দুই গোল-ভরসা

এমনিতে রবিন ফন পার্সির সঙ্গে রবার্ট ভিতেকের কোনো তুলনাই চলে না। ফন পার্সি খেলেন আর্সেনালে, বড় তারকা তিনি। আর ভিতেকের আঙ্কারাগুচু দলের নাম জানা লোক খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। তবে আজ দুজন একই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে—গোলের জন্য যাঁর যাঁর দলের বড় ভরসা তাঁরা।
চিত্রকর মা এবং ভাস্কর বাবার ছেলে ফন পার্সি তুলি বা ছেনি হাতে নেননি। বল পায়ে যা করেছেন, তাতেই লোকে তাঁকে ‘শিল্পী’ বলে চেনে। আর্সেনালের ঘরের ছেলে হয়ে যাওয়া ফন পার্সি হল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ৪৭ ম্যাচ। ওয়েসলি স্নাইডার, আরিয়েন রোবেনদের ভিড়ে এমনিতে হয়তো একটু পিছিয়ে ফন পার্সি। তবে গোল করায় কারও চেয়ে কম নন। হল্যান্ডের এই দলে দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ (১৯টি) গোল তাঁরই।
ফর্মহীনতা আর চোটের কারণে ক্লাবে সর্বশেষ মৌসুমটা ভালো না কাটলেও বিশ্বকাপে এরই মধ্যে আঁচড় কেটেছেন শিল্পিত ফুটবলের। ক্যামেরুনের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে দলকে এগিয়ে দেওয়া গোলটি করেছেন।
এই বিশ্বকাপে গোলের বিবেচনাতেই ফন পার্সিকে ছাড়িয়ে গেছেন ভিতেক। স্লোভাকিয়ার মতো দলের একজন খেলোয়াড়ের নাম এমনিতে লোকেদের জানারই কথা না। কিন্তু বিশ্বকাপে ৩ গোল করে গত পরশু পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতাদের একজন হয়ে ছিলেন তিনি।
এর মধ্যে জোড়া গোল করেছেন ইতালির বিপক্ষে। ভিতেকের জোড়া গোলে চারবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব থেকেই ছিটকে গেছে। আর স্লোভাকিয়া চলে এসেছে দ্বিতীয় পর্বে। ভিতেকের নাম অন্য কেউ ভুললেও ইতালিয়ানরা ভোলার কথা না।

No comments

Powered by Blogger.