদের সামনে বসে সে আবিষ্কার করে ঠিক কবে সৃজন হয়েছে এই দুরত্বের… কথক তখন কেজি ক্লাসে… ফুলের বাগান শোভিত এক বাড়ির রঙপেন্সিল-আঁকা ছবি আনে ওর প্রিয় বন্ধু। যেন হাতের মুঠোয় স্বর্গ। শত অনুনয়ের পর অরূপচিত্রের সাথে রাত্রিযাপনের অধিকার পেল সে- শর্ত, ‘ফিরিয়ে দিতে হবে পরেরদিন প্রথম পিরিয়ডে। গৃহে প্রদর্শনীর পর বইয়ের বাকশে রেখে দেয় সযতন অহংকারে।

- পি ইউ টি পুট
- সি ইউ টি কাট
- না মা, সি ইউ টি কুট
- না কাট
- না কুট
- না
- না কেন? কেন?
- এত কথা না, এটাই নিয়ম
- কেন নিয়ম বলতে হবে
- সময় নস্ট কোরো না, পড়ো
- না পড়বো না… না… না… না…

মা সহ্য করেন না এই অবাধ্যতা, গায়ে হাত তুললে… না… না…। মা তখন বক্সের নীচ থেকে ছবিটা বের করে টুকরো টুকরো করে ছেঁড়েন।

হায় জিনে-ধরা চাঁদ! কথক ভাবে, স্বীয় রাজ্য হারিয়ে কোনো রাজা কি এতটা হেঁট হয়েছিল, বন্ধুর কাছে যতটা হয়েছিল ছোট্ট কথক? আজ অবধি আর উঁচু হল না মাথাটা।

৪.
উকুনগুলোকে মাড়ানোর পর ‘বার্ড অভ হেভেন’ -এর মনে হয় সে তো তোতুল পাখির জন্য বাদলদিনের প্রথম কদমফুল খুঁজতে এসেছে…
কদম না… সে পায় অশোক। আগুনধরা সে-ফুল। হাতে আগুন নিয়ে ফেরার পথে বারোমাইসা কদম গাছে একটি ফুল মেলে…
‘বার্ড অফ হেভেন’ ডেনিমে কাদা নিয়ে, হাতে অশোক কদম নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এসে পৌঁছয় একেশিয়া-তলে, সেখানে গরম চায়ের কাপে চুমু খাচ্ছে তোতুল পাখি।
কী অসম্ভব সুন্দর একটা দিনের শুরু হয়!

অসমপর্ব

বোকা কথকটি হরাইজন্টাল ওয়ানের পাশে বসে ছাদের দিকে তাকিয়ে ভাবছিল সেই ছিঁড়ে-ফেলা ছবির কথা।
সেনাপতি, রাজা ও অন্যরা সকলে আটকে পড়েছে হরাইজন্টাল টু-থ্রির মাঝে, সেখানে ভার্টিকালও বন্ধ।
কথক ছাদে তাকায়… কী চমৎকার বেগুনি শাড়ি উড়িয়ে মা হাঁটছে! হঠাৎ দেখতে পায়, ওর মায়ের হাতে সেই আকাঁ ছবিটা টুকরো টুকরো ঝরে পড়ছে… ছেঁড়া টুকরোগুলিরর মাঝে মা ডুবে যাচ্ছে… ডুবে যাচ্ছে…

অপর পক্ষীয় মন্ত্রী হরাইজন্টাল ওয়ানের অপর প্রান্ত থেকে বেড়ালের মতো ধীর পায়ে এসে ছুঁয়ে দেয় কথককে। ওরা পরাজিত হয়। কথকের মাথা হেঁট হয় আবার।

সর্বশেষ সংবাদ: কে বা কারা চিত্রা নামের একটি শিশুকে লালমাটিতে মুখ চেপে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে।
===========================
ইফফাত আরেফীন তন্বী
জন্ম
যশোর ২৬/৪/১৯৭৯
tanwi13@yahoo.com

পেশা
পাণ্ডুলিপি রচনা

মূল আগ্রহ পড়া। লেখালেখির প্রতি আগ্রহের জন্য জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্বকে (পাণ্ডুলিপি রচনা) প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বিষয় হিসেবে বেছে নেওয়া। কিন্তু মূল প্রস্তুতি শৈশবে মাতামহের অবেক্ষনে ।

লেখালেখির জন্য সর্বত্র উৎসাহ দিতেন বাংলা নাটকের মহাকবি সেলিম আল দীন ও বেগমজাদী মেহেরুন্নেসা সেলিম।

এছাড়া আইকনস নামের একটি মাসিক পত্রিকার সম্পাদক (জীবনযাত্রা বিষয়ক)।
=============================
গল্প- আলিমের নিভৃতিচর্চা by রাশিদা সুলতানা   গল্প- প্রত্যাবর্তন: আমার ‘ফেরা’ নিয়ে যে কাহিনী না ..মানষ চৌঃ   গল্প- 'বীচিকলায় ঢেকে যায় মুখ ও শিরোনাম' by আনোয়ার ...  গল্প- 'প্রীত পরায়া' by সিউতি সবুর   গল্প- 'চলিতেছে' by মাহবুব মোর্শেদ   গল্প- 'গোপন কথাটি' by উম্মে মুসলিমা   গল্প- 'রূপকথা' by লুনা রুশদী  সঞ্জীব চৌধুরীর কয়েকটি গল্প   গল্প- 'অস্বস্তির সঙ্গে বসবাস' by ফাহমিদুল হক   গল্প- 'মঙ্গামনস্ক শরীরীমুদ্রা' by ইমতিয়ার শামীম   গল্প- 'হাজেরার বাপের দাইক দেনা' by জিয়া হাশান  গল্প- ‘অপঘাতে মৃত্যু’ ও ‘সাদামাটা’ by লীসা গাজী   গল্প- 'দ্বিতীয় জীবন' by ইরাজ আহমেদ  গল্প- 'পুষ্পের মঞ্জিল' by সাগুফতা শারমীন তানিয়া   গল্প- 'একশ ছেচল্লিশ টাকার গল্প' by কৌশিক আহমেদ  গল্প- 'একে আমরা কাকতালীয় বলতে পারি' by মঈনুল আহসান..   গল্প 'গহ্বর' by জাহিদ হায়দার    গল্প- 'পুরির গল্প' by ইমরুল হাসান  গল্প- 'নওমির এক প্রহর' by সাইমুম পারভেজ  গল্প- 'মরিবার হলো তার সাধ' by আহমাদ মোস্তফা কামাল   গল্প- 'নিষুপ্ত শেকড়' by নিরমিন শিমেল   গল্প- 'লাল ব্যাসার্ধ্ব' by শামীমা বিনতে রহমান  গল্প- 'সেদিন বৃষ্টি ছিল' by মৃদুল আহমেদ   ক. কিছুদিন হয় সেই নগরে কোন বৃষ্টি হচ্ছিল না। কিছুদ.. গল্প- 'তুষার-ধবল' by সায়েমা খাতুন  গল্প- 'কোষা' by পাপড়ি রহমান  গল্প- 'কর্কট' by রাশিদা সুলতানা   গল্প- 'তিতা মিঞার জঙ্গনামা' by অদিতি ফাল্গুনী  গল্প- 'সম্পর্ক' by তারিক আল বান্না  গল্প- 'অনেক দিন আগের দিনেরা' by রনি আহম্মেদ

bdnews24 এর সৌজন্যে
লেখকঃ ইফফাত আরেফীন তন্বী


এই গল্পটি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.