সেই বোয়েটাং

তিনি কিছু করুন আর নাই করুন আলোচনায় থাকতেন। বিশ্বকাপে এক মিনিটের জন্য মাঠে নামতে না পারলেও আলোচনায় থাকতেন কেভিন-প্রিন্স বোয়েটাং। ঘানার লোকদের কাছে নয়, আলোচ্য ছিলেন তিনি জার্মানদের কাছে।
কিন্তু নেতিবাচক আলোচনার বিষয় হয়ে থাকাটা পছন্দ করলেন না বোয়েটাং। সেন্ট্রাল ডিফেন্স থেকে উঠে এসে তাই ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক গোলটা করে ফেললেন। অসাধারণ এই গোল করে ভূমিকা রাখলেন দ্বিতীয় পর্বে ঘানার জয়ে। দেশটির ইতিহাসে ঢুকে গেলেন বোয়েটাং। এবার যদি তাঁর পরিচয়টা বদলায়।
জার্মানিতে জন্ম নেওয়া বোয়েটাং তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন হার্থা বার্লিনের হয়ে। ২০০৭ সাল থেকে খেলছেন ইংলিশ লিগে। কিন্তু ঘানাইয়ান বাবার সুবাদে খেলেন তিনি ঘানার হয়ে। এই জার্মান-ঘানার দ্বৈত নাগরিকত্বই সংকটে ফেলে দিয়েছে তাঁকে।
বড় সংকটটা তৈরি হলো এফএ কাপের ফাইনালে। পোর্টসমাউথের ডিফেন্ডার বোয়েটাং ট্যাকল করলেন চেলসির মিডফিল্ডার বালাককে। সেই ট্যাকলের ধাক্কায় পা ভেঙে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে গেলেন বালাক।
সবাই বলল, ঘানা-জার্মানি যেহেতু একই গ্রুপের দল, তাই বালাককে ইচ্ছে করে ফাউল করেছেন বোয়েটাং। এই নিয়ে কত আলোচনা। এই চাপ পড়ল জার্মানিতে থাকা বোয়েটাং পরিবারের অন্য সদস্যদের ওপরও। এই চাপে সম্পর্ক ছিন্ন হলো তাঁর জার্মান দলে থাকা ভাই জেরোম বোয়েটাংয়ের সঙ্গে।
এত সব মিলিয়ে কিছু না করেও এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম উচ্চারিত নাম বোয়েটাং। নামটা থেকেই যেত। অন্তত ২০১০ বিশ্বকাপ ও বালাক প্রসঙ্গ উঠলেই তাঁর নাম আসত। এখনো আসবে। তবে ঘানার ফুটবলের ইতিহাস নিয়ে কথা বলতে গেলেই তাঁর নাম উচ্চারণ করতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.