যত দোষ রেফারির

৭৬ মিনিটে গোল বাঁচাতে গিয়ে উরুগুয়ের ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজকে ফেলে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার গোলরক্ষক ইতুমেলেং খুনে। সঙ্গে সঙ্গে বেজে ওঠে মেক্সিকান রেফারি মাসিমো বুসাক্কার বাঁশি। পেনাল্টি পায় উরুগুয়ে। লাল কার্ড দেখেন খুনে। বদলি গোলরক্ষক মোয়েনেব জোসেফের বিপক্ষে নেওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করেন ডিয়াগো ফোরলান। উরুগুয়ে এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রাজিলিয়ান কোচ কার্লোস আলবার্তো পাহেইরা রেফারির এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না।
ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে পাহেইরা বলেছেন, ‘তিনি এই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বাজে রেফারি। আশা করছি, তাঁর মুখ আর আমাদের দেখতে হবে না। সে আসলে এখানে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছে।’
পেনাল্টি নিয়ে পাহেইরা অসন্তুষ্ট হলেও কুনের লাল কার্ড দেখায় হয়তো খুশিই হবেন ইতালির সাবেক গোলরক্ষক জিয়ানলুকা পালিউকা। এত দিন বিশ্বকাপে লাল কার্ড দেখা একমাত্র গোলরক্ষক হয়ে ছিলেন নব্বই বিশ্বকাপে নরওয়ের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখা এই পালিউকাই। এবার যে একজন সঙ্গী পেলেন! লাল কার্ডের পরও ঘটেছে অদ্ভুত এক ঘটনা। আরেক গোলরক্ষক মোনরায়েবের মাঠে নামার কোনো প্রস্তুতিই ছিল না। প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামতে নামতে মিনিট পাঁচেক লেগে গেল তাঁর। দক্ষিণ আফ্রিকা পরশু ম্যাচের সবকিছুতেই এমন পিছিয়ে ছিল। দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় স্টিভ পিনার তাই কোচের মতো রেফারির সমালোচনা না করে পরাজয়ের দায় নিয়ে নিলেন নিজেদের কাঁধে, ‘আমার মনে হয় রেফারিকে না দুষে আমাদের নিজেদেরই দায় নেওয়া উচিত।’
আর উরুগুয়ের কোচ রেফারিং নিয়ে কোনো কথাই বলতে চাইলেন না, ‘আমি পাহেইরার সঙ্গে একমত নই। রেফারির কারণে জিতেছি, এটা শুনেই তো আমার হাসি পাচ্ছে

No comments

Powered by Blogger.