বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে চায় আফগানিস্তান- ব্যবসা ও বিনিয়োগের উন্নয়নে সংস্কার

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বিভিন্ন সংস্কারকাজ এগিয়ে নিচ্ছে, যা বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের জন্য সহায়ক হয়ে উঠছে।
আর এই বিষয়ে জানতে ও বুঝতে আফগানিস্তান থেকে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এখন বাংলাদেশ সফর করছে। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে দেখে ও শিখে তা আফগানিস্তানে ব্যবসার উন্নয়নে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন।
গতকাল বুধবার ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স করপোরেশনের (আইএফসি) কার্যালয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় আফগান প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন। তাঁরা সবাই আইএফসির সহযোগিতায় গঠিত আফগানিস্তানের বিনিয়োগ পরিবেশবিষয়ক সংস্থা হরকতের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। এ সময় আইএফসির কর্মসূচি ব্যবস্থাপক রলা ওয়াটসন উপস্থিত ছিলেন।
হরকতের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলেমান ফাতিমি বলেন, আফগানিস্তানের ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরির জন্য সংস্থাটি কাজ করে যাচ্ছে। এই সংস্থা থেকে সরকারি ও বেসরকারি খাতকে তহবিল ও পরামর্শ দেওয়া হয়।
সুলেমান ফাতিমি জানান, আফগানিস্তানে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য ভূমি সংস্কার, সরকারি বিধিবিধানের সংস্কার, দুর্নীতি রোধ ইত্যাদি কাজ খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এসব ক্ষেত্রে তাঁরা বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা জানতে ও বুঝতে চাইছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সুলেমান জানান, বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকাগুলোর ব্যবস্থাপনা তাঁদের চমকৃত করেছে। আফগানিস্তানে যে শিল্পনীতি তৈরি হতে যাচ্ছে, তাতে বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞতার আলোকে কাজ করা হবে।
হরকতের পর্ষদ সদস্য হাসান জাদে বলেন, ‘আফগানিস্তানে তিন দশকের যুদ্ধে সবকিছু কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই আমাদের শূন্য থেকে শুরু করতে হচ্ছে। এ জন্য বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা সহায়ক হচ্ছে।’
হাসান জাদে আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে। আর এর মূল কারণ হলো তারা অনেক পরিশ্রমী। তারা জানে কীভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হয়। আফগানিস্তানের মানুষেরও এগুলো শেখা প্রয়োজন।’
হাসান জাদে বাংলাদেশের তুলনামূলক সস্তা শ্রমিক অথচ শ্রম দক্ষতার প্রশংসা করেন।
আরেক সদস্য তামিম সামি বলেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক যোগসূত্র আছে। ব্র্যাক সেখানে ক্ষুদ্রঋণ ও ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

No comments

Powered by Blogger.