উৎসবেও অস্বস্তি পিএসজির

১৯ বছর পর শিরোপা জয়। পিএসজি
মাতল তাই পাওয়ার আনন্দে
টাকায় কিনা হয়! প্যারিস সেন্ট-জার্মেইয়ের (পিএসজি) কাতারি মালিক টাকা দিয়েই সাফল্য কিনতে চেয়েছিলেন। এন্তার টাকা ঢেলে দারুণ সব খেলোয়াড়কে ভিড়িয়েছিলেন দলে। নিয়ে এসেছিলেন কার্লো আনচেলত্তির মতো পোড়-খাওয়া কোচকে। বিনিয়োগটা বৃথা যায়নি, দীর্ঘ ১৯ বছর পর আবার ফ্রেঞ্চ লিগ জিতেছে প্যারিসের এই ক্লাব।
লিওঁকে ১-০ গোলে হারিয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা জিতেছে বটে পিএসজি, কিন্তু ক্লাবের বাতাসে কেমন যেন একটা অস্বস্তির বাতাবরণ। সাফল্যের নেপথ্য রূপকার আনচেলত্তিই অস্বস্তির মূলে। গুঞ্জন, এই মৌসুমেই ছেড়ে ক্লাব ছেড়ে যেতে পারেন রিয়াল মাদ্রিদে হোসে মরিনহোর সম্ভাব্য শূন্যস্থানে। সে ক্ষেত্রে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, থিয়াগো সিলভাদের মতো বড় তারকাদের ধরে রাখা যাবে কি না, তা নিয়েও সংশয়ে আছে। ইব্রাহিমোভিচ জুভেন্টাস অথবা ম্যানচেস্টার সিটিতে যেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে ইব্রা এখনো বলছেন, তিনি পিএসজি ছাড়বেন না।
ইউরোপের অন্য বড় লিগগুলোর মতো জৌলুশ নেই ফ্রেঞ্চ লিগে। পিএসজির কল্যাণে এই আক্ষেপ একটু হলেও ঘুচেছে। কিন্তু কয়েকটা ব্যাপারে আনচেলত্তির মন খচখচ করতেই পারে। এত সব তারকা খেলোয়াড় নিয়ে মাঠে সেভাবে আলো ছড়ানো গেল কই? ফ্রেঞ্চ কাপে শেষ আটের বেশি যাওয়া যায়নি। চ্যাম্পিয়নস লিগেও একই পরিণতি। তাঁর পাল্টা-আক্রমণভিত্তিক ফুটবল পড়েছে সমালোচনার মুখে। ছোট দলগুলোর বিপক্ষে বেশ কিছু পয়েন্ট হারিয়েছে বলেও অতৃপ্তি আছে। অনেকেই বলছে, চ্যাম্পিয়নস লিগে ভালো করতেই পিএসজির মনোযোগ ছিল বেশি। কিন্তু সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা অবশ্য থেমেছে বার্সার কাছে ‘অ্যাওয়ে গোলে’ হেরে। কিন্তু তাতে কি আর সমালোচকদের মুখ বন্ধ রাখা যায়? শৃঙ্খলাগত রেকর্ডটিও ভালো ছিল না। মৌসুমে লাল কার্ড দেখেছে নয়টি। ফ্রেঞ্চ লিগের তো বটেই, ইউরোপের কোনো শীর্ষ দলের এটাই সবচেয়ে বাজে শৃঙ্খলার রেকর্ড।
পিএসজির বাতাসে অবশ্য এখন একটাই প্রশ্ন, আনচেলত্তি থাকছেন তো? এই ইতালিয়ান কোচ অবশ্য ম্যাচ শেষে স্পষ্ট করে কিছুই বলেননি, ‘আমাদের এসব নিয়ে বসার সময় হয়নি।’

No comments

Powered by Blogger.