কাঙ্ক্ষিত সাফল্যঅর্জিত হয়নি

পশ্চিমবঙ্গের মাওবাদী প্রভাবিত তিনটি জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুরা ও পশ্চিম মেদিনীপুরে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৮ জুন রাজ্যের পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর যৌথ নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল অপারেশন গ্রিনহান্ট। আজ শুক্রবার অপারেশন গ্রিনহান্টের বর্ষপূর্তি পালিত হচ্ছে। তবে এক বছর ধরে অভিযান চালিয়েও এই তিন জেলাকে মাওবাদী-মুক্ত করা যায়নি।
এদিকে এই অপারেশন গ্রিনহান্টের বর্ষপূর্তির দিন আজ তিন জেলায় পুলিশি সন্ত্রাসবিরোধী জনসাধারণের কমিটি পালন করছে কালো দিবস হিসেবে। তারা এই তিন জেলায় ২৪ ঘণ্টার বন্ধ্ও ডেকেছে। এ ছাড়া পুরুলিয়ার আদিবাসী-মূলবাসী জনগণের কমিটি এবং ঝাড়গ্রামের পুলিশি সন্ত্রাসবিরোধী জনগণের কমিটিও পৃথকভাবে আজকে বনেধর পাশাপাশি কালো দিবস পালনের ডাক দিয়েছে।
এদিকে আদিবাসী-মূলবাসী জনগণের কমিটির নেতা বিপ্লব ও পুলিশি সন্ত্রাসবিরোধী জনসাধারণের কমিটির নেতা মনোজ মাহাত এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, এই অপারেশন গ্রিনহান্টে অন্তত ১০০ জন সাধারণ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে সহস্রাধিক নির্দোষ মানুষ। গ্রামছাড়া হয়েছে লক্ষাধিক গরিব আদিবাসী। তাই তারা এই দিনকে কালো দিবস হিসেবে পালন করবে। দাবি তুলবে অপারেশন গ্রিনহান্ট বন্ধের। একই সঙ্গে তারা তিন দিন ধরে অপারেশন গ্রিনহান্টের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অপারেশন গ্রিনহান্টের বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে এক ঘোষণায় জানিয়েছে, মাওবাদীরা আত্মসমর্পণ করলে তাদের প্রত্যেককে এককালীন দেড় লাখ রুপি করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, তাদের স্বাবলম্বী করার জন্য তিন বছরের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ সময় তাদের মাসিক দুই হাজার রুপি করে ভাতা দেওয়া হবে। এ ছাড়া তাদের দুই রুপি কেজি দরে চাল এবং ব্যাংক ঋণ দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হবে। তাদের পুনর্বাসনের সার্বিক দায়িত্বও নেবে রাজ্য সরকার।

No comments

Powered by Blogger.