সেমিতেই মুখোমুখি আবাহনী-মোহামেডান

মুখোমুখি লড়াইয়ে আবাহনীর সঙ্গে জিতেছিল সূর্যতরুণ। কাল দুপুরে ধানমন্ডি স্টেডিয়ামে আবাহনী সিসিএসকে ৭ উইকেটে হারানোর পরও মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দিবা-রাত্রির ম্যাচে কলাবাগানের বিপক্ষে জিতলে সেমিফাইনালে চলে যেতে পারত তারা। কিন্তু কলাবাগান পথ আটকে দাঁড়াল। সূর্যতরুণের বিপক্ষে তাদের ৬ উইকেটের জয় মোহামেডানের সামনে সেমিফাইনালেই দাঁড় করিয়ে দিল আবাহনীকে।
ফতুল্লা স্টেডিয়ামের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে খেলাঘর মাত্র ৩ রানে হারিয়েছে বিকেএসপিকে। মিরপুরে মোহামেডানের কাছে বিমান ৯ উইকেটে হারায় ‘এ’ গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে সেমিফাইনালে গেছে প্রথমবার প্রিমিয়ার লিগ খেলতে আসা খেলাঘর। এ ছাড়া কাল গাজী ট্যাংক ২৭ রানে ওল্ড ডিওএইচএসকে হারিয়েছে। বৃষ্টিতে মাঠ খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় ধানমন্ডি মাঠে পারটেক্স-ভিক্টোরিয়ার ম্যাচটি হয়নি। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগামীকাল দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে শুরু প্রথম সেমিফাইনালে মোহামেডানের মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু দ্বিতীয় সেমিফাইনালটি খেলবে গাজী ট্যাংক ও খেলাঘর। দেশ টিভি দুটি ম্যাচই সরাসরি দেখাবে।
প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টি লিগটাকে যেন নিজেরই করে নিলেন তামিম ইকবাল। ৬০, ৬৯, ৪ ও ৪২-এর পর কাল মিরপুরে অপরাজিত ৭০ রান! ৮০ রানে ৮ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও তারেক আজিজের ১৩ বলে অপরাজিত ২০ রানের সৌজন্যে ১১৩ রান পর্যন্ত যেতে পারে বিমান। জবাবে তামিম-ঝড়ে মাত্র ৯.৫ ওভারেই জয় পেয়ে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ৩২ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর তামিম শেষ পর্যন্ত ৭০ রানে অপরাজিত ৩৬ বল খেলে। ১০টি বাউন্ডারির সঙ্গে চারটি বিশাল ছক্কায় সাজানো তাঁর ইনিংস। নিজের ইনিংসের শেষ ৬ বলেই নিয়েছেন ৩০ (৬, ৬, ৪, ৬, ৪, ৪) রান! দলীয় ২০ রানে আরেক ওপেনার শামসুর রহমান ফিরে গেলেও আফতাব আহমেদকে (২৪*) সঙ্গে নিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যান তামিম। তবে ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারে তাঁর সঙ্গে ভাগ বসিয়েছেন সতীর্থ ইমন আহমেদ। এ মাঠের অন্য ম্যাচে সূর্যতরুণের ১১৯ রানের জবাবে পাঁচ বল বাকি থাকতে জয় পেয়েছে কলাবাগান। রাসেল ৩৪ ও জাভেদ ৩০ রান করেছেন। ম্যান অব দ্য ম্যাচ ২১ রানে ৩ উইকেট নেওয়া এনামুল হক জুনিয়র। সূর্যতরুণের ধীমান ঘোষ করেছেন ৩৬ রান।
ফতুল্লায় খেলাঘরের ১২৫ রানের জবাবে শেষ বল পর্যন্ত লড়েছে বিকেএসপি। কিন্তু সৌম্যর ৩৫ ও আরিফের ৪৯ রানের পরও জয় থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকতেই শেষ হয়ে গেছে তাদের ২০ ওভারের কোটা। খেলাঘরের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪০ রান ম্যান অব দ্য ম্যাচ দেলোয়ারের। ধানমন্ডিতে দুপুরে আবাহনী-সিসিএস ম্যাচের কিছু অংশও খেয়ে নিয়েছে বৃষ্টি। ১৪ ওভারের ম্যাচে ৬ উইকেটে ৭১ রান করে সিসিএস। রনি তালুকদারের ২৮ ও ইমরুল কায়েসের ২২ রানে ১২.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েই জিতে গেছে আবাহনী। ১২ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ শুভাশিষ।
গাজী ট্যাংক ফতুল্লায় ৫ উইকেটে করেছিল ১২২। ৯.২ ওভারে নাজিমউদ্দিন (২৩) ও মিজানুরের (৩৮) ৬০ রানের ওপেনিং জুটির পর অন্যরা ব্যর্থ না হলে স্কোরটা আরও বড় হতে পারত। তবে এই রান টপকাতে গিয়েও ৮ উইকেটে ৯৫ রান পর্যন্তই যেতে পেরেছে ওল্ড ডিওএইচএস। ১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ গাজীর সোহরাওয়ার্দী।

No comments

Powered by Blogger.