মরিনহো-মাইকন মিলন হচ্ছে না

দুজনই স্বপ্ন দেখছিলেন আবার মিলিত হবেন। হোসে মরিনহো বলেছিলেন তাঁর পুরোনো শিষ্যকে চান। মাইকনেরও ইচ্ছে ছিল মরিনহোর পথ অনুসরণ করে রিয়াল মাদ্রিদকে ঠিকানা বানানোর। কিন্তু আপাতত তাঁদের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে। ফিফার এজেন্ট এবং রিয়াল মাদ্রিদের উপদেষ্টা আর্নেস্তো ব্রনজেত্তি জানিয়েছেন, ‘মাইকনের রিয়াল মাদ্রিদ ট্রান্সফার-নাটক শেষ।’
ইন্টার মিলান ছেড়ে মাইকনের রিয়ালে যাওয়ার কথাটা উঠেছিল মরিনহোর রিয়ালে যাওয়ার পরই। রিয়ালের দায়িত্ব নেওয়ার পর মরিনহো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, মাইকনকে রিয়ালে পেলে ভালোই লাগবে তাঁর। ব্রাজিলের ব্যর্থ বিশ্বকাপ মিশনে মাইকন আলো ছড়ানোর পর রিয়াল কর্মকর্তারাও মরিনহোকে মাইকনের পেছনে ছুটতে ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছিলেন।
রিয়াল মাদ্রিদ আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয় ইন্টার মিলানের কাছে। মাইকন যখন বিশ্বকাপ-পরবর্তী ছুটি কাটাচ্ছিলেন, প্রস্তাব নিয়ে কথাবার্তা চলছিল দুই পক্ষে। তারই এক ফাঁকে মাইকনের বাবা ঘোষণার মতো করেই বলেছিলেন—সবকিছু ঠিকভাবে এগোচ্ছে, আমার ছেলে রিয়াল মাদ্রিদেই যাচ্ছে। তখন তো সবাই ধরেই নিয়েছিল, গুরু-শিষ্যে মিলন হচ্ছে আবার।
ব্রনজেত্তি জানালেন সব ধারণা ভুল। সেটা আর হচ্ছে না। বাদ সেধেছে আসলে ইন্টার মিলানই। তারা মুখে কখনো বলেনি যে, মাইকনকে বিক্রি করবে না। তবে এমন একটা মূল্য মাইকনের জন্য বেঁধে দিয়েছে, যে মূল্যে মাইকনকে কিনতে চায় না রিয়াল। মাইকনের জন্য ২ কোটি ৮০ লাখ ইউরো হেঁকে বসেছে ইন্টার মিলান।
আসলে দামটাম কিছু নয়, ইন্টার মিলানের নতুন কোচ রাফায়েল বেনিতেজ মাইকনকে ছাড়তেই চাইছেন না। এ কারণেই এমন উল্টাপাল্টা দাম হেঁকে মাইকনকে দলবদলের বাজার থেকেই তুলে নিয়েছে ‘নেরাজ্জুরি’রা। ব্রনজেত্তি বলেছেন, ‘আমি রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার মনেই হয়েছিল ইন্টার মিলান যে মূল্য ধরেছে, তা দিয়ে মাইকনকে রিয়াল কিনবে না।’
রিয়ালের পক্ষ থেকে ইন্টার মিলান আর মাইকনের এজেন্টের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন হোর্হে ভালদানো। আলোচনা শেষ করে তিনি নাকি জানিয়েছেন, ‘দামটা আসলে একটু বেশিই। সত্যি বলতে কি, পেরেজ মাইকনকে চুক্তিবদ্ধ করার পরিকল্পনা বাতিল করেছে।’ আর এখন নাকি ইতালিয়ান লিগের বাইরের খেলোয়াড়ের দিকেই চোখ রিয়ালের।
এদিকে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দলের আরেক সদস্য রামিরেসের চেলসিতে যাওয়াটা সময়ের ব্যাপার। শুধু কাগজে সই করতেই বাকি।

No comments

Powered by Blogger.